গাংনী বাজারে একদিন অসহনীয় অপেক্ষার প্রহর
আজ - সোমবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি এক অসহনীয় সময় অতিবাহিত করার বিষয় নিয়ে। এই পোস্ট পড়ে আপনারা হয়তো স্মরণ করতে পারবেন আপনাদের জীবনে এমন অপেক্ষার বিরক্তি কর অনুভূতি। তাই চলুন আর দেরি না করে এই অস্বস্তিকর বিষয় নিয়ে ধারণা লাভ করে আসি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফি
কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করা সত্যিই বড় কঠিন। আর সে অপেক্ষার প্রহর যদি হয় ঘন্টার অধিক? ঠিক এমনই একদিন আমাদের গাংনী বাজারে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দাঁতের ডাক্তারের নিকট সিরিয়ালের অপেক্ষায়। অবশ্য আমার জন্য নয়,আপনাদেরই প্রিয় ইউজার মুস্তাফিজুরের দাঁতের জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম এবং সেখানে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়েছিল সিরিয়াল পাবার আশায়। এদিকে সকালে স্কুলে এসেছিলাম এবং স্কুল শেষ করে দুপুর টাইমে গিয়েছিলাম গাংনী বাজারে। সিরিয়াল না পেয়ে মুস্তাফিজুর তো একটি স্কুলের শিক্ষকের সাথে চা খাওয়ার জন্য দোকানে চলে গেল। আমার ইচ্ছে হয়েছিল না তাই বসে ছিলাম। আর এরই মধ্য দিয়ে হঠাৎ বৃষ্টি এসে গেল, বৃষ্টি চলেও গেল। বৃষ্টি হওয়ার আগ মুহূর্তে ছিল প্রচন্ড রোদ আর গরম কিন্তু তারই মধ্য দিয়ে হঠাৎ বৃষ্টি এলো। চলে গেল আবার রাস্তাঘাট শুকিয়ে গেল কিন্তু অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো না। কোন কাজে গিয়ে বসে থাকা সত্যি আমার কাছে বড়ই ক্লান্তিকর। চেষ্টা করেছিলাম বসে থেকে ঠান্ডা মাথায় কবিতা লিখব কিন্তু সেটা হয়ে উঠছিল না কারণ কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকতে মনের মধ্যে কবিতা আসতে চায় না। তাই আর কি করার, চেষ্টা করেছিলাম বাজারের সুন্দর দৃশ্যের ছবি তুলতে। এটা গাংনী পাইলট হাই স্কুলের দৃশ্য।
যে বট গাছের দৃশ্য দেখতে পারছেন এটা গাংনী বাজারের এক প্রকার মেন পয়েন্ট। দক্ষিনে থানা রোড, উত্তরে কুষ্টিয়া রোড,পশ্চিম মেহেরপুর এবং পূর্ব দিকে হাঁট-বোয়ালিয়া;আলমডাঙ্গা যাওয়ার প্রধান সড়ক। গাছের নিচে বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড যেমন অটোরিকশা;আলগা মন ইত্যাদি। সময় অতিবাহিত করার জন্য চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম চারিপাশ আর এভাবেই চেষ্টা করেছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি করার।
অসহ্যনিয় বিরক্তিকর সময় পাস করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম পরিচিত এবং নিকটস্থ কম্পিউটার ইউজার বন্ধু ও ছোট ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে। লক্ষ্য ছিল আমার একটাই তা হচ্ছে সময় পার করার। চেষ্টা করেছিলাম তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার। সাগর আমার অতীত পরিচিত একটি ছেলে সে ছোট থেকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানে। এদিকে কনক আমাদের বন্ধু,সে দীর্ঘদিন কম্পিউটার এর বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে জড়িত।
ঘন্টা কিছু অপেক্ষা করার পর যখন সিরিয়াল পাওয়া গেল তখন ডাক্তার তার দাঁত পরীক্ষা করার জন্য আলাদা একটি হসপিটালে আমাদের পাঠিয়ে দিল। এদিকে প্রচন্ড খোদা গেছে। বাইরে তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কি আর করার এরই মধ্য দিয়ে চলে গেলাম সেই 'রাজা ক্লিনিক' এ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানে ডাক্তার না পাওয়াই আবারও সেই স্থান ছেড়ে চলে আসতে হল। যেহেতু এটা ছিল লাঞ্চ টাইম তাই ডাক্তার সব খেতে গেছিল। রাজা ক্লিনিক ছেড়ে চলে কাঙ্খিত স্থানে যেখানে মুস্তাফিজুরের দাঁতের ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। এই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আবারো দাঁত এক্সারি করার জন্য গেলাম হুদা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অবশ্য দুজনই ভিজতে ভিজতে গিয়েছিলাম।
হুদা ডায়গনস্টিক সেন্টারে মুস্তাফিজুরের দাঁতের এক্সারি খুব সহজেই হয়ে গেল। এরপর রিপোর্ট নিয়ে এসে ডাক্তারের হাতে দেয়া হলো। এরপর খুব দ্রুত কাজ সমাপ্ত হয়ে গেল। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার ফলেও মন মস্তিষ্ক হয়ে গেছিল বড়ই গরম। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ভেজার পর যেন মনে হলো হঠাৎ মন মেজাজ চড়ে উঠলো। হুদা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দাঁতের এক্সারি ও রিপোর্ট নিয়ে এসে দ্রুত ডাক্তারের দেখানো কাজ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে যেন সে মেজাজ ঠান্ডা হয়েছিল। আশা করি আমার ওই মুহুর্তের অনুভূতিটা আপনারা বুঝতে পারবেন। কোন উদ্দেশ্যে কোথাও গেলে সেখানে কাজ সমাপ্ত না হয়ে কেউ যদি বসিয়ে রাখে সেটা খুবই দুঃখজনক আর ক্লান্তিকর হয়ে যায়। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতে চায় না। আর যখনই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে যায় মনের মধ্যে এক প্রকার প্রশান্তি কাজ করে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|