আপনজনদের সাথে ঈদ-উল-আযহার ঈদের নামাজ পড়ার আনন্দঘন মুহূর্ত শেয়ার
আজ - রবিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা, সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আজ পবিত্র ঈদুল আযহার দিন। ঈদ সকলের জীবনে বয়ে নিয়ে আসে আনন্দ। তাই সেই আনন্দটা সকলের সাথে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে ভাগাভাগি করে নেওয়া মুসলমানের দায়িত্ব। এই ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের সকলের কম বেশি স্মৃতি রয়েছে, আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। আজ ঈদের দিন তাই আমি ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম আমাদের ঈদগাহে, সেখানে গ্রামের সমস্ত মানুষের সাথে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। সবার সাথে একত্রিত হয়ে নামাজ পড়তে অনেক ভালো লাগে। আর আজকের সেই ভালোলাগা প্রথম থেকে শেষ মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ঈদের নামাজ
আজকের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল সকাল সাড়ে সাতটার সময়। তাই সকাল সাতটার সময় আমি আমার ভাই পাড়া-প্রতিবেশী মিলে ঈদগাহর দিকে রওনা হয়েছিলাম। সকলের যে যার মত নতুন পোশাক পরে আর সকলের কাছে নামাজ পড়ার জন্য ছিল একটি করে জায়নামাজ।
ঈদগাহে পৌঁছানোর পর লক্ষ্য করলাম অনেকেই ফটোগ্রাফি করছে, পাড়া-প্রতিবেশী বন্ধুরা মিলে আসন গ্রহণ করলাম এবং আমিও চেষ্টা করলাম @marufhh এর মত সামনে পিছনে ফটোগ্রাফি করে রাখার।
কিছুটা সময় পর ইমাম সাহেব সকলকে কাতারবদ্ধ ভাবে দাঁড়াতে বলল এবং তারপরে বসতে বলল। জেনো সবাই নিজ নিজ আসন গ্রহণ করতে পারে এবং শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
নামাজ শেষে ইমাম সাহেব কিছু খুতবা পড়লেন এবং বক্তব্য দিলেন। আর এই সুযোগে দেখলাম অনেকেই ফটোগ্রাফি করছে। আমিও চেষ্টা করলাম ফটোগ্রাফি করার জন্য। আর এর সাথে অনেক মানুষ নির্দিষ্ট করা ছিল প্রতি লাইন থেকে ঈদগাহ উন্নয়নের জন্য চাদা কালেকশন করবে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছিল। আমিও চেষ্টা করলাম কিছু টাকা দেওয়ার জন্য, যেহেতু ঈদগাহ আমাদের নিজেদের। তাই আমারও কর্তব্য ঈদগাহ উন্নয়নের সহায়তার হাত বাড়ানো।
নামাজ শেষ গ্রামের মানুষ আপনজনদের সাথে, বন্ধুদের সাথে মত বিনিময় ও কোলাকুলিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। অনেকে আমার মত ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত হয়েছিল। তবে সুন্দর নিয়ম শৃঙ্খলা দেখলাম এখানে কোন হইচই বা ধাক্কাধাক্কি নেই গেট থেকে বের হওয়ার সময়। সকলেই ধীরে সুস্থে আস্তে আস্তে গেট থেকে বের হচ্ছিল। মানুষের এমন সুন্দর ব্যবহার ও নিয়ম-শৃঙ্খলা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমাদের গ্রামের ৯৫% মানুষ শিক্ষিত। আমাদের গ্রামে প্রাইমারি,হাই স্কুল,মাদ্রাসা, ঈদগাহ, ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস,পুকুর পার্ক এবং চারটি মসজিদ রয়েছে। এই সমস্ত কারণে আমাদের গ্রামের মানুষ শিক্ষিতের হার বেশি। সর্বস্তরের চাকুরীজীবী রয়েছে আমাদের গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরও রয়েছে আমাদের গ্রামের সন্তান,আরো রয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যার ফলে সর্বস্তরের শিক্ষিত মানুষেরা খুব সুন্দর নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলতে পারে এবং অন্যদের চলাতে পারে।
আমরা কয়েক বন্ধু মিলে একত্রিত হয়ে ফটো উঠালাম এবং মতবিনিময় করলাম। তবে আমাদের মধ্যে 'আমার বাংলা ব্লগ' কমিউনিটির তিনজন সদস্য একসাথে ছিলাম। বাকি পাঁচ-ছয় জন পাশ ছিল না।
