দুই বন্ধু মিলে একে অপরকে সাধু ব্যবসায়িকের সাথে পরিচয় করে দেওয়ার মুহূর্ত
আজ - রবিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি বামুন্দি বাজারে কিছু কেনাকাটার অনুভূতি নিয়ে। যেখানে আমি আর আপনাদের প্রিয় বন্ধু মারুফ দুইজন মিলে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলাম। তার কিছু দৃশ্য নিয়ে উপস্থিত হলাম আজ।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
মারুফ তার ছোট ভাইকে একটি বেল্ট কিনে দিতে চেয়েছিল। আমি জানি বামুন্দি বাজারে কোন জায়গায় বেশি দাম আর কোন জায়গায় কম দামে একি জিনিস কেনা যায়। তাই আমি তাকে বললাম চল আমি তোকে নতুন একটি স্থানে নিয়ে যাব যেখানে স্বল্প মূল্যের জিনিস কেনা যাবে। কারণ আমি জানি মারুফ বামুন্দি বাজারে দীর্ঘদিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের তাই সেখানে অনেক কিছু সস্তা দামে সে কিনতে জানে, ঠিক তেমনি আমারও পরিচিত অনেকে রয়েছে যেখানে আমিও সস্তা দামে অনেক কিছু থেকে কিনে দিতে সক্ষম হব। তাই তার পরিচিত জায়গা আমাকে চিনিয়ে দিল আমিও আমার পরিচিত জায়গা তাকে চিনিয়ে দিলাম যেখানে সুলভ মূল্যের জিনিস কেনা সম্ভব। তাই এই চিন্তা ভাবনা নিয়ে দুজন চলে গেলাম আমার পরিচিত স্থানে তাকে বেল্ট কিনে দেওয়ার জন্য। তবে তার পূর্বে মার্কেটে জানার চেষ্টা করেছিলাম এই জাতীয় বেল্ট গুলোর মূল্য কত। সেখানে দাম বলেছিল দেড়শো আর দুশো টাকা। আমি আমার পরিচিত এই ব্যক্তির কাছ থেকে বেল কিনে দিলাম মারুফকে মাত্র ১০০ টাকায়। আর ওই ব্যক্তির সাথে অর্থাৎ বিক্রেতার সাথে মারুফকে পরিচয় করিয়ে দিলাম। যেহেতু আমরা গাংনী বাজারে বেশি কেনাকাটা করে থাকি বিভিন্ন মার্কেটে তাই এই মার্কেটে তেমন বেশি একটা কেনাকাটা করা হয় না তবুও যেটুকু চলাচল করে তার মধ্য থেকে অনেকের সাথে এভাবে রয়েছে অনেক মিল বা সম্পর্ক।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
আমরা দুইজন দুই স্থানে নিজেদের পেশায় ব্যস্ত থাকি যার জন্য দিনের বেলা একসাথে কোথাও যাওয়া হয় না তেমন একটা যখনই যায় না কেন সন্ধ্যা টাইম তাই সন্ধ্যার লগনে দুইটা বালিশ কেনার উদ্দেশ্যে গেলাম। এই দোকানটাও আমার অতি সুপরিচিত। মারুক তার পরিচিত একটি বালিশের দোকানে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। তবে সেই বালিশের দোকান আলা এত বেশি হায় দাম ধরছিল তা শোনার পরে আমি বুঝতে পারলাম আমার পরিচিত দোকানে গেলে এর চেয়ে অনেক টাকা কম বলবে কারণ সে আত্মবিশ্বাস ছিল। তবে আমি সেই দোকান ছেড়ে চলে গেলাম আমার পরিচিত এই দোকানে। আর একটা ধারণাও পেলাম বাজারে অন্যান্য অসাধু ব্যবসিকরা কি দামে বিক্রয় করে থাকে। যাইহোক আমি এই দোকানে আসার পরে সে আমাকে চিনতে পারল। সে জানে আমি ইতো পূর্বে তাদের সাথে লেনদেন করেছি। দুইটা বালিশের দাম জিজ্ঞেস করলাম কভার সহ। উনি দাম বললেন সাড়ে ৪০০ টাকা করে বেশি। কিন্তু আমার কাছে বেশি টাকা ধরতে পারলেন না। মাত্র ৩০০ টাকার বিনিময়ে দুইটা সুন্দর বালিশ কোণা থেকে কিনে নিলাম। বালিশ দুটো ধরে উনিও আনন্দ সহকারে ফটো উঠালেন। আগে থেকেই বুঝতে পারছেন তার সাথে আমার কেমন সুসম্পর্ক ও মিল। আর পূর্বের দোকানে গিয়েছিলাম সেখানে এই বালিশের দাম বলেছিল ৫৫০ টাকা। ৫৫০ টাকার স্থান থেকে কত টাকা কামানো যায়। সেটা আপনারাই ভালো বুঝতে পারছেন। বাঙালি ব্যবসায়িক সুযোগ পেলে সদ্ব্যবহার করে আর কি। যাইহোক মারুফ আরো একটি নতুন স্থান সম্পর্কে জানল আমার থেকে পরিচিত হতে পারল।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
