হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে এসেছি কুষ্টিয়া বক চত্বরের এরিয়া কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমণের অনুভূতি। আশা করি এই থেকে আপনারা কুষ্টিয়া ভক্তর এলাকা দেখতে পারবেন এবং পাশাপাশি কিছুটা হলেও ধারণা অর্জন করবেন। তাই চলোনা আর দেরি না করে এখনই বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
আপনার আমার সকলের সুপরিচিত একটি জেলার নাম কুষ্টিয়া জেলা। এটা আমার খুবই প্রিয়, যেহেতু পার্শ্ববর্তী জেলা এটা। আমাদের মেহেরপুর থেকে সরাসরি এখানে লোকাল বাস অথবা অন্যান্য যানবাহনে খুব সহজেই যাওয়া যায়। মাশাল্লাহ বর্তমান সড়ক ব্যবস্থা খুবই ভালো। বিভিন্ন কারণে আমি কুষ্টিয়ায় যাওয়া আসা করে থাকি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি একটি হোটেল থেকে খাবার নেওয়ার মুহূর্তে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম কুষ্টিয়া বক চত্বরের আশেপাশের জায়গাগুলোতে। এ মুহূর্তে আমি এসেছিলাম কুষ্টিয়া রোটারি ক্লাবে আব্বার চোখ অপারেশনের জন্য। চোখ অপারেশনের পরের দিন সকাল বেলায় খাবার কেনার উদ্দেশ্যে রোটারি ক্লাব থেকে বের হলাম,বক চত্বর পার হয়ে কুষ্টিয়া রেল লাইন ঠিক তারই পাশে বেশ কয়েকটা হোটেল রয়েছে। শুরুতেই আপনারা যে হোটেলটা দেখতে পারলেন এটা আমার বেশ সুপরিচিত এই তো পূর্বে অনেকবার এখানে এসেছি খাওয়া দাওয়া করেছি। তাই পাশে থাকা অন্যান্য হোটেল গুলোতে প্রবেশ না করে সরাসরি এটাতে প্রবেশ করি এবং খাওয়া-দাওয়া করি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই রোটার ক্লাব থেকে বের হয়ে যখন পথ চলছিলাম লক্ষ্য করলাম সারাদিনে যত মানুষের চাপ গাড়ি ঘোড়া এখন কিন্তু বেশ ফাঁকা তাই বেশ ভালই লাগছিল ঠান্ডা সুন্দর আবহাওয়া অনুভব করে চলতে। এরপর প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করলাম প্যাকেটে খাবার নিলাম তারপর আবারও উল্টোদিকে হাঁটা শুরু করলাম অর্থাৎ বক চত্বরের দিকে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
চার রাস্তার মোড়ে এসে যেদিকে চোখ গেল, সেদিকে লক্ষ্য করে দেখলাম রাস্তা সুন্দর ফাঁকা। সবেমাত্র দিনের আলো ফুটে উঠেছে। তাই রাস্তাগুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগছে। রাস্তার পাশে থাকার দোকানগুলো সব বন্ধ। মানুষজনের চলাচল কম থাকায় বেশ কিছুক্ষণ রাস্তার উপর অবস্থান করলাম এবং নয়ন ভরে চারিপাশ দেখে নিলাম কারণ এভাবে দেখার সুযোগ হয় না বক চত্বর এলাকা। যখন দাঁড়িয়ে সুন্দর দৃশ্য অনুভব করছিলাম কুষ্টিয়া শহরের বেশ ভালো লাগছিল অনেকবার আসা-যাওয়া করেছি কিন্তু এভাবে কখনো প্রাণ খুলে মন ভরে দেখা হয়নি। সত্যিই আমাদের পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া শহর টা অনেক সুন্দর। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার প্রতিষ্ঠান কলকারখানা। দেশের অন্যান্য উন্নত জেলার মধ্যে কুষ্টিয়া অন্যতম। মাঝে মধ্যে পাশ দিয়ে দু একটা করে শ্রমিক শ্রেণীর গাড়ি যাওয়া আসা করছিল যারা তাদের গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। এছাড়া যেন ঘুমন্ত শহর ঠিকভাবে এখনো জেগে ওঠেনি। তবে সারা দিনে সেকেন্ডে সেকেন্ডে এতটা গাড়ি চলাচল আর ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকে দেখে যেন মনে হচ্ছিল না এটা সেই বক চত্বর এরিয়া।
Photography device: Infinix hot 11s
location
অনেকদিন আগে আমি কুষ্টিয়া বক চত্বর নিয়ে ভাবছিলাম। মনে মনে করছিলাম বক চত্বর নাম হয়েছে কেন? এরপর নিকটস্থ একজন ব্যক্তির কাছে প্রশ্ন করেছিলাম কুষ্টিয়ার এই জায়গার নামটা এমন হওয়ার কারণটা কি ওখানে বকের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে বলে। তবে জবাবে উত্তর পেয়েছিলাম ওখানে চার রাস্তার মোড়। চারটা রাস্তা আছে বলেই চত্বর শব্দটা এসেছে। পাশাপাশি ওখানে বগের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে তাই যুক্ত করে দেয়া হয়েছে বক চত্বর। বিষয়টা কতটা সহজ কিন্তু প্রথমে জানা মাথায় আসছিল না কেন এই নাম রাখা হয়েছে। তবে এই থেকেই কুষ্টিয়ার বড় বাজার এবং আসল স্থানগুলোই যাওয়ার পথ। যাইহোক চেষ্টা করলাম বকের দৃশ্য গুলো কয়েকটা ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের দেখানোর জন্য। কারণ এই স্থানটা কুষ্টিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুপরিচিত মানুষের কাছে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি মানুষে কখনো যদি কাউকে লোকেশন বলে, কুষ্টিয়ার কোন জায়গায় জবাবে উত্তর থেকে বক চত্তরের অমক স্থানে। যেমন পূর্বের দিকে রয়েছে বড়বাজার, লাভলী টাওয়ার, কম্পিউটার ল্যাপটপের বিশেষ বিশেষ দোকান গুলো। পাশাপাশি জামাকাপড় সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বড় বাজার। পশ্চিম পাশে রয়েছে ভেড়ামারা দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার রাস্তা এবং মেহেরপুরে যাওয়ার রাস্তা। দক্ষিণ পাশে সদর হাসপাতাল। উত্তরে গড়াই নদী। এভাবেই চারিপাশে কুষ্টিয়া শহর আর মাঝখানে এই বক চত্বরের ঠিকানা। যাইহোক সুন্দরভাবে স্থানটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আমার।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |