ছাত্র ছাত্রীর মেধা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রশিক্ষণ
আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকের বিষয় আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর মেধা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন। আর সেই অনুষ্ঠান থেকে বিশেষ বিশেষ মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আপনাদের মাঝে। তাই আর দেরি না করে প্রধান বিষয়ে চলে যাওয়ার যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ডিবেটিং ক্লাসের ফটোগ্রাফি
বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগ আর এই যুগে সমস্ত কিছুর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে নিজেকে সুযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই শেষ সকল চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর মেধা উন্নয়ন ও সত্য প্রতিবার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে চালু করা হলো বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
হয়তো ডিবেটিং ক্লাস সম্পর্কে বেশি অবগত আমরা নই। তারপরে অনেক ডিবেটিং ক্লাস দেখেছি টিভি বা ইউটিউবে। তাই সেই থেকে ধারণা লাভ করে ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়ে অবগত করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি তাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা চালু করার। তাই কিছুদিন আগে থেকে শুরু করেছি ডিবেটিং ক্লাস।
সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমি আর জান্নাতুল মাওয়া ম্যাডাম পরিচালনা করে থাকি তবে এই ডিবেটিং ক্লাসে আমি তেমন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারছি না এজন্য যে ক্লাস শেষে এই ক্লাস নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিন্তু এদিকে আমি সাতটা ক্লাস নিয়ে বড়ই ক্লান্ত হয়ে যায় যার জন্য চেষ্টায় রয়েছি জান্নাতুল মাওয়া ম্যাডাম আর অন্যান্য শিক্ষকেরা কার্যক্রম ভালোভাবে শুরু করুক আমি কিছুটা নীরব থেকে বিস্তারিত ভালোভাবে বুঝে নেই এবং ইউটিউব দেখে ভালো অনুশীলন করে তারপরে মুখ খুলবো। তাই সবে মাত্র শুধু ফটোগ্রাফি পাশাপাশি উপস্থিত থেকে দু একটা কথা বলে ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানোর মধ্য দিয়েই আমার অংশগ্রহণ। জান্নাতুল মাওয়া ম্যাডাম আর জাহাঙ্গীর স্যার বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের খুব সুন্দর ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল কিভাবে ডিবেটিং ক্লাস হয়ে থাকে।
আমি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ রাখা ও মাঝেমধ্যে কিছুটা করে বুঝানোর দায়িত্ব নিয়ে বসে পড়েছিলাম ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। যথেষ্ট খিদে লেগে যাওয়ায় বেশি কথা বলতেন ইচ্ছে হয়েছিল না। তাই চুপ মেরে বসে থেকে দু-একটা কথা বলে চেষ্টা করেছিলাম এদিক ওদিক থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে রাখি যেহেতু নতুন একটু বিষয় তাই ভালো লাগা কাজ করছিল সবার মনে। লক্ষ্য করলাম ছাত্র ছাত্রীর মনে এই বিষয়ে বেশি আবেগ আপ্লুত। খুবই ভালো লেগেছিল তাদের এই বিষয়ে বেশি মনোযোগী হওয়া দেখে তবে তারপরে তাদের বুঝিয়েছি এটা আমাদের জন্য জরুরী নয় ক্লাসের পড়াটা আবশ্যিক পাশাপাশি এই বিষয়ে আমাদের বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে হবে সেভাবে তোমাদের উভয় বিষয়ে মনোযোগী থাকতে হবে। আমার কথাগুলো শুনে শিক্ষকেরা সবাই খুশি হয়েছিল। হয়তো এই অনুষ্ঠানে বেশি কিছু বলিনি তারপরেও যা বলছি এটাই সকলের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। আর মাঝখানে থাকা অবস্থায় চেষ্টা করলাম নিজের সেলফি উঠিয়ে রাখার।
জান্নাতুল মাওয়া ম্যাডাম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটা টপিক্স নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছিল। যে প্রোফাইলের উপর ভিত্তি করে সামনের দিন বিতর্ক প্রতিযোগিতা হবে তাই কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে দুইটা গ্রুপে ভাগ করে দিল। ট্রপিস্টা শেষমেশ আমার কথা মতো এসে দাঁড়ালো 'শহরের জীবনের অপেক্ষায় গ্রামীণ জীবন বেশি আনন্দদায়ক।' সকলে এই টপিক্সটা পাওয়ার পরে খুবই আনন্দিত হলো এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য দুই দলই বিশেষ ইচ্ছা পোষণ করলো। এই টপিকসের উপর ভিত্তি করে বিতর্ক প্রতিযোগিতার রেজাল্ট আপনাদের মাঝে তুলে ধরব সামনে কোন পোস্টে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|