আমি আর আমার বন্ধু মারুফ প্রায় প্রত্যেক শুক্রবার চেষ্টা করে থাকি বামুন্দি বাজারে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে যাওয়ার। ঠিক তেমনি একদিন দুইজন বামুন্দিবাজারে উপস্থিত হলাম। আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা শেষে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসলো। এই মুহূর্তে বাস স্ট্যান্ডের পাশে যখন অবস্থান করলাম, লক্ষ্য করে দেখলাম সারিসারি ভাপা পিঠা ডিম সিদ্ধ বিক্রয়ের ছোট ছোট অনেক ভ্যান গাড়ির দোকান উপস্থিত হয়েছে সেখানে। আমি এমনিতেই ভাপা পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করে থাকি। যখনই দেখতে পারলাম ভাপা পিঠা তৈরি হচ্ছে তখন মারুফকে বললাম আজকে ভাপা পিঠা না খেয়ে বাড়িতে যাচ্ছি না।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
এরপর আমরা দুইজন এসে উপস্থিত হয়ে গেলাম ভাপা পিঠা তৈরি করছে এমন একটি গাড়ির নিকট। প্রায় এক বছর পর আবারও বামুন্দি বাজারে ভাপা পিঠা খেতে চলেছি বেশ আনন্দই লাগছিল দুজনার মনে। সে দেখলাম আশেপাশে অনেক মানুষ বসে গেছে ভাপা পিঠা খাওয়ার জন্য পাশাপাশি অনেকেই কিনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। এদিকে আবার সত্যি সত্যি অনুভব তাই ভাবা পেটা খেলে হয়তো উপকার হবে এই আশায় বললাম ভাই আমাদের দ্রুত গরম গরম ভাপা পিঠা দিন। উনি বললেন একটু সবুর করুন। এই মুহূর্তে আমি আর মারুফ ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম হঠাৎ একজন মানুষ আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হয়ে বলল কি ভাই পিঠা তৈরি করা এ ভাইয়ের নামে কেস আছে নাকি এত ছবি তুলছেন তার। তখন আমরা উত্তর দিলাম হেসে ফেলে, না ভাই আমরা কোন সাংবাদিক বা পুলিশের লোক না। আমরা এমনিতেই ফটোগ্রাফি করছি অনলাইনে ছাড়ার জন্য।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
এরপর পথচারী লোকটা বলল গরিবের পেটে লাথি দেয়া মানুষ তো অনেক রয়েছে ভাই তাই প্রশ্ন করলাম কিছু মনে করেন না। তখন আমি বললাম না ভাই এনার মতো মানুষ আছে বলে আজকে ভাপা পিঠা খেতে পারছি, ইচ্ছে হলেও এভাবে তৈরি করে খাওয়া আমাদের সম্ভব নয়। এরপর পিঠা তৈরি করা ভাই বলল আমি ভাই সাদাসিধা মানুষ, আমার আর কিসের কেস থাকবে। যদি পুলিশ কোন কেস নিয়ে আসে দিয়ে দেব পিঠা তৈরি করা চুলাটা, তৈরি করে খাক গিয়ে। যাইহোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অনেক কথা বললাম এদিকে চুলায় ভাপা পিঠা তৈরি হতে থাকলো।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
দেখলাম চুলার উপর খুব সুন্দর ভাবে উনি ভাপা পিঠা বসিয়ে দিচ্ছে। একটি হাড়ের উপর থাকা মেটে সারার উপরে, একটি প্যাকেটের মধ্যে করে সুন্দর করে বসাচ্ছে কিছুক্ষণ পর পিঠাটা সুন্দরভাবে হয়ে যাচ্ছে এবং তা নামিয়ে ফেলছে। চমৎকার বানানোর দৃশ্য খুবই ভালো লাগছিল আমার এই সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে দেখতে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
যখন পিঠা তৈরি হয়ে যাচ্ছে উনি একটি একটি করে নামিয়ে রাখছেন তার গামলার মধ্যে। ঠিক এভাবে তৈরি করলেন অনেকগুলো পিঠা। উনি পিঠা তৈরিতে পাটালি ব্যবহার করছেন। এগুলা খেজুরের পাটালি। আমি এমনিতেই খেজুরের পাঠালে বেশি পছন্দ করে থাকি আর সেটা যদি হয় ভাপা পিঠার মধ্যে তাহলে তো কোন কথাই নেই।
Photography device: Infinix hot 11s
location
এরপর যাই হোক আমি আর মারুফ দুজনার দুইটা প্লেটে দুইটা দুইটা করে ভাপা পিঠা নিয়ে নিলাম। গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু ভাপা পিঠা আমি যখন মুখের মধ্যে একটু একটু করে নিয়েছিলাম তেমন বেশি গরম অনুভব করতে পারছিলাম না কারণ তখন আমার প্রচন্ড শুদ্ধিকরণ লেগে নাক মুখ বুজেছিল। তাই গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে খেতে হঠাৎ খাজুরের পাটালি মুখের মধ্যে উপর অংশে লেগে যাওয়ায় আমার মুখের টাকরা অংশ কিছুটা পুড়ে গেল এবং সাথে সাথে লুনচা উঠে গেল। ইতোমধ্যে প্রায় দুইটা খাওয়ার সম্পূর্ণ হয়ে আসছে কিন্তু পরে আর খেতে পারলাম না, তাই দুর্ভাগ্যজনক দুটা খেয়েই শান্ত থাকলাম। আর এভাবেই এবার শীতে ভাপা পিঠা খাওয়ার কার্যক্রম শুরু হল বামন্দি বাজার থেকে। আশা করি পরবর্তীতে আরো খাওয়া হবে ইনশাল্লাহ।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
