বিভিন্ন পর্যায়ের রেনডম ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি একটু ভিন্ন ধরনের রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করব আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। আর এ পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সোলার পাম্প। প্রচন্ড গরমের কারণে লোডশেডিং হওয়ায় টিউবয়েলে এর মোটর গুলো যখন বন্ধ থাকতো তখন বিকল্প হিসেবে এই সোলার মটর সেট করা হয়েছিল। এ মোটরটা এখন পর্যন্ত খুব সুন্দর সার্ভিস দিয়ে চলেছে। যে মুহূর্তে টিউবওয়েল পানি কম উঠতো তখনও পানে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আর এখন তো বর্ষার সময় তাই পানির স্তর উপরে চলে আসায় এ মোটর দিয়ে এখন মোটামুটি একটু বেশি পানি ওঠে। তাই বলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ মোটর টাই বেশ ভালো সার্ভিস দিচ্ছে আমাদের।
এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রমজান মাসের আমাদের মসজিদের দ্বিতীয় ইফতারি। আমাদের মসজিদে সারা রমজান মাস ধরে প্রত্যেক দিন ইফতারের আয়োজন করে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তের ফটো ধারণা ছিল এটা।
মেয়ের প্রথম অসুস্থতায় মারুফ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছিলাম। ডাক্তারকে দেখানোর পর এই সমস্ত জিনিস ব্যবহার করে মোটামুটি বাবু সুস্থ হয়ে উঠেছিলাম। তবে ইদানিং বাবু আবার হঠাৎ অসুস্থ হয়েছে। তাকে আবার সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু বৃষ্টির কারণে এখনো যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
বামুন্দী যাওয়ার পথের সুপরিচিত একটি স্থান বাদিয়াপাড়া মহাব্বতপুর তিন রাস্তার মোড়। এই জায়গাটা খুবই নিরিবিরি। মাঝেমধ্যে প্রচন্ড রোদ গরমের কারণে এ জায়গায় এসে আমরা বিশ্রাম নিয়ে থাকি। খুবই সুন্দর একটি জায়গা যেখানে কাঁঠাল বাগান, মেহগনি গাছের বাগান রয়েছে, তার নিকটে রয়েছে একটি ইটের ভাটা।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের আমের একটি সুন্দর ফটো। কোন এক সন্ধ্যার সময় আম গাছেরে সুন্দর চিত্র ধারণ করা হয়েছিল। আমাদের এই আমগাছটা বেশ ভালো মানের। প্রতি থোকায় অনেক অনেক আম ধরে থাকে।
প্রচন্ড গরমের মুহূর্তে প্রশান্তির খোঁজে যখন আমরা একটু শীতল বাতাসের জন্য বাইরের পরিবেশে অবস্থান করি, ঠিক তেমনি গরমের আরাম পেতে এভাবেই আইসক্রিম কিনে ফ্রিজে রেখে খাওয়ার চেষ্টা। আর আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। বিশেষ করে গরমের দিনগুলোতে আমরা আইসক্রিমের সন্ধান বেশি করে থাকি। আর যারা আমার মত আইসক্রিম প্রেমিকা রয়েছে তারা তো কিনে এনে ফ্রিজে রেখে দেয়, ইচ্ছে হলে খাওয়ার চেষ্টা।
বর্ষার সময় মানে সবুজের সমারোহ। আমাদের জন্মভূমির মাটি এতটাই উর্বর, একটু বৃষ্টি হলেই সব জায়গায় এভাবেই বিভিন্ন আগাছা বাড়তে থাকে। আর পুকুর পাড়গুলোতে এমন খ্যাড় বা উলু ঘাস বেড়ে যায়। এজন্য পুকুরে চলাচল হয়ে ওঠে বেশ কঠিন। এর মধ্যে বিভিন্ন বিষাক্ত সাপের ও সমস্যা সৃষ্টি হয়। এমন বন জঙ্গলের মধ্যে বেশ কয়েকবার দিন ও রাতে বিষাক্ত সাপের সম্মুখীন হয়েছি।
এবার ফটোতে আপনার লক্ষ্য করছেন ঢেঁড়স সবজির ফটোগ্রাফি। অন্যান্য শাক সবজির তুলনায় এটা একটু বেশি পছন্দ করে থাকি আমি। ঠিক এই জন্য পুকুর পাড়ে সবজি বাগান গুলোর মধ্যে যে সমস্ত সবজি উৎপাদন করি না কেন, অবশ্যই ঢেঁড়স থাকবেই।
এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুইটা ফটোতে পুকুর সংস্কারের চিত্র। পুকুরগুলো প্রায় মেরামত করা লাগে। যে যেমন পারে প্রত্যেক বছর পুকুর মেরামত করে, আবার অনেকেই ২-৫ বছর পরে এভাবে পুকুর মেরামত করে, এতে পুকুরে দ্রুত মাছ বৃদ্ধি পায়।
