জাপানি মাছের ডিম ভাজি রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আসসালামু আলাইকুম

IMG_20230714_182903_026.jpg




আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি জাপানি মাছের ডিম সুন্দর করে ভেজে উপস্থাপন করার জন্য। আশা করি আমার এই মাছের ডিম ভাজা দেখে আপনারা শিখে নিবেন কিভাবে মাছের ডিম ভাজতে হয়। তাই চলুন আর দেরি না করে, এখনি কার্যক্রম শুরু করা যাক।


রেসিপি বানানোর উপাদান সমূহ:


ক্রমিক নম্বর
উপাদান
পরিমান
১.মাছের ডিমহাপ কেজি
২.পেঁয়াজ কুচি৪ পিস
৩.রসুন কুচিএক পিস
৪.কাঁচা মরিচপাঁচ পিস
৫.সয়াবিন তেল৫০ গ্রাম
৬.লবণপরিমাণ মতো
৭.মরিচের গুঁড়াএক চা চামচ
৮.হলুদের গুঁড়াএক চামচ
৯.ধনিয়া গুড়াএক চা চামচ
১০.পানিপরিমাণ মতো


কার্যপ্রণালীর ধাপসমূহ:


🐟 ধাপ :-১ 🐟

প্রথমে মাছের ডিম গুলো খুব ভালোভাবে ধুয়ে চুলার পাড়ে নিয়ে আসলাম। পাশাপাশি যে সমস্ত মসলাগুলো প্রয়োজন তা পরি মান মত করে রেডি করে নিলাম। এবার পেয়াজ রসুনগুলো ভালোভাবে বিনিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে এলাম। আর এভাবেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করে চুলার পাড়ে এসে উপস্থিত হলাম।

IMG_20230714_173826_116.jpg

IMG_20230714_175133_064.jpg

IMG_20230714_175502_774.jpg



received_305654148004402.webp


🐟 ধাপ :-২ 🐟

এবার ডিমগুলো একটি গামলার মধ্যে রাখলাম। যেহেতু মাছের ডিম তাই ঝাল হলুদের গুড়া খুব ভালোভাবে মেশাতে হবে তার সাথে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঝাল হলুদের গুড়া গামলার মধ্যে থাকা ডিমের উপরে ভালো করে ছিটিয়ে দিলাম। এরপর খুব ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে তা মিসিয়ে দিলাম। যেহেতু মাছের ডিম তাই বেশি একটা নাড়াচড়া না করাটাই ভালো। তবে মসলা গুড়াগুলো যেন ভালোভাবে মিক্সার হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

IMG_20230714_175605_611.jpg



received_305654148004402.webp


🐟 ধাপ :-৩ 🐟

এই পর্যায়ে কড়ায়টি খুব ভালোভাবে ধুয়ে এনে চুলার উপরে বসিয়ে দিলাম,এবার চুলায় জ্বাল শুরু করে দিলাম। কড়াই যখন ভালোভাবে গরম হওয়া শুরু হলো তখন কড়াইয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল ঢেলে দিলাম। এদিকে তেল বেশ সুন্দরভাবে গরম হতে থাকলো। আমিও আমার মত প্রস্তুতি নিয়ে কার্যক্রম চালাতে থাকলাম।

IMG_20230714_180027_799.jpg



received_305654148004402.webp


🐟 ধাপ :-৪ 🐟

এবার গরম তেলের মধ্যে মাছের ডিম পেঁয়াজ রসুন কুচি একসাথে দিয়ে দিলাম। এই মুহূর্তটা একটু অসাবধান হওয়া যাবে না কারণ তেল ছিটে হাতে এসে পড়ে। আর গরম তেল হাতে এসে পড়লে বুঝতেই তো পারছেন হাত পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই এই মুহূর্তে খুব সাবধানতার সাথে তেলের মধ্যে সমস্ত উপাদান ছেড়ে দিতে হবে। আর গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার পর খুন্তি দিয়ে খুব ভালোভাবে উল্টে পাল্টে নাড়তে থাকতে হবে, যেন সর্ব স্থানের তেল ভালোভাবে প্রবেশ করে এবং গরম তেলে ভালো ভাবে সিদ্ধ হতে থাকে।

IMG_20230714_180358_177.jpg



received_305654148004402.webp


🐟 ধাপ :-৫ 🐟

গরম তেলে মাছের ডিম সিদ্ধ হতে হতে একটি পর্যায়ে রং পরিবর্তন হতে থাকলো এবং তেল গুলো খুব ভালোভাবে ফুটতে থাকলো। আর এরই মধ্য দিয়ে ডিমের প্রত্যেকটা উপাদান গুলো রান্না হতে থাকলো। তবে এ মাছের ডিম ঝুর ঝুড়ি তৈরি করতে হবে তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তেল না শুকাবে ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বাল দিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি খুন্তি দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নাড়তে হবে। খুন্তি দিয়ে বারবার উল্টাপাল্টা না হলে পারে ডিম কালার সুন্দর হবে এবং কোথাও পুড়ে যাবে না।

