মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকা সাভারে খালাম্মাদের বাসায় প্রথম রাত
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মায়ের অপারেশনের জন্য ১৯-মে, ২০১৪ রোজ রবিবার
ঢাকা সাভার জাহাঙ্গীরনগর অবস্থান করেছিলাম। প্রথম দিনের প্রথম রাত খালাম্মার বাসায় থাকার অনুভূতি প্রকাশ করব এই পোস্ট। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করি বিস্তারিত।
প্রথমে আপনাদেরকে বলেছি,ঢাকা সাভারে খালাম্মাদের বাসায় উপস্থিত হয়ে আমার জন্য একটি আলাদা রুম ঠিক করে দেয়া হলো। সেই থেকে শুরু হল এই রুমের মধ্যে আমার অবস্থান করা। রুমে প্রবেশ করেই প্রথমে রেস্ট নিয়েছিলাম। বিছানার সুন্দর করে ঝেড়ে নিলাম। এরপর একটু শুয়ে থাকা, মোবাইলে ওয়াইফাই সংযুক্ত করে নিয়ে আপনাদের সাথে চ্যাট করা। এদিকে পোস্ট কমেন্ট এর কাজ করা এই বেডে বসে। যাহোক এভাবে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো। মনের মধ্যে যেন স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। কারণ জার্নি করলেই আমি খাবারের সাথে শসার সালাদ খেয়ে থাকি। এতে শরীরটা বেশ ভালো থাকে। বুঝতে পারছেন প্রচণ্ড গরমের দিন ঢাকায় গিয়েছিলাম। অবশ্য এসি বাসে গিয়েছিলাম কিন্তু বাস থেকে নেমেই খালাম্মাদের বাসা পর্যন্ত যেতেই প্রচন্ড রোদে ধরা খেয়েছি। তাই আরো বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আরে এদিকে মানসিক টেনশন মায়ের জন্য, কবে কিভাবে অপারেশন সম্পন্ন করে বাসায় ফিরব।
এরপর সন্ধ্যা সময় এত ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগরের এই পান ধোয়া বাজারে শসা সহ আইসক্রিম কেনার জন্য উপস্থিত হলাম। অনেকদিন পর বাজারটা ঘুরে ঘুরে দেখতে পেলাম। এরপর শসা কেনা হলো ৪০ টাকা দিয়ে ১ কেজি, এরপর টুকিটাকি এটা সেটা খাওয়া দোকান থেকে। অনেকদিন পর বাজার টা দেখে যেন ভালো লাগছিল আমার। সেই যেমনটা দেখে গিয়েছিলাম তেমনটা আর নেই ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এই বাজারের। আশেপাশে বেশ কিছু নতুন নতুন দালান কোটা। পরিবর্তন হয়নি রাস্তাটার। যেমন ভাঙা হেয়ারিং রাস্তা ছিল ঠিক তেমনই ভাঙ্গা। বাজারের এদিকে ওদিকে মোটামুটি দেখার মত রয়েছে। অতঃপর আবার বাসায় ফিরে আসলাম দুই ভাই।
বাসায় ফিরে আবার আমার অবস্থান করা সেই রুমে প্রবেশ করলাম। আম্মা কি করছে না করছে একটু দেখলাম, ঔষধ খেয়েছে কিনা জানলাম। এদিকে আমার খালাম্মা ভাত নিয়ে রেডি করে রেখেছিলেন খাবার টেবিলে। আপনারা সব ডাইনিং রুমে সোফায় বসে একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন। কিন্তু ছোট থেকে আমার একটাই অভ্যাস, অনেকদিন পর সবার সাথে খাওয়া দাওয়া করতে গেলে একটু লজ্জা লজ্জা অনুভব আসে। এদিকেও রুমের মধ্যে মাল্টিপ্লাগের সাথে মোবাইল চার্জিং এর লাইনটা করে রেখেছি, খেতে বসে মোবাইল টিপা আপনার আমার অন্যরকম হয়েছে, আর তাই তাদের সাথে খাওয়া হলো না। খেতে থাকলাম রুমের মধ্যে একা। এদিকে শসার শালাদ করে নিয়েছি। আর এভাবেই প্রতিদিনের যাত্রা শুরু হল এই রুমে।
ওখানে লোডশেডিং এর সমস্যা তাই একটি হাত পাখা আমার কাছে রেখে গেলেন খালাম্মা। আর এখানে ফ্যামিলির রান্নাবান্নার কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে খালাম্মার মেজো বৌ মা সুমাইয়া শিমু। যে বর্তমান আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির নিউ মেম্বার। সে আমার খালাম্মার জায়ের মেয়ে। অর্থাৎ শিমু আমাদেরই খালাতো বোন ও ভাইয়ের বউ। আমরা উপস্থিত হওয়ার পর শিমুর দায়িত্ব বেড়ে গেল। আর সেই থেকে মেজো বউ তার সাধ্যমত আমাদের দেখাশোনা করেছেন। যাইহোক এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, অনলাইনের কাজ শেষ করে, এ রুমটার মধ্যে প্রথম রাত্রি যাপন করলাম। আমি নতুন কোথাও গেলে প্রথম রাতে ঘুম আসতে চায় না। কিন্তু ঐদিন আমার প্রচন্ড ঘুম হয়েছিল। এক ঘুমে উঠে দেখি সকাল সাতটা বেজে গেছে। আর এভাবেই শুরু হল ঢাকায় অবস্থান করা মায়ের অপারেশনের জন্য। আশা করি আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন নতুন নতুন পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
বিষয় | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভাইয়া আপনি আপনার মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন আর খালার বাসায় থেকেছেন জেনে ভালো লাগলো। লোডশেডিং এর সমস্যা সব জায়গাতেই অনেক বেড়ে গেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আশাকরি আপনার মায়ের অপারেশন সফল হয়েছে। আপনার মায়ের জন্য শুভ কামনা।মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকা সাভারে খালাম্মাদের বাসায় প্রথম রাত নিয়ে সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া। ভালো হয়েছে পোস্টটি। পোস্টের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।
আপনি বেশ অনেক আগে আপনার মাকে নিয়ে ঢাকার এসেছিলেন তার অপারেশনের জন্য। ।আর উঠলেন আপনার খালাম্মার বাসায়।আশাকরি আপনার আম্মা এখন সুস্থ আছেন।আপনি আপনার মনের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু।