শরৎকালের আকাশের দৃশ্য ফটোগ্রাফি
আজ - শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি শরৎকালের শেষের দিনে কিছু শরৎকালের আকাশের সুন্দর দৃশ্য উপস্থাপন করার জন্য। আপনারা অনেকেই জানেন আজকে আশ্বিন মাসের শেষ তারিখ। আর শরৎকাল মানেই আকাশের সুন্দর দৃশ্য। তাই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে মোবাইলে রেখেছিলাম,যে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চাই। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এখনি মেন বিষয়ে চলে যাওয়া যায়।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
আকাশের ফটোগ্রাফি
আজকের শরতের শেষ দিন তাই ভাবলাম এ বছরের শরৎকালকে বিদায় দেওয়ার আগে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে রাখি। কারণ শরৎকাল আমার খুবই প্রিয়। আমি শরৎকালকে কেন্দ্র করে অনেক স্মৃতি স্মরণ করতে পারি এবং অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার জীবনে। তবে সে সমস্ত স্মৃতির মধ্য থেকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছি কাশবনে বন্ধুদের সাথে খেলা করা, প্রেমিকার সাথে সময় কাটানো এবং আকাশের সাদা সাদা মেঘগুলোকে চেয়ে থেকে দেখে কল্প লোকে হারিয়ে যাওয়া সাথে প্রেম ও বিরহ অনুভূতির কবিতা রচনা করা। আমি অনেকদিন আগে থেকেই শরৎকালকে বেশি পছন্দ করে থাকি আমি শরতের আকাশে বৃষ্টির পরে অনেকবার রংধনু উঠতে দেখেছি। তবে এবার তেমন সুযোগ সুবিধা হয়নি রংধনুর দৃশ্য আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে দেখাবো বলে। কিছুদিন আগেও আকাশের রংধনুর দৃশ্য দেখেছিলাম কিন্তু সেই মুহূর্তে আমার ফটোগ্রাফি করা হয়ে ওঠেনি। যাইহোক এত সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে নিজের আইডিতে রেখে দেওয়ার মজাই আলাদা। আর একই সাথে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে নিজের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগা জাগ্রত হয়। আমি এই আকাশের দৃশ্যগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম আমাদের স্কুলের মাঠ থেকে। স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে বাড়ি ফেরার সময় লক্ষ্য করেছিলাম এত সুন্দর দৃশ্য। আর যাই হোক আশা করি আপনাদেরও খুব ভালোলাগা শরতের আকাশের এই সাদা মেঘগুলো।
এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম গ্রামে যখন উপস্থিত হয়ে গেছিলাম স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে পথে। তখন ফাঁকা মাঠের জায়গা থেকে লক্ষ্য করেছিলাম এত সুন্দর সুন্দর মেঘের দৃশ্য যা রোদ দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম কারণ চারিপাশে অনেক গাছ ছিল গাছের আড়াল থেকে ফটোগ্রাফি করা তেমন সুবিধার মনে হয়েছিল না। তাই একটু রোদে দাড়িয়ে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ অনেক সময় আকাশের সুন্দর দৃশ্য থাকা সত্ত্বেও সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনা মাঝেমধ্যে এমন দারুণ মেঘের দৃশ্য লক্ষ্য করা যায় না। তাই আর কি সুযোগ সাপেক্ষে ফটোগ্রাফিগুলো করে রেখেছিলাম আপনাদের উদ্দেশ্যে। আজ যখন পোস্ট লিখছিলাম তখনও আকাশের দিকে বারবার চেয়ে দেখেছি কিন্তু তেমন কোন সুন্দর দৃশ্য আকাশের দিকে খুঁজে পায় নাই, যার জন্য আজকের কোন ফটোগ্রাফি দিতে পারছি না। ইচ্ছা ছিল শরতের শেষ দিনের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তবে ধানক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করার সময় রোদ তেমন কিছু একটা মনে হচ্ছিল না আমার কাছে। যেহেতু উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুদের ফটোগ্রাফি করে দেখাবো তাই মনের টানে টানে হয়ে গেছিল ফটোগ্রাফি গুলো।
এগুলো শরতের আকাশের পড়ন্ত বিকেলের দৃশ্য। যাকে আমরা গোধূলি বলে সম্বোধন করে থাকে। কারণ সূর্য ডুবে গেলেই গোধূলি। তবে যাই হোক,যে সময় সূর্যমামা ডুবে যায় যায় এমন অবস্থা আকাশের পশ্চিম প্রানে চেয়ে দেখলাম কি দারুন দৃশ্য যা চোখ ফেরানো বড় দায়। এই মুহূর্তে আমি আমার পুকুরে মাছের খাবার দিতেছিলাম। খাবার দেওয়ার মুহূর্তেই লক্ষ্য করলাম এত সুন্দর দৃশ্য। মাছের খাবার দেওয়া বাদ রেখে শুরু করে দিলাম ফটোগ্রাফি করা। এ জাতীয় ফিলিংস গুলো আমার মধ্যে খুবই বেশি কাজ করে তাই আকাশের সুন্দর দৃশ্য দেখলে আর থেমে থাকতে পারে না। কাজ হোক আর যাই হোক সমস্ত কিছু বাদে রেখে আগে ফটোগ্রাফি করে রাখি মনে হয় যেন এমন সুন্দর দৃশ্য হারিয়ে ফেলবো পরে পস্তাতে হবে তাই। আশা করি আপনারা আমার মনের ভাব বুঝতে পেরেছেন কতটা সুন্দর অনুভূতি রয়েছে শরতের দিন কে কেন্দ্র করে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
