চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়ৎ ভ্রমণ ও মাছ বিক্রয়ের স্মৃতি
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি চুয়াডাঙ্গার শহরের বেশ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। মাছ বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরে অবস্থান করেছিলাম। এরপর মাছ বিক্রয় শেষে বেশ কিছু জায়গা ঘোরাঘুরি ও ভ্রমণ করেছিলাম। সে থেকে ধারণ করা বেশ কিছু চিত্র আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
Infinix Hot 11s
কুষ্টিয়া মেহেরপুরে নিকটস্থ আরেকটি জেলা চুয়াডাঙ্গা। কুষ্টিয়া শহরের মত বেশ উন্নত এই জেলা। মাছ বিক্রয় সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এ শহরে উপস্থিত হতে হয়। তবে অন্যান্য কারণগুলোর পাশাপাশি মাছ বিক্রয়ের জন্যই বেশি উপস্থিত হয়েছি এই বাজারে। ঠিক তেমনি একদিন মাছ বিক্রয় করতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছিলাম। আর সে মুহূর্তে এ সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো ধারন করেছিলাম। কুষ্টিয়া শহরের মতো বেশ বড়সড়ো মৎস্য আরোত রয়েছে সেখানে। যেদিন মাছ বিক্রি করার প্রয়োজন মনে হয়, তখন বেশ ভাবতে হয় কোন আড়োতে মাছগুলো নিয়ে গেলে বেশি দাম পাওয়া যাবে। আমাদের ছোট্ট গাংনী শহরের বেশ বড় মৎস্য আড়ত রয়েছে। কিন্তু এখানে ব্যাপক মাছ চাষ হয় এবং প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যায় এবং বাজার কমে যায়। ঠিক একই রকমের মেহেরপুর মৎসরত হয়ে থাকে। তাই আমাদের চোখ রাখতে হয় কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গা মহেশপুর হরিণাকুন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে। আবার পুকুর থেকে বিক্রয় করা হয়, যদি বাইরের কোন মাছ কেনা ব্যাবসিক এসে থাকে তাদের কাছে দেয়া হয়ে যায়। এলাকার বড় মাছ ব্যবসিকরা রয়েছে এছাড়াও ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার মাছ পার্টিরা হেসে থাকে। তবে যাই হোক এ যাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা মৎসরতের দিকে।
Infinix Hot 11s
শহরটা অন্যান্য শহরের মতোই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ওগোছালো। কিছু কিছু শহরের মধ্য দিয়ে মৎস্যরাতে যেতে হলে বেশ ট্রাফিক জ্যামের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু কোনদিন চুয়াডাঙ্গা শহরে ট্রাফিক জামের সম্মুখীন হয়নি। তবে ফিরতে পথে মাঝেমধ্যে হালকা ট্রাফিক জ্যামের সম্মুখীন হয়েছি যেটা আমাদের জন্য টেনশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। মাঝেমধ্যে মাছ বিক্রয় করতে গেলে যখন বাজারে বেশি মাছ জুটে যায় তখন আবার গাড়ি একটু স্লো ভাবে চালিয়ে বাজারে যেতে হয়। এখানে বিশেষ কারণ রয়েছে কয়েকটা তার মধ্যে একটা বড় কারণ বলছি। মাছের গাড়ি থামিয়ে রাখলে মাছ দোল খেতে পারেনা অনেক সময় মারা যায়। তাই ধীরে ধীরে গাড়ির চালালেও মাছ দোল খেতে পারে এতে মাছ বেঁচে থাকে। যখন দেখা যায় আড়ত থেকে জানানো হচ্ছে অনেক মাছ জুটে গেছে একটু পরে আসেন। তখন এই বিষয়গুলো অবলম্বন করতে হয়। আর ঠিক এমনই সময় সুযোগে নিজেও কিছু ফটো ধারণ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সম্ভব হয়েছিল চুয়াডাঙ্গা শহরের গ্রন্থগার জামে মসজিদ সহ বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর জায়গার ফটো ধারণ করার। অতঃপর মৎস্য আরতে উপস্থিত হওয়া। মৎস্য আড়োতে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় অনেক মানুষের উপস্থিতি এবং মাছ বেচাকেনার কার্যক্রম।
Infinix Hot 11s
আমি যে সমস্ত জায়গা গুলোতে মাছ বিক্রয়ের জন্য উপস্থিত হয়েছি, সব জায়গায় মৎস্য আড়োতগুলো হাইরোড থেকে কিছুটা ভেতরে। তবে দুইটা জায়গা আমি লক্ষ্য করে দেখলাম মাছ বিক্রয় করা হয় একদম হাই রোড কে কেন্দ্র করে। কুষ্টিয়া শহরের বিত্তিপাড়া নামক স্থানে এমনটা লক্ষ্য করেছি। আর এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে। তবে চুয়াডাঙ্গার মৎস্য আড়োর অনেক বড়। সকাল সকাল মাছ বিক্রয় হয় এজন্য হয়তো কোন প্রকার দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় না। তবে হাইরোড কে কেন্দ্র করে এমন আড়ত ব্যবস্থাটা যথেষ্ট রিক্স মনে করি। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি সকালে অনেক স্টুডেন্টরা প্রাইভেট পড়ার জন্য অথবা স্কুল কলেজে যাওয়ার জন্য বাজার অতিক্রম করছে। আর এদিকে কেনাকাটার সব মিলে প্রচুর মানুষের চলাচল। আর তারই মধ্য দিয়ে বাস ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন আসা-যাওয়া করছে। যাহোক জ্ঞানীগুণী অনেক মানুষ রয়েছে। বাজার কমিটি রয়েছে, তারা যে সমস্ত বিষয়গুলো দেখবে বিবেচনা করবে। তবে সবকিছুর মধ্যেও শহরটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগার হয়ে উঠেছে।
