আসসালামু আলাইকুম
হাই! বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি ভিডিওগ্রাফি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আমার সবজি বাগানের সুন্দর এক ভিডিও নিয়ে। যেখানে দেখতে পারবেন আমার পুকুরপাড়ের শিম গাছের দৃশ্য।
আপনারা অনেকেই জানেন আমি পুকুরপাড়ে টাটকা শাকসবজি উৎপাদন করতে এবং সেই টাটকা শাকসবজি খেতে বেশ পছন্দ করি। আর এজন্য দীর্ঘদিন ধরে আমি ভেজালমুক্ত ও ফরমালিনমুক্ত শাকসবজি খাওয়ার প্রত্যাশায় সারা বছর ধরে কমবেশি বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদন করে থাকে পুকুর পাড়ে। ঠিক অন্যান্য শাকসবজির মধ্যে শিম অন্যতম শীতকালীন শাকসবজি। শীতকালীন শাকসবজিগুলোর মধ্যে আমি বেশি পছন্দ করি এই শিম ও তার বিচি। বেশ কয়েক বছর পুকুরে বেশি একটা শিম যেন হচ্ছিল না। বেশি একটা গুরুত্ব সহকারে যত্ন নেয়া হতো না এই কারণে। এবার অবশ্য আমার বেশ কয়েকটা পর্ব দেখেছিলেন আমরাও পরিশ্রমী নামের। অবশ্য তখন ঝিঙে উৎপাদন করার জন্য পরিশ্রম করেছিলাম, পাশাপাশি এই সমস্ত শাকসবজি গুলো পরবর্তীতে হবে সেই আশায়। ঠিক ওই মুহূর্তে দেখেছিলেন আমি বেশ অনেকগুলো জায়গায় মাটি খুঁড়ে থানা নির্বাচন করেছিলাম, সেখানে কমপোস্ট সার দিয়েছিলাম। এরপর ঝিঙে গাছ হয়ে উঠেছিল। তারপর আমি বাঁশের বান দিয়েছিলাম। ঝিঙে ধরল, ঝিঙে গাছ গুলো পরবর্তীতে নষ্ট হয়ে গেল। এরপর ধীরে ধীরে শিম গাছ গুলো এই বানের উপর বৃদ্ধি পেতে থাকলো। অবশেষে এই পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে সিম গাছের জন্য আমার বিন্দুমাত্র পরিশ্রম করতে হয়নি। যতটা পরিশ্রম করেছিলাম বর্ষাকালীন সবজি ঝিঙের জন্য। আর সেই পরিশ্রম এখন ফলস্বরূপ শিম গাছের বর্তমান দৃষ্টান্ত। আরো বিস্তারিত ভিডিওটা প্লে করলে জানতে পারবেন।
Video device: Infinix hot 11s
location
এই শিমগাছে কিন্তু পরবর্তীতে আমি আর কোন সার প্রয়োগ করিনি। শুধু কয়েকবার গাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন মুহূর্তে সাবমারসিবল পাম্পের সহায়তায় পানি দিয়েছিলাম। এরপর তালা লাগিয়েছি প্রবেশপথে। তালায় দেখুন জং ধরে গেছে, যদি ভিডিওটা প্লে করেন অবশ্যই দেখতে পারবেন। বেশ অনেকদিন ধরে তাকিয়েছিলাম কবে শিম গাছে ফুল আসবে, শিম ধরবে,যেহেতু পৌষ মাস চলে যাচ্ছে। যাইহোক বর্তমান সারা গাছ জুড়ে অনেক ফুল ফুটেছে এমনকি জায়গায় জায়গায় শিম ধরা শুরু হয়ে গেছে। তবে পূর্ব পরিকল্পনা ছিল ঝিঙে গাছ নষ্ট হয়ে গেলে এখানে শিম গাছ হবে। কিন্তু পাশাপাশি যে আমি আরো চারটা শিমের বান তৈরি করে ফেলেছি একদম নিজের অজান্তে বলতে গেলে। এত পূর্বে আমার কয়েকটা পোস্টে চালকুমড়ার বান দেখেছিলেন। চাল কুমড়া গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সেখানে সিম গাছে পরিপূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি একটি পুঁই শাকের বান আছে সেটাতেও হয়েছে। এভাবে আলাদা চার জায়গায় টোটাল ৫ জায়গায় এমন শিমের বান হয়েছে আমার। পুকুরপাড়ে একটি গাছে অলরেডি দীর্ঘদিন শিম খাওয়া চলছে। ওই গাছটাতে সবার আগে থেকে হচ্ছে। অবশ্য ওই গাছটা পরবর্তীতে দেখাবো। তবে ওই দিকের চারটা অপরিকল্পিত। তবে এটা সবচেয়ে বড় শিমের বান, যা পরিকল্পিতভাবেই তৈরি করা হয়েছিল। যাই হোক গাছের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক শিম হতে পারে। আমি কখনো কোনো সবজি বিক্রয়ের আশা করি নাই, নিজের উৎপাদন করে খেতে পারলেই আলহামদুলিল্লাহ। অবশ্য বিক্রয় করা হয় না। এরপরেও যদি হয়ে থাকে,তা কোন সবজি ক্রেতা যদি পুকুর পাড় পর্যন্ত এসে থাকে। তবে কিছুই বলতে পারছি না। আশা করা যায় প্রচুর শিম হবে এটাই। আর যেই বানটাতে শিম হচ্ছে, ওটাই আমাদের ফ্যামিলির জন্য এনা। এত সুন্দর ফরমালিন মুক্ত শিম খাবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট হাজার শুকরিয়া।
Photography device: Infinix hot 11s
location
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | inshot |
স্থান | সোর্স |
বিষয় | শিম এর বান |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
ভিডিও দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
শীতকালীন সময়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের সবজি দেখতে পাই। তাছাড়া অন্যান্য মৌসুমে শীতকালীন সময়ের তুলনায় খুব সবজি খেতে পারি। আপনি পুকুর পাড়ে চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করার। শিমের গাছটি দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। যখন আমি মেহেরপুর অঞ্চলে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে দেখেছিলাম বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। আপনার ভিডিওর মাধ্যমে পুকুর পাড়ে শিমের গাছের দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আশা করি পরবর্তী ভিডিও দেখার অপেক্ষায় থাকবেন
বাড়ির টাটকা সবজি খেতে আসলেই মজার।আমাদের বাড়িতেও সিম গাছ লাগানো হয়েছে।তবে আপনার পুকুর পাড়ে দেখছি ভালোই সবজি হয়।আপনি একবারে দুই কাজ সেরে ফেললেন।ঝিঙের মাচায় সিম গাছ লাগিয়েছেন।ভিডিওটি ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি চেষ্টা করি যতদূর পারি টাটকা শাকসবজি উৎপাদন করতে নিজেদের খাওয়ার জন্য
সবজি লাগানো থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত দেখছি কিন্তু একবার আমাদের কথা মনেও করলেন না। সবজির দাওয়াত দিতে না পারেন কিছু কোরিয়ারে পাঠিয়ে দিলেও তো আমরা ফরমালিন মুক্ত টাটকা সবজি খেতে পারি। যাই হোক পুকুর পাড়ে লাগানো সবজির খুব ভিডিওগ্ৰাফি করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভিডিওগ্ৰাফি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্য খাওয়ার সময় স্মরণ করি, আর স্মরণ করি বলেই তো শেয়ার করি। আর শেয়ার করি বলেই তো আপনাদের ইচ্ছে হয় টাটকা সবজি খাওয়ার।