পুকুর পাড়ের গাছ থেকে বরই বা কুল পাড়ার অনুভূতি
আজ - মঙ্গলবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি বড়ুই পাড়ার অনুভূতি নিয়ে। আপনারা জানেন মাঘ ফাল্গুন মাসে সারাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির বরই পাকে। আর এই পাকা বরইয়ের আচার খেতে কেনা ভালবাসে। তাই পাকা বড়ুই এই আচার খাওয়ার জন্য বরই পাড়তে গিয়েছিলাম পুকুরপাড়ে। তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি সেই বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। চলুন বিস্তারিত সহজ ও সাবলীল ভাষার মাধ্যমে জানা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
১৩ই ফেব্রুয়ারি সকাল ভোর মুহূর্ত এমন সময় প্রতিদিন আমি পুকুরে ছুটে যায় বক পানকৌড়ি তাড়ানোর জন্য। কারণ এই সমস্ত পাখিগুলো পুকুর থেকে ছোট মাছগুলো খেয়ে সাবার করে। যাই হোক পুকুর পাড়ে আমার বেশ কয়েকটা কুলের বা বরই গাছ রয়েছে সেই সমস্ত কুল গাছের মধ্যে একটা বরই গাছে সবসময় বেশি কুল ধরে থাকে। আমি এই গাছ থেকে কুল বা বরুইপাড়ার উদ্দেশ্যে ওই দিন সকালে পুকুরের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। সময়টা ছিল খুবই ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে আমি সেখানে পৌছানোর পরে আস্তে আস্তে কুয়াশা কেটে সূর্যের আলো বের হল। পূর্বে আমি চেষ্টা করলাম গাছের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করার জন্য।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আপনারা জানেন বরই গাছের বরই পড়ার সময় সমস্ত ডাল কেটে দিতে হয়। আর সমস্ত ডাল কেটে দিলেন নতুন করে ডাল বের হয় এবং পুনরায় পরবর্তী বছরে গাছ ভর্তি বরই ধরে। যেহেতু আমার সমস্ত ডালগুলো কাটা সম্ভব নয় তাই একদিনে না দিনে দিনে আমি ক্লিয়ার করে কাজটাকে সঠিক পর্যায়ে আনার চেষ্টা করি এবং বরইগুলো পেড়ে নিয়ে যায়। তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারও সেই কাজটাই করলাম গাছে থাকা দুই তিনটা ডালের মধ্যে একটা ডাল কেটে বড়ই পড়ার চেষ্টা করলাম। অনেক মানুষ রয়েছে বড়ই গাছের ডাল কেটে একটি করে বড়ই সরানোর চেষ্টা করে কিন্তু আমি সবার জন্য সুন্দর একটা পরামর্শ সাজেস্ট করব। তা হচ্ছে বড়ই ডাল কাটা হয়ে গেলে ছোট ছোট ডালগুলো আলাদাভাবে কেটে নিয়ে অপর অন্য ডালের উপরে বাড়ালে বা ঝাড়লে খুব সহজেই বরইগুলো ছুড়ে মাটিতে পড়ে যায়। ঠিক আমি পূর্ব জ্ঞান মতো একই কাজ করলাম। এরপর বরইগুলো গুছিয়ে ব্যাগের মধ্যে রেখে দিলাম। যে সমস্ত বড়িগুলো খাওয়ার উপযুক্ত নয় সেগুলো বাদ দিয়ে উপযুক্ত গুলো ব্যাগে তোলার চেষ্টা করলাম। আর এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব কম সময়ে কাজ সম্ভব হয়। তাই সকাল ভোরে পাখি-টাড়তে আসার মুহূর্তটা এই কাজটার জন্য বেশি উপযুক্ত মনে করেছিলাম। আর এভাবেই বরইগুলো আমি খুব সহজে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
খাওয়ার উপযুক্ত বরই ব্যাগের মধ্যে রাখলাম আর যে সমস্ত বরইগুলো খাওয়ার উপযুক্ত নয় তা পড়ে থাকলো। তবে আমি সিকোয়েন্সি কোন ডালগুলো থেকে যখন বরই ঝাড়ছিলাম তখন ডালগুলো নির্দিষ্ট একটি সাইড করে পালা দিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলাম যেন এলোমেলো ভাবে পড়ে না থাকে। কারণ আমরা জানি বরই গাছে অনেক কাটা হয়ে থাকে। ডালগুলো এলোমেলো ভাবে রেখে দিলে পরবর্তী মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে অনেকের চলতে ঝামেলা হবে। এমনকি নিজেরও সমস্যা হতে পারে তাই ডালগুলোকে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করলাম। আর যতক্ষণ আমি এখানে অবস্থান করলাম ততক্ষণ কোন মাছক্ষেক পাখি আসলো না। সোনালী দিনের রোদে ঝাল মল সুন্দর একটি সকাল বরই পাড়ার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করলাম পুকুরপাড়ে। যেহেতু পুকুর পাড়ে বড়ুই গাছ তাই ডাল কাটার সময় অনেক বরই পুকুরে পড়ে গেছিল। যেহেতু আমার সময় স্বল্পতা যার জন্য পুকুর থেকে সেগুলো তোলা সম্ভব হয়নি। তবে পুকুরে কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো পাকা বরই খায়। বিশেষ করে ব্লাক কাপ আর বড় পাঙ্গাস মাছ এ জাতীয় জিনিস গুলো খেয়ে থাকে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
