হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। যেখানে অনলাইন থেকে কেনাকাটা সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি, আর এই থেকে বেশ সুন্দর ধারণা পাবেন আপনারা।
আপনারা সকলেই জানেন অনলাইন থেকে কেনাকাটার মধ্যে অনেক সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। তবে বুঝে শুনে কেনাকাটা করতে পারলে অনেক কিছুই কেনা সম্ভব অনলাইনের মাধ্যমে। ঠিক তেমনি আমিও পছন্দ করি অনলাইন থেকে ইলেকট্রনিক্সের জিনিস কেনাকাটা করতে। তবে বিকল্প জিনিস হলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। আর ঠিক সেই বিকল্প হিসেবে আমি এবার অনলাইনে অর্ডার করেছিলাম একটি সোলার চালিত মোটর পাম্প। কারণ আপনারা জানেন দীর্ঘদিন আমার আম্মু অসুস্থ, পরিবারে ভাবি এবং আমার পরিবার সিজার করে তাদেরও সমস্যা। এদিকে প্রচন্ড গরমে লোডশেডিং হয়ে থাকে তাই কারেন্টের মোটর চালানো সম্ভব হয় না সব সময়। তাই বিকল্প হিসেবে যদি সোলার মোটর পাম্প টিউবওয়েল এর সাথে লাগানো যায় তাহলে সুবিধা হবে কারেন্ট না থাকলেও। আর সেই চিন্তায় youtube চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ঢাকাতে অর্ডার করেছিলাম। যাইহোক আমার এই সোলার মটর পাম্প আসবে সোনারগাঁও ট্রান্সপোর্ট এর মাধ্যমে গাংনীতে । যেদিন মাল চলে আসলো আমাকে ফোন করে জানানো হলো। তাই আমি আমার বন্ধু মারুফ আর মোস্তাফিজুর সন্ধ্যা বেলায় উপস্থিত হলাম নির্দিষ্ট জায়গায়।
উপস্থিত হয়ে ট্রান্সপোর্টের ভাইদের কাছে ফোন দিলাম, আমরা উপস্থিত। উনারা দোকান বন্ধ করে চলে গেছিলেন। আমার ফোন দেওয়ার পর আবার আসলেন, এরপর আমার নির্দিষ্ট মাল বুঝে নেওয়ার জন্য কাগজ হাতে ধরিয়ে দিলেন। কাগজ হাতে নেওয়ার পর সব ঠিকঠাক আছে কিনা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। কারণ শুধু যে আমার মোটর পাম্প রয়েছে তা নয়, এখানে মুস্তাফিজুরের জন্য একটা ফ্যান আর কন্ট্রোলার ছিল। যাহোক দেখলাম এখানে ১০০ টাকা বাকি রয়েছে এমনটা লেখা ছিল বাকি পরিশোধ করলাম এটা ট্রান্সপোর্ট/কুরিয়ার চার্জ। হয়তো অনেকের ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। আমরা কুরিয়ারের মাধ্যমে জিনিস যেমন আদান প্রদান করি ঠিক সেভাবে ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়। তবে ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রে আগে থেকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর কুরিয়ারে মাল হাতে পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করতে হয় মূলত এটাই পার্থক্য। তবে ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা গুলো বেশি ভালো থাকে এখানে কোন মাল ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় থাকে না। হয়তো অনেকেই অনেক টাকা পরিশোধ করার পর মাল হাতে পাবে এমনটার ভয়ে ট্রান্সপোর্টে মালামাল নিতে চায় না। তবে আমার কাছে এটা সুবিধা বেশি আগে থেকে অর্ডার করে টাকা পরিশোধ করে দেই তারপরে খুব সহজে এক দিনের মধ্যে মাল পৌঁছে যায়। এখানে ভাঙার ভয়ও থাকেনা আবার যে টাকা