যেহেতু সামনে গরমের দিন আসছে। গরমের দিন এলেই লোডশেডিং এর সমস্যা সব সময় লেগেই থাকে। আর এ লোডশেডিং থেকে মুক্তি পেতে আমরা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি সবসময়। কিছুদিন আগে আমরা দুইজন দুইটা পাউডার ব্যাটারী কিনেছিলাম সৌর প্যানেলে ব্যবহার করার জন্য। যা দিয়ে কম্পিউটার চালানো সম্ভব। আর এর জন্য প্রয়োজন একটি ইনভাইটার। সেই ইনভাটার কেনার লক্ষ্যে মারুফ একটি দোকানের সাথে আমার পরিচিত করে দিল। বামুন্দি বাজারের সমস্ত ইলেকট্রনিক্স দোকানের মধ্যে এই দোকানটা কিছুটা হলেও দাম কম ধরে। আমি দোকানে প্রবেশ করার পরে দোকানদার ভাই বললেন এই ইনভার্টারটার বর্তমান বাজারে মূল্য বারোশো টাকা কিন্তু আপনি আমার সুপরিচিত আপনার কাছে তো আর বেশি ধরতে পারি না। যেটা পূর্বে কিনা যেভাবে বেঁচে ছিলাম সেই দামে আপনার কাছ থেকে নিতে হবে আমার এই বলে এক হাজার টাকায় ১০০০ ওয়াটের একটি ইনভার্টার তাকে দিয়ে দিল। এই দোকানটিতে প্রবেশ করার পূর্বে আরো কয়েকটি দোকানে গিয়েছিলাম সেখানে এই ইনভার্টার এর দাম বলেছিল ১৩ -১৪ শত টাকা। তবে এর দাম ৮০০ টাকা ছিল। হঠাৎ করে দাম বাড়া শুরু হয়ে গেছে গরম না আসতে। এছাড়া আরো কিছু জিনিস এই দোকান থেকে কিনে নিলাম কম দামে যা বাজারে অন্যান্য দোকানে এর দাম গুলো একটু বেশি।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
আমরা দুইজন বামুন্দি বাজারে গেলে হয় ঝাল মুড়ি অথবা সিঙ্গারা না হয় বড়া জাতীয় কোন কিছু খেয়ে থাকি। তবে কতদিন এ সমস্ত খাওয়া বিষয়টা আর হয়ে উঠেছিল না। খোঁজ করেছিলাম লিটন মিয়ার ঝাল মুড়ি। নির্দিষ্ট স্থানে যেখানে লিটন মিয়া ঝাল মুড়ি বিক্রয় করে থাকে সেখানে তাকে খুঁজে পাইনি আমরা। তাই দুইজন ভাবলাম নির্জন কোন স্থানে যেয়ে বড়া ও চপ খেলে ভালো হয়। তাই বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা ও শাকসবজি কেনাকাটা শেষ করে দ্রুত চলে এলাম বন্দীবাজার ছেড়ে নিকটস্থ একটি বড়ার দোকানে। এই স্থানটার নাম বাদিয়াপাড়া। তিন রাস্তার মোড়ে কিছুদিন ধরে একটি দোকানদার ভাই বড় আর চপ বানিয়ে বিক্রি করে থাকে সন্ধ্যা টাইমে। আমরা এখানে এসে উপস্থিত হলাম। যেহেতু কিছুটা গ্রাম এলাকা যার জন্য সন্ধ্যার পরে মানুষের তেমন একটা আনাগোনা ছিল না। মোবাইল ঘড়ি লক্ষ্য করে দেখলাম তখন সন্ধ্যা সাতটা বাজে। প্রথমে দুইজন কুড়ি টাকার বড়া কিনে নিলাম। খেয়ে দেখলাম দারুন স্বাদ। এরপরে কুড়ি টাকার চপ।চপ খেয়ে বুঝতে পারলাম তেমন একটা স্বাধের নয়। তাই পুনরায় আবারো বড় খাওয়ার চেষ্টা করলাম। আর এভাবে কুড়ি-পচিশ মিনিট কেটে গেল এ দোকানে। বড় খাওয়া শেষ করে খুব দ্রুত ৭-৮ কিলো পথ অতিক্রম করে নিজের বাসায় চলে আসার চেষ্টা করলাম। আর এরই মধ্য দিয়ে আমার সুপরিচিত সাধু ব্যবসাদেরকে চেনাতে পারলাম মারুফকে। আর মারুফও আমাকে তার সুপরিচিত সাধু ব্যবসায়ীদের চেনালো।
Photographer: myself
Photography device: Infinix hot 11s
location
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৭ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|