যে সাইট থেকে বড়ুইগুলো সংরক্ষণ করলাম তার বিপরীত সাইডে লক্ষ্য করলাম আরো অনেক পাকা আধা পাকা বরই রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সে সমস্ত বডুই গুলো সংরক্ষণ করা হয়নি। তবে চেষ্টা করব খুব শীঘ্রই সময় সুযোগ করে সেগুলো সংরক্ষণ করার। তবে এই দিনের বরই পাড়ার মুহূর্তটা চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য কাজের মধ্য থেকে চেষ্টা করেছিলাম ফটোগ্রাফি করে রাখার। হয়তো ভবিষ্যতে অতি প্রিয়জনদের এই জাতীয় জিনিসগুলো দেখাতে পারবো এবং অন্যরকম ভালোলাগা অনুভব করতে পারব তখন। আর এখনকার মতো আপনাদের মাঝে তো অবশ্যই ভালো লাগার মুহূর্ত উপস্থাপন করে থাকি আমি। যেটাকে আমি মনে করি নিজের ভালো লাগার অনুভূতি আমার বন্ধুদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়া। তবে যাই হোক এই বরুইগুলো কিন্তু হালকা মিষ্টি ও টক যা খাটা বা আচার খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত দেশি কুল। আর বিভিন্ন বরুইএর স্বাদ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যা দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করে খাওয়া সম্ভব। আপনারা চেষ্টা করলে বরুই দিয়ে বিভিন্ন প্রকার রেসিপি করে খেতে পারেন।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
হালকা মিষ্টি ও হালকা টক এই জাতীয় বড়ই খেতে বেশি ভালো লাগে। আমরা সাধারণত বাজার থেকে এসব বড়ই কিনে খাই। নিজের হাতে গাছ থেকে বড়ই পেরে খাবার মজাই আলাদা। অনেক দিন আগে হয়তো এই সুযোগটা হয়েছিল। যাইহোক আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আমাদের বাড়িতে সব রকমের বড়ই গাছ রয়েছে
বাহ্ সকালে আপনি পানকৌড়ি বক তাড়াতে পুকুর পাড়ে গিয়ে অনেক বরই পেড়েছন।গ্রামে থাকার মজাই আলাদা তাও যদি আবার নিজের গাছের বরই হয়,তাহলে তো আর কথাই নেই।আপনার বরই পাড়ার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো অনেক।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
একেই বলে এক ঢিলে দুই পাখি
ভাই পাকা পাকা বড়ই দেখে জিভে জল এসে গেলো ৷ আপনার পুকুরের ধারে ধারে বড়ই গাছের সমাহার ৷ তবে শৈশব জীবনের মতো বড়ই পাড়ার আনন্দ আর হয় না ৷ যা হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার বড়ই পাড়ার অনুভুতি ও মূহুর্ত গুলো ৷
অনেকগুলো ছিল এখন তিন টা গাছ রয়েছে।
আসলে পানকৌড়ি এমনই একটা পাখির চেয়ে প্রতিনিয়ত সকালে পুকুরে জ্বালাতন করতে শুরু করে। আপনার পুকুরের বরই গাছের বরই দেখে তো খুবই লোভ লেগে গেল। দেখি শুক্রবারে ছুটির দিনে খেতে যেতে হবে।
দাওয়াত রইলো। খেতে আসলে ভালো হয়।
আপনার বড়ই পাড়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরকম নিজেদের গাছ থেকে বড়ই পাড়ার মজাটাই আলাদা। আপনার ফটোগ্রাফিতে বড়ই গুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আর বরই পাড়ার পরে ডালগুলো গুছিয়ে রেখেছেন যাতে কাটা কারো ক্ষতি না করে এ বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। গাছ থেকে বড়ই পাড়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
লোভ লাগিয়ে দিলেন বরই দেখিয়ে। বরই খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে বলতে হয়। পুকুরের পাড়ে বেশিরভাগ বরই গাছ দেখা যায়। আপনাদের ওখানে পুকুরের পাড়ে তো দেখছি অনেক বড় একটি বরই গাছ রয়েছে। বরই লবন মরিচ দিয়ে খেলে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। আমার তো এখন খুবই খেতে ইচ্ছে করছে বরই।আপনার আজকের পোস্ট পড়ে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে।
এখন বরই এর সময়। চাইলে ম্যানেজ করে আচার বানিয়ে খেতে পারেন।
আমাদের বাড়ির পাশেও ঠিক এরকম একটি বড়ই গাছ আছে। আমিও ঐদিন বড়ই পাড়ার সময় কিছু ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু সময়ের কারণে পোস্ট টি করা হয়নি। আপনি আজকে পোস্ট করেছেন দেখে আমারও ওই ছবিগুলোর কথা মনে পরল। আমাদের বড়ইগুলোও খুবই মিষ্টি এবং একটু টক ছিল। লবণ মরিচ দিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কিছুদিন আগে তো আমি ওই বড়ইগুলো পেরে আচার তৈরি করেছিলাম। আপনার পোস্টটি দেখে নিজের পোস্টটা করার আগ্রহ বেড়ে গেল।
সময় করে পোস্ট করে ফেলুন আপু অপেক্ষায় রইলাম