'আমার বাংলা ব্লগ' প্রতিযোগিতা - ২১ || ইউনিক পটলের রেসিপি || ১০% লাজুক খ্যাঁকের
আজ - বৃহস্পতিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন যে আমার বাংলা ব্লগ কর্তৃক সুন্দর একটি কনটেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের কনটেস্ট পটল রান্নার রেসিপি। ব্যাপক ব্যস্ত থাকার কারণে এতদিন কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করতে পারে নাই। কারণ রান্নাবান্না তো মহিলাদের কাজ যখন নিজেকে করতে হয় তখন একটু টাইম লাগবে। তবে সবকিছুর মধ্যে থেকে সময়ের মধ্যেই এই দারুণ কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে আমার রেসিপি দেখে। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপি উপাদান গুলো, রান্নার ধাপ গুলো ভালোভাবে দেখে আসি। প্রথমে দেখে নেওয়া যাক উপাদান গুলোর তালিকা। |
---|
১. | মাছ | সাত পিচ |
২. | পেঁয়াজ কুচি | তিন পিস |
৩. | রসুন কুচি | দুই পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | পাঁচ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ৫০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | আলুর ফালি | হাফ কেজি |
১২. | পটলের ফালি | পরিমাণ মতো |
প্রথমে মাছের খন্ড গুলো একটি গামলার মধ্যে নিয়ে ঝাল হলুদের গুড়া ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
এবার কড়াই এর মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে তেল ঢেলে দিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিলাম এবং ভাজা শুরু করলাম। কিছুটা সময় ধরে মাছগুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ভেজে নিলাম। যেন কোন স্থানে কাঁচা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে মচমচে করে ভেজে নিলাম।
মাছ ভাজা হয়ে গেলে মাছ উঠিয়ে নিলাম এবং কড়াই এর মধ্যে পুনরায় তেল ঝাল পেঁয়াজ রসুনের ফালি গুলো দিয়ে নিলাম।
এবার গরম তেল ঝাল পেঁয়াজের উপর আলু ও পটলের ফালি গুলো দিয়ে দিলাম।
এবার আলু পটলের ফালির উপরে যাবতীয় মসলাগুলো একের পর এক দিয়ে নিলাম সবজি রান্নার উদ্দেশ্যে।
মসলাগুলো, ঝাল পেঁয়াজ আর সবজির ফালি গুলো একত্র ভালোভাবে মিক্সার করে নিলাম চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আলু পটলের ফালি গুলোতে সমস্ত মসলা লেগে গেছে। সেই সাথে চুলার আগুনে সমস্ত উপাদান গুলো গরম হয়ে গেছে। আমিও এ পাশ থেকে চুলা জ্বাল দিতে থাকলাম আর বারবার করে চামচ দিয়ে সবজি উল্টিয়ে পাল্টিয়ে নাড়তে থাকলাম। সমস্ত উপাদান একসাথে সেদ্ধ হতে থাকলো।
সমস্ত উপাদান যখন ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেল যখন তার মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কারণ পরিবারের সকলের ঝোল তরকারি পছন্দ করে।
সবজিগুলো যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে সিদ্ধ হয়ে গেল তখন সবজির মধ্যে মাছ ভাজা গুলো দেওয়ার জন্য রেডি থাকলাম। তবে মাছ ভাজা গুলো দেওয়ার আগে একবার ভালোভাবে সবজিগুলো চেক করে নিলাম ঝাল লবণ ঠিকঠাক ছিল কিনা। কারণ ভাজা মাছ দেওয়ার পরে ঝাল লবণ দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই, ভাজা মাছগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার আগের চেক করে নেয়াটা উচিত।
এবার মাছগুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে পুনরায় জ্বাল দেওয়া শুরু করলাম। এভাবে কিছুটা সময় পার হল।
কিছুটা সময় পর যখন রান্না সম্পূর্ণ হলো তখন পটলের তরকারি গুলো কড়াই থেকে নামিয়ে একটি গামলার মধ্যে রাখলাম। বাতাসের সাথে দারুন মিষ্টি গন্ধ নাকের এসে লাগতে থাকলো।
খাবার টাইমে পরিবারের সদস্যদের মাঝে বন্টন করার মধ্য দিয়ে আমার আজকে কার্যক্রম সমাপ্ত হলো। তবে পরিবারের সকল সদস্যের মোটামুটি ভালো বলেছিল আমারে রেসিপি। এখন আপনাদের বিচারের পালা।
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | mobile Itel vision 1 |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | Al duel camera-8mp/50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
মাছ দিয়ে পটল রান্না করেছেন দারুন হয়েছে। এভাবে কখনো খাইনি তবে আজকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
চেষ্টা করুন ভাই একবার খেয়ে দেখুন ভালো লাগবে।
তেলাপিয়া মাছ দিয়ে পটলের রেসিপি অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মন ভরে গেলো ভাই। আপনি খুব সুন্দর ভাব্র প্রতিটি ধাপ দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই খুশি হলাম আপনার এত সুন্দর মন্তব্য দেখে।
পটল দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর তেলাপিয়া মাছ রান্না করেছেন। মাছ এভাবে সবজি দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
একদম ঠিক কথা বলেছেন। আপনিও চাইলে আমার মত রান্না করতে পারেন।
ভাই আপনার এই রেসিপি দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে। আপনার এই রেসিপি এতো সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে সাজিয়েছেন এখন মনে হচ্ছে রেসিপিটা আমিও তৈরি করতে পারবো। অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটা ধাপে ধাপে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
চেষ্টা করুন খুব সহজেই বেড়ে যাবেন তবে মার্ক টাউন গুলো ভালো হবে মনে রাখতে হবে।
পটল এবং তেলাপিয়া মাছ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ইউনিট একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন মামা। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মামা।
তাহলে অনেক লোভনীয় হয়েছে আমার রেসিপি।
মাছ রান্নাটা দারুণ লাগছে। সত্যি বলতে আপনি যখন বললেন রান্নার পর বাতাসে মিষ্টি গন্ধ হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল সেই সুমিষ্ট গন্ধ আমি এখান থেকে পাচ্ছি। সব মিলে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই বোন দুজনে মিলে দুই প্রান্ত থেকেই মিষ্টি বন্ধ গ্রহন করেছি।
সত্যি ভাই আপনার রেসিপি টা অসাধারণ ছিল এবং সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার রেসিপির ধাপ গুলি ধাপগুলো বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়ে গেছে আমাদের মাঝে উপস্থিত করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সাবলীল ভাষায় এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
দারুন ছিল আপনার রেসিপি টা। তেলাপিয়া মাছ ভাজি করলে এমনিতেই মজা একটু বেশি হয়। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রান্না ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
মাস আগে ভেজে নিয়ে তারপর সবজির মধ্যে দিলে পারে বেস্ট টেস্ট হয়।
প্রথমে অভিনন্দন রইল আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় একুশে অংশগ্রহণ করার জন্য।
রেসিপিটা বেশ ভালই। বিশেষ করে এমন রেসিপি টেস্ট অনেক বেশি হয়ে থাকে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
চেষ্টা করলাম সকলের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করার জন্য।
পটল এবং মাছের মিশ্রণে মজাদার এবং লোভনীয় রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে।।
যেহেতু মাছ দিয়ে রান্না করা হয়েছে তাই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।