আপনাদের দুই বন্ধু মিলে ভাবা পিঠা খাবার মুহূর্তটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। শীতের দিনে সন্ধ্যাবেলায় ভাপা পিঠা খাবার মজাটাই অন্যরকমের। আমাকে ফোন দিতে তাহলে আমিও আপনাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেতাম।
আচ্ছা সামনে দিন ডাকলে হবে
বামুন্দি বাজার থেকে আপনাদের দুই বন্ধুর ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্তটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। যাক আপনার তাহলে এই বছর ভাপা পিঠা খাওয়া শুরুটা বামুন্দি বাজার থেকেই হলো। আমি অবশ্য কিছুদিন আগে গাংনী বাজার থেকে ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম। খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। যাই হোক পিঠাটা একটু সাবধানে মুখে দিতে পারতেন তাহলে তো আর মুখটা পুড়তো না। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভাপা পিঠা খাবার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ বামুন্দির বাজার থেকে শুরু করে দিলাম
মামা আপনি এবং মারুফ মামা দুজন মিলে আমাদের বাড়ির পাশে এসে ভাপা পিঠা খেয়ে গিয়েছেন আমাকে একটু ডাকতে পারতেন। আসলে বামুন্দি বাজার আমাদের বাসা থেকে বেশি দূরে নয়। আসলে শীতের সময় এই পিঠা খেতে বেশ ভালোই লাগে। পিঠা খেতে গিয়ে আপনার মুখ পড়ে গিয়েছিল জানতে পেরে বেশ খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ মামা সামনের দিন গেলে তোমাকে জানাবো
শীতকাল আসলেই যেনো গ্রাম এবং শহরে পিঠাপুলির উৎসব চলে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে শহরে রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে ।যেটা শহরের মানুষ বেশি খেয়ে থাকে। শহরের মানুষ বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততার মধ্যে কাটায় যখন একটু সুযোগ পায় সন্ধ্যাকালীন সময়ে রাস্তার ধারে বিক্রি করা পিঠাগুলো খাইতে পছন্দ করে । যেটা আপনার বন্ধুর সাথে আপনি উপভোগ করেছেন। আমিও অনেকবার খেয়েছি খুবই ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাই আমাদের এখানেও বেশ কয়েক জায়গায় পিঠা তৈরি হয়
বন্ধুকে সাথে নিয়ে শীতের সন্ধ্যায় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতের শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত আমাদের বামুন্দি বাজারে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় এরকম ভাপা পিঠা তৈরি করে। অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ওখানে ভাপা পিঠা তৈরি করে। বন্ধুকে সাথে নিয়ে শীতের সন্ধ্যায় ভাপা পিঠা খাওয়ার চমৎকার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেশ ভালো লাগে ভাবা পেটা খেতে
ভাপা পিঠা খাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আসলে ভাপা পিঠা কিনে খেতে মজা বেশি। খেজুর পাটালি দিয়ে অসাধারণ সুন্দর লাগে এই ভাপা পিঠা। পিঠাওয়ার কথাটা বেশ ভালো লাগলো।চুলাই দিয়ে দেবেন পিঠা তৈরি করে খেতে😊পুলিশকে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু পুলিশ যদি সমস্যা করে তাই চুলাটাই দিয়ে দিবে বানিয়ে খাওয়ার জন্য
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব।গ্রামের বাজার গুলোতে বেশ ভাপা পিঠা পাওয়া যায় এই সময়টাতে।দুই বন্ধু মিলে বাজার থেকে পিঠা খেয়েছেন।আপনার অনুভুতিমূলক পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আবারো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পুনরায় পিঠা খেতে গিয়ে