ঈদের ছুটি হওয়ার আগ মুহূর্তের স্কুলের পরিবেশ
আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আর এই পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাদের সাথে উপস্থিত রয়েছি আমি সুমন।
সৃষ্টিকর্তার রাজ্যে আমরা সকলেই সমান। সকলের অধিকার রয়েছে ঈদের আনন্দ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার। আর বাচ্চাদের জন্য সে সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া আমাদের একান্তই কাম্য। আমি ছোট থেকেই বিনোদন পছন্দ করি,তবে সেই বিনোদন হতে হবে রুচিশীল। যা ছোট বড় সকলের সাথে অংশগ্রহণ করে উপভোগ করা যায়। আজ হয়তো তেমন বিনোদন আমার বাংলা ব্লগে হ্যাংআউটে পেয়েছি, এরপরে পেয়েছি আমাদের স্কুলে। যেখানে এসেম্বলি ক্লাস সহ সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্ব আমার কাঁধে। নিজের সাধ্যমত সিনিয়র পারসন এর সাথে পরিচালনা করে থাকি। এসেম্বলি ক্লাসটা পরিচালনা করে থাকি রিটার্ড পারসন শামসুল স্যারের সাথে এবং সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকি শ্রদ্ধেয় জান্নাতুল ম্যাম এর সাথে। আর তাই আজকে আপনাদের মাঝে স্কুল বিষয়ে কিছু কথা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। মূল টপিকস হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটির আগ দিয়ে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোভাব ও শেষ ক্লাস এবং অনুষ্ঠান বিষয়ে কিছু কথা।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীদের ফটোগ্রাফি
ঈদুল আযহার ছুটির পাবার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা যখন ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল, তখন তাদের বলা হয়েছিল একটু ধৈর্য ধরো। ঈদের আগ দিয়ে আজকে তোমাদের শেষ পিটি প্যারোড। তারা খুব মনোযোগ সহকারে এই এসেম্বলি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছিল এবং পিটি প্যারোড করেছিল।
খুব মনোযোগ সহকারে তাদের পিটি প্যারেড করানো হয়েছিল। হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন, আমাদের এই স্কুলে পিটি প্যারট করানোর দায়িত্ব আমার এবং রিটায়ার্ড পারসন শ্রদ্ধেয় শামসুল স্যারের। আপনারা এটা জেনে খুব খুশি হবেন যে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই মনোযোগী এবং শিক্ষকের কথা মান্য করে। আমরা সকলে মিলে অনেকটা একটি ফ্যামিলির সদস্য মতো হয়ে থাকি।
কিছু ছাত্র-ছাত্রী এসে আমার কাছে অনুরোধ করেছিল, স্যার ঈদের জন্য স্কুল ছুটি হয়ে যাচ্ছে আমরা সবাই মিলে অনেকদিন খেলতে পারবো না। তাই যদি আমাদের একটু খেলতে দিতেন তাহলে অনেক খুশি হতাম। আমি তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে খেলার সুযোগ করে দিলাম। বললাম তোমাদের হেড স্যার কিছু বলবে না, চলো তোমরা খেলবে আমি দেখব। ওরা খুবই আনন্দের সাথে ছোট বড় সবাই মিলে খেলা শুরু করে দিল। আর আমি তখন তাদের ফটো ওঠানোর চেষ্টা করলাম। Photography device: Infinix hot 11s
ওরা গোল হয়ে একে অপরের সাথে হাতে হাত রেখে একটি খেলা খেলতে শুরু করেছিল। আমি মুগ্ধ নয়নে তাদের পানে চেয়ে থাকলাম আর স্মরণ করলাম আমার অতীতের সেই স্মৃতিগুলো। যখন প্রাইমারি লেখাপড়া করার সময় আমাদের স্কুল ফিল্ডে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে একত্রে এভাবে খেলতাম। কত না মধুর ছিল সেই স্মৃতিগুলো। তখন মনে হল বাচ্চাদের খেলতে দিয়ে যেন খুবই একটি ভালো কাজ করলাম। সত্যিই এতটা আনন্দ কখনোই কিনতে পারা সম্ভব নয় বা এত জনের মুখে হাসি খুব সহজে ফুটানো সম্ভব নয়। সামান্য একটু অনুমতিতে এত আনন্দিত হলো এরা, যা আমাকে সত্যি অনেক অবাক করে তুলল।
তবে স্কুল গত দিন ছুটি হয়নি এজন্য ছাত্রছাত্রীরা খুবই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। কারণ অন্যান্য স্কুলগুলো অনেক আগেই ছুটি দেওয়া হয়ে গেছে। আজ সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্কুল ছুটি হল সাত দিনের জন্য। তবে ছাত্র-ছাত্রীরা খুব আনন্দের সাথে আজকের অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে। প্রতি সপ্তাহের ন্যায় আজকের অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত,গজল,কবিতা,গান,কুইজ প্রতিযোগিতা,নৃত্য,উপস্থিত বক্তৃতা,পুরস্কার বিতরণী ইত্যাদি সেগমেন্ট গুলো ছিল। অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দের সাথে আজকের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলাম আমি এবং জান্নাতুল মাওয়া ম্যাডাম। তবে এখন একটু অন্যরকম ফিল করতেছি, এই কয়টা দিন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে লেখাপড়া আনন্দ সবগুলোই থেমে থাকবে। না জানি কে কোথায় কি অবস্থায় দিন পার করবে। হয়তো অনেকে নানির বাড়ি যাবে, এ সমস্ত দিনগুলো আমরা অতিক্রম করে এসেছি। সেই দিনগুলো আজ আমাদের স্মৃতির পাতায় ইতিহাস হয়ে রয়ে গেছে এবং সোনালী অধ্যায় রূপে রয়ে গেছে।
ভাবতে ভালো লাগলো আমার ছাত্র-ছাত্রীরা সেই দিনগুলো আজ উপভোগ করছে এবং তার জন্য ছুটি পেয়েছে এক সপ্তাহ। তাই তাদের জন্য দোয়া করি, যে যেখানে যায় না কেন,যে অবস্থায় থাকে না কেন, সকলেই যেন সুস্থ থাকে। সকলের জন্য এটাই দোয়া করব, যেন সামনের ঈদুল আযহার ঈদ এর দিনগুলো আপনজনদের সাথে সুন্দর কাটে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
একথা জেনে ভালো লাগলো যে আপনার স্কুলের শিক্ষার্থীগণ ও শিক্ষকদের খুব সম্মান করে এবং তাদের কথা শুনে এবং আরো জেনে ভালো লাগলো যে আপনার স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ একটা পরিবারের মত। সুন্দর লেখনি ও ফটোগ্রাফ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
হ্যাঁ, এখানে সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখানো হয় এবং ভালো কিছু শেখানো হয়। যার জন্য তারা খুবই সচেতন।
আপনার এই পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় ঈদের ছুটিতে যখন স্কুল বন্ধ হয়ে যেত তখন খুবই আনন্দ লাগতো অনেকদিন বাদে এরকম সুন্দর মুহূর্ত দেখে সত্যি সেই দিনগুলো খুব মিস করছি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের সকলের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এর মধ্যে।
ঈদের ছুটি হওয়ার আগ মুহূর্তের স্কুলের পরিবেশটিঅসাধারণ ভাবে ফুটি তুলেছেন আপনি। সেই সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বারবার মনে পড়ছে ছোটবেলার সেই স্কুলের স্মৃতিগুলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হয়তো শৈশবের স্মৃতিগুলো কিছুটা সময়ের জন্য স্মরণ করতে পেরেছেন।