Infinix Hot 11s
সব সময় এ বাজারটাতে উপস্থিত হয়ে ফটো ধারণ করতে সক্ষম না হলেও মাঝেমধ্যে যদি ফটো ধারণ করতে পারি, এতে যেন অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। সকাল থেকে বেশ অনেক তাড়াহুড়ো করে মাছ ধরে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বাজারে উপস্থিত হওয়া। কপালে কি থাকে না থাকে একমাত্র বিধাতাই জানে। বাজার মূল্য কম বেশি হয়ে থাকে, মেনে নেওয়া লাগে মনটাকে। এরপর হয় আনন্দ অথবা হতাশ হয়ে আবারো বাড়ির দিকে রওনা হতে হয়। তবে তার মধ্যে মোবাইল ফোনে চিত্রধারণগুলো যেন স্মৃতি হয়ে থাকে। আরো স্মৃতি হয়ে থাকার সুযোগ এনে দিয়েছে স্টিমেট প্ল্যাটফর্ম। আর এভাবেই পুনরায় বাড়ির দিকে ব্যাক চলে আসা।
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
বিষয় | মাছ বিক্রয় |
---|---|
ব্লগার | sumon09 |
ডিভাইস | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | What3words |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
কুষ্টিয়ার মাছ বাজার সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া আছে। সকাল সকাল গেলে পাইকারি বিক্রি দেখা যায়।
চুয়াডাঙ্গার বাজারের মাছ বিক্রির চিত্র আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে হাইওয়েতে মাছ বিক্রির কথা যেটা বললেন, সেটা বেশ বিপদজনক মনে হচ্ছে। কর্তপক্ষকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই!
যখন কেউ স্ট্রেস এ থাকে (stressful conditions) তখন অনেক সময়, আগে থেকে ডায়াবেটিস না থাকলেও, সাময়িক ভাবে কিছু সময়ের জন্য, তার রক্তের সুগার স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় বেশী হয়ে যেতে পারে। যখন এক ব্যক্তি কোন স্ট্রেসে থাকে তখন তার শরীর বিভিন্ন ভাবে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। যেমন তার শরীরে কিছু স্ট্রেস হরমোনের (কর্টিসল, গ্রোথ হরমোন, ক্যাটেকোলামিন ইত্যাদি) পরিমান বেড়ে যায় । এই বর্ধিত স্ট্রেস হরমোন গুলো ইনসুলিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় বা ইনসুলিনের কাজের বিপরীত কাজ করে। ইনসুলিন যেখানে রক্তের সুগারকে স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে রাখে, এই স্ট্রেস হরমোন গুলোর অধিক মাত্রার উপস্থিতিতে রক্তের সুগার স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী হয় যেতে পারে। এই অবস্থায় রক্তের সুগার পরিমাপ করে বেশী পাওয়া গেলে এটাকে স্ট্রেস হাইপারগ্লাইসেমিয়া (stress hyperglycemia) বলে। স্ট্রেস কেটে গেলে রক্তের সুগার আবার স্বাভাবিকে নেমে আসে।
রাস্তার দুই সাইট দিয়ে কোন কিছু বেচাকেনা আমি মোটেও পছন্দ করি না। কারণ এগুলো যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা বয়ে আনতে পারে।
চুয়াডাঙ্গার মৎস আড়ত যে খুব বড় একটি মাছের বাজার তা আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম ভাই। চুয়াডাঙ্গা শহরের ছবিগুলি খুব ভালো লাগলো। আপনি শহরের ছবিগুলি তুলে খুব সুন্দর হবে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। নতুন শহরটিকে চিনতে পারার জন্য আপনার পোস্টটি খুব উপযোগী হয়েছে।
ঠিক বলেছেন দাদা। এভাবে অজানা স্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
X-promotion
24-12-24
এই প্রথম শুনলাম কোন শহরে ট্রাফিক জ্যাম কম। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় শহরের ট্রাফিক জ্যাম অনেক বেশি। চুয়াডাঙ্গা মৎস আরো ভ্রমণ ও মাছ বিক্রয়ের স্মৃতি নিয়ে দারুন পোস্ট করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, এই শহরে আমি খুব কম ট্রাফিক জ্যাম দেখেছি।