শরৎকাল চলে গেলে আর এত সুন্দর আকাশ দেখতে পাবো না শরৎকালকে এবং এই আকাশকে অনেক মিস করবো। আপনি দারুন সুন্দর শরৎকালের কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন। এটা ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে আকাশের সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়লেও ছবি তোলা হয়ে ওঠেনা। আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে একেবারে আকাশে যেন বরফ জমে আছে। আপনি আপনার মাছের খাবার দেওয়ার ফাঁকে দারুন সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করে রেখেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো
শরৎকালে আকাশের সৌন্দর্য অনেক গুণ বেড়ে যায় মনে হয় যেন তখনই আকাশ তার অপরূপ সাজে সেজে ওঠ। শরৎকালে আকাশ বিভিন্ন রকম রং ধারণ করে। কখনো সাদা কালো কখনো নীল সাদা কখনো লাল সাদা কখনো লাল কালো। দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। আপনি আকাশের খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া ভালো লেগেছে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি।
আপনি শরৎ কাল নিয়ে খুবই চমৎকার লিখেছেন ।আজ যে শরতের শেষ দিন ছিল আমার জানা ছিল না , আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। শরৎকাল আমারও ভীষণ ভালো লাগে। কাশবন দেখতে বেশ চমৎকার লাগে ।শরৎকালে আবার রংধনু মাঝে মাঝে দেখা যায়। আপনি রংধনু ক্যামেরাবন্দি করতে পারেননি, আমার অবশ্য এবারের শরৎকালের রংধনু দেখা হয়নি। আকাশে সাদা মেঘ গুলো দেখতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। পুকুরে মাছের খাবার দেওয়া বাদ রেখে আপনি ফটোগ্রাফি করতে গেলেন সত্যি ভীষণ মজার ছিল। শরতের ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি টাও দারুন হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে খুব ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু, আমি বাংলা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি তো।
ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল তবে আপনার লেখাগুলো ও বেশি দারুন ছিল।আর সত্যিই শরতের এমন আকাশ সবসময় মনকে উদ্বেলিত করে।খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার এই পোস্ট টি,দৃষ্টি মণ সবকিছু কেড়ে নেওয়ার মতো একটি পোস্ট।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।🙏
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি শরৎকাল নিয়ে দারুণ লিখেছেন তবে ভাইয়া আজ যে শরতের শেষ দিন আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মধ্যে জানতে পারলাম। আপনি ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে আকাশ অনেক সুন্দর দেখায় আবার মাঝে মাঝে দেখায় না।গ্রামে যখন উপস্থিত হয়ে গেছিলেন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরার পথে ছবি গুলো চমৎকার ছিল । সূর্যমামা ডুবে যায় যায় এমন অবস্থা আকাশের পশ্চিম প্রানে চেয়ে দেখলে কি দারুন দৃশ্য যা চোখ ফেরানো বড় দায় হয়ে পরে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আমি বাংলা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি তাই পূর্বে জানা ছিল।
ঘুম থেকে উঠে শরতের আকাশের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আসলেই মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। নীল আকাশ আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। আর পড়ন্ত বিকেলে গোধূলি লগনের যে ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন, নিঃসন্দেহে অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাইয়া, আপনি শরৎ কালের শেষ দিনের আকাশের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আপনি আপনার কাজের ফাঁকে ফাঁকে এত সুন্দর ছবি তুলে রেখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগলো। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই ভালো লাগলো আপনার কমেন্টস দেখে।