IMG_20230714_180216_810.jpg



received_305654148004402.webp


🐟 ধাপ :-৬ 🐟

চুলার পাড়ে যথেষ্ট অন্ধকার থাকাই ভালোভাবে রান্না এবং পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করা আমার জন্য বড় হিমশিম হয়ে পড়েছিল। তাই চেষ্টা করছিলাম খুব সুন্দর করে খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্নার কার্যক্রম করার জন্য। একটি পর্যায়ে সমস্ত তেল আর মাছের ডিমের মধ্যে থাকা রসগুলো শুকিয়ে যেতে থাকলো। বারবার খুন্তি দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকায় মাছের ডিম বেশি সুন্দর ঝুর ঝুরি হয়ে যেতে লাগলো। যেহেতু এটা মাছের ডিম তাই বেশি একটা জোরেশোরে জ্বাল দেওয়া যাবে না, কারণ বেশি জাল দিলে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

IMG_20230714_181110_019.jpg



received_305654148004402.webp


🐟 ধাপ :-৭ 🐟

ঠিক এভাবে দীর্ঘক্ষণ ধরে রান্নার কার্যক্রম করতে করতে একটি পর্যায়ে মাছের ডিম ভাজা শেষের দিকে চলে আসলো। তাই দ্রুত চুলার জ্বাল বন্ধ করে দিলাম। চুলার জ্বাল বন্ধ করে দেওয়ার কিছুটা সময় পরে কড়াইটি নামিয়ে নিলাম নিচে। তবে কড়ায় নামিয়ে ফেলার পরে খুন্তি দিয়ে কিছুটা সময় নাড়তে থাকলাম, যতক্ষণ ঠান্ডা না হল। এভাবে একটি মুহূর্তে কড়ায় ঠান্ডা হয়ে আসলো। সেই মুহূর্তে আমি আমার খুন্তি দিয়ে নাড়ার কার্যক্রম বন্ধ করলাম।

IMG_20230714_182527_039.jpg

IMG_20230714_182530_912.jpg



received_305654148004402.webp


🐟 শেষ ধাপ: 🐟

কড়াইতে মাছের ডিম ভাজি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি প্লেটের মধ্যে তা নামিয়ে নিলাম। নিজের হাতে রান্না কেমন টেস্ট হয়েছে সেটা চেক করার জন্য কিছুটা মুখে দিয়ে স্বাদ গ্রহণ করলাম। মাছের ডিম এমনিতেই আমার অনেক প্রিয়। তাই চেষ্টা করছিলাম ভালো স্বাদ হয় যেন। এরপর প্লেটটি রুমের মধ্যে নিয়ে গেলাম। খাবারের সময় সকলের মাঝে তা বন্টন করে দিলাম। আর এভাবেই আমার কার্যক্রম সম্পন্ন হল।

IMG_20230714_182904_803.jpg



received_305654148004402.webp


আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Sort:  
 last year 

বাহ্ ভাই আপনি তো বেশ সুন্দরভাবে জাপানি মাছের ডিম ভাজি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মাছের ডিম দিয়ে যেকোনো রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশিই ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

মাছের ডিম এমনিতে আমার খুব প্রিয়

 last year 

জাপানি মাছের নাম এর আগে শুনিনি। তবে যে কোন মাছের ডিম এভাবে ভাজি করলে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

অবশ্য মাছটা চিনবেন,বাজারে যে মাছটা পেট মোটা নামে পরিচিত

 last year 

জাপানি মাছের ডিম ভাজি করার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলে মাছের ডিম ভাজি খেতে খুবই ভালো লাগে। যদি কিছুটা আলো দিতেন এর মধ্যে তাহলে খেতে আরো সুস্বাদু হত।

 last year 

চেষ্টা করেছি সিম্পল পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাজি করার

 last year 

আরে ভাই এই ধরনের মাছের নাম আমি প্রথম শুনেছি। যাইহোক মাছের ডিম আমার খুব পছন্দের ডিম ভাজি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজার এবং সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

ভাই মাছ তো অবশ্যই আপনি চিনেন

 last year 

জাপানি মাছ কখনো দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না। তাই খাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। যাইহোক জাপানি মাছের ডিম ভাজি রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। গরম গরম ভাতের সাথে মাছের ডিম ভাজি খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

অবশ্যই দেখেছেন ভাই পেট মোটা মাছ যেটাকে বলা হয়

 last year 

আমার কাছে মাছের ডিম খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার এমন মজাদার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমারও অনেক ভালো লাগে আপু

 last year 

যেকোনো মাছের ডিম ভাজি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি । যেটা আমার খুবই প্রিয় বলে বোঝাতে পারবো না । জাপানি মাছের ডিম ভাজি সেটা তো আরো দারুন হবে খেতে ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি।

 last year 

ঠিক আমিও আপনার মত

 last year 

অনেক ইউনিক একটি রেসিপি আজকে দেখতে পেলাম । জাপানি মাছের ডিম ভাজি রেসিপি আমি এর আগে কখনো দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

অনেক ডিম হয় আপু, খেতেও বেশ ভালো লাগে

 last year 

জাপানি মাছ কোনটা আসলে চিনতে পারলাম না।আপনি মাছের ডিম ভাজি করলেন।মাছের ডিম ভাজি আমার খুব পছন্দ। আপনি রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। খেতে ভীষণ মজার হয়েছে আশাকরি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

যে মাছটাকে পেট মোটা মাছ বলা হয়

 last year 

জাপানি মাছের ডিম ভাজি রেসিপি দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

অনেক সুস্বাদু ছিল আপু

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62427.05
ETH 2464.11
USDT 1.00
SBD 2.65