মেরে যাবে এমনটাও কিন্তু ভয় থাকে না। তবে আমি ইউটিউবের মাধ্যমে যোগাযোগ করে মাল নিয়ে থাকি এটা বড় রিক্সের বিষয়। দুই নাম্বার ব্যবসা করে টাকা সহজে মেরে দিতে পারে। তবে আপনারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন না করে কখনোই ট্রান্সপোর্টে মাল নিতে যাবেন না কারণ আগে টাকা সব পরিশোধ করা লাগে। আর বিশ্বস্ত মানুষ পেলে বা যোগাযোগ হয়ে গেলে সেখান থেকে নেওয়া আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ঠিক আমার এমন কেনাকাটার বিষয় বুঝে শুনে নিতে পারেন।
এরপর আমরা গাংনীতে সোনারগাঁও ট্রান্সপোর্ট এর দোকান থেকে আমাদের মালের প্যাকেট ভেঙে দেখলাম তিনটা জিনিস ঠিক আছে কিনা। তবে সবচেয়ে বড় একটা খুশির বিষয় ছিল এটা যে আমরা যখন গাংনীতে উপস্থিত হলাম,ওই মুহূর্তে ঢাকা থেকে সেই ভাই, যার কাছ থেকে মাল নিয়েছি উনি আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। প্রশ্ন করেছিলেন ভাইয়া আপনি মাল হাতে পেয়েছেন? তখন আমি বলেছিলাম ভাইয়া মাল এখনো হাতে পায়নি তবে আমরা এসে উপস্থিত হয়েছি। সোনারগাঁও ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে আমাদের ফোন দেয়া হয়েছিল তাই মাল রিসিভ করতে এসেছি। যাইহোক এমন আন্তরিকতা রয়েছে এবং সততা রয়েছে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে মাল নেওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রথমে মনে করেছিলাম বক্স ভাঙ্গবো না এরপর দেখলাম আমরা দুইটা মোটরসাইকেল নিয়ে চারজন মানুষকে ছিলাম। তাই মোস্তাফিজুরের মাল ওর হাতে বুঝিয়ে দেওয়া আর নিজের মাল দেখে নেওয়াটাই উত্তম এখান থেকে। বক্স খোলার পর পর দেখলাম সব জিনিস ঠিকঠাক রয়েছে।
এরপর বাড়িতে এনে মোটরের বক্স খুলে দেখলাম ভিতরে সব জিনিস ঠিক আছে কিনা। তখনো দেখলাম সমস্ত জিনিসগুলো ঠিকঠাক দিয়েছেন। তারপর চেষ্টা থাকলেও মোটরটা সেটআপ করতে হবে টিউবয়েলের সাথে। আর চিন্তা হয়েছিল টিউবয়েলের পাইপ থেকে পানি উঠাতে পারবে কিনা। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ প্রচন্ড রোদ গরমের মুহূর্তেও আমাদের টিউবয়েলে পানি রয়েছে এবং এই সোলার পাম্প থেকে পানি উঠেছে। আর এখন পর্যন্ত বেশ ভালো পানি উঠছে। যখন বৃষ্টি হয়েছিল না তখনও সুন্দর পানি উঠছে, আর এখন তো আরো বেশি উঠছে। তাই আপনারা চাইলেও ঠিক এভাবে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে সৌর চালিত জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। এই মোটরটা ১২ ভোল্টের। এই মোটরটা একটি ১২ ভোল্টের ডিসি ব্যাটারি অর্থাৎ পাখি ভ্যান বা রিক্সার ব্যাটারির মাধ্যমে খুব সহজে চালিয়ে পানি উঠানো সম্ভব।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | কেনাকাটা |
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
আমাদের টিউবওয়েল এ দ্বিতীয় মোটর হিসাবে সোলারের বা ব্যাটারির মোটরটা খুবই উপকারী হয়েছে। এখন যেন কারেন্ট থাকলেও সমস্যা নেই না থাকলেও সমস্যা নেই। যে কোন মুহূর্তে আমরা এ মোটর চালিয়ে পানি উত্তোলন করতে পারি।
হ্যাঁ একদম ঠিক কথা