নামাজ শেষে সকলেই আবার রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম বাড়ি রহনার উদ্দেশ্যে। তবে যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম সে রাস্তা দিয়ে নয়, এটা ভিন্ন রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। তবে এ রাস্তায় পুকুর পার্ক রয়েছে।
পুকুর পার্ক এর পাশের রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে চলছিলাম। এই মুহূর্তে আকাশের সুন্দর দৃশ্য আমাকে মুগ্ধকর ছিল। সাথে চলা মানুষের সংখ্যা কম হয়ে আসছিল। পুকুরপার্ক পাশ দিয়ে অতিক্রম করার পরেই আমাদের গ্রামের হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল। অবশ্য এইগুলো ফটোগ্রাফি করে অন্য কোন একদিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমাদের ঈদগাহ বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। তারপরেও গ্রামের মানুষের সুন্দর একটা নিয়ম নীতি রয়েছে। ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় কেউ মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবে না। সবাই পায়ে হেঁটে এক রাস্তা দিয়ে আসবে আর অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরবে। তবে এই নিয়মটা দীর্ঘদিন চলে আসছে আজ পর্যন্ত। গ্রামটা অনেক বড়, তিন চার কিলো। তবে একটা ঈদগাহ থাকায় মানুষের সুন্দর মিলন মেলা হয় ঈদের দিনে। ফিরতে পথে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে ফটো উঠালাম।
প্রথম ফটোগ্রাফিতে মাঝখানের সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত চাচা ইসলাম বিষয়ে সুন্দর কথা বলছিল।আমরা মাছে ভাতে বাঙালি, সেটা হয়তো অবশ্যই লক্ষ্য করে দেখছেন আমাদের চারিপাশে পুকুর গুলো দেখে। আর এভাবেই সমাপ্ত হলো আজকের ঈদের নামাজের আনন্দ অনুভূতিটা, পৌঁছে গেলাম বাড়িতে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ার মজাই আলাদা। যদিও আমি আজ পর্যন্ত ঈদগায় ঈদের নামাজ আদায় করিনি। তবে আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ঈদের দিনের সবচাইতে আনন্দদায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত মনে হয় এটাই। ধন্যবাদ মূর্তগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য
ঈদের দিন ঈদগাহে নামাজ পড়েন না, তাহলে কোথায় পড়েন?
মসজিদে
আপনজনদের সাথে ঈদ-উল-আযহার ঈদের নামাজ পড়ার আনন্দঘন মুহূর্ত আসলেই অনেক আনন্দের। আপনজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারলে তৃপ্তি পাওয়া যায়। আপনি অনেক চমৎকারভাবে ঈদগাহে সময় কাটিয়েছেন খুবই আনন্দের সাথে দেখেই বোঝা গেল। আপনার ঈদ আনন্দময় হোক ঈদ মোবারক।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই আসলেই ঈদ মানে খুশি আর এই খুশিটা সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়াটাই বড় ব্যাপার। আর মুসলমানদের এই ঈদকে ঘিরে কিছু স্মৃতি রয়েছে যা আমরা সকলেই সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
সেজন্য আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনাকে ঈদ মোবারক ভাই।
ঈদের দিন সবাই একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করা সত্যি এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে বলুন😊। সবার সঙ্গে দারুণভাবে উৎযাপন করেছেন ঈদটা। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঈদ মোবারক। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ঈদের নামাজ পড়ার অনুভূতি নিয়ে আপনি অনেক বড় একটি লেখা লিখেছেন। আপনার ফটোগ্রাফ গুলো অনেক সুন্দর ছিল। পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ছবিটি মুসুল্লিরা নামাজের জন্য দাঁড়িয়েছে এই ছবিটি আমার নিকট অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ চমৎকার ঈদ উদযাপনের জন্য। পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফি গুলো এক পোস্টের মধ্যে শেয়ার করে একটা স্মৃতি করে রাখি।