কোন এক জোৎস্না রাতে পুকুর পাড়া করতে গিয়ে মাঠ থেকে ফটো ধারণ করা হয়েছিল। কলা গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে চাঁদমামা যেন উঁকি দেয়। চাঁদের আলোয় বন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পথচলা। হয়তো রাসেল ভাইপারের আতঙ্ক সামনে এসেছে, তবুও এখনো এভাবে জোৎস্না রাতে পুকুরের দিকে যেতে হয়।
শীতের পূর্বে রেকেট খেলার জন্য বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টনের ঘর কাটার মুহূর্ত। দীর্ঘদিন জায়গাটা বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে তবে শীতের সময় আসলে এই জায়গা হয়ে ওঠে তরতাজা এবং জনাকীর্ণ। ঠিক এভাবেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে খেলাধুলার উপযুক্ত করা হয়। গতরাতে যখন এই জায়গায় অবস্থান করছিলাম তখন খুবই খারাপ লাগছিল বিভিন্ন বন জঙ্গলে ছেয়ে যাওয়া দেখে।
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনি আজকে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী দিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শীত কালের ব্যাটমিন্টন খেলার দৃশ্য টি খুবই সুন্দর করে ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে ভাইয়া আমি ব্যাটমিন্টন খেলতে অনেক ভালোবাসি।
হ্যাঁ ভাই শীতের আগে এই ঘর কাটা হয়েছিল।
বিভিন্ন পর্যায়ের খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অনেক ছবি তুলেছেন প্রত্যেকটা ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে । সোলার মোটর আগে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি আপনার ছবির মাধ্যমে দেখে নিলাম । প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে । এক একটা ছবির সাথে এক একটা সুন্দর মুহূর্ত লুকিয়ে আছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভালো লাগলো ।
এই মোটরটার মাধ্যমে পানি উঠায়
ভাইয়া আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফির সাথে দেখছি আপনার বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ঠিকই বলেছেন বর্ষার সময় চারপাশে সবুজের সমারোহ হয়। ছোট ছোট এই ঘাস গুলো খুব ভালো লাগে দেখতে তখন। ওই ফটোগ্রাফি টাও খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আমাদের দেশের মাটি উর্বর এজন্য বসার সময় এমন বেশি হয়
ভাই আপনি অনেক সুন্দর করে ছবি তুলেছেন। চাঁদের ছবি টি অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
চেষ্টা করেছি ভাইজান
আপনার তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া। আমার কাছে সব সময় এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে ঢেঁড়সের ফটোগ্রাফি টা দারুন হয়েছে। ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কারণ আপনি সবসময় একটু ব্যতিক্রম ধর্মী ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন। আপনার আজকের ফটোগ্রাফির মধ্যে বিশেষ করে আইসক্রিমের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব ভালো লাগলো সুন্দর মন্তব্য দেখে
ভাইয়া আপনি অসাধারণ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। তবে আপনাদের গাছের আমের ফটোগ্রাফি ও তিন রাস্তার ফটোগ্রাফিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে পুকুর পাড়ে ঘাসের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। যদিও আমরা এই কাজগুলোকে চন বলে থাকি। আর বর্ষাকালে এই ঘাস গুলোর মধ্যে বিষাক্ত সাপ থাকে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইজান