কুষ্টিয়া বকচত্বরের পাশ থেকে ড্রাগন ফল কেনার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আসসালামু আলাইকুম

IMG_20230619_120710532_BURST0002.jpg





হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ড্রাগন ফল কেনার অনুভূতি নিয়ে। এ প্রথম নিজে হাতে ড্রাগন ফল ক্রয় করলাম দুই কেজি। আর সেই বিষয়ে আপনাদের মাঝে আমার অনুভূতিটা প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আশা করি অনেক ভালো লাগলো আপনাদের। তাই চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত পর্যায়ে চলে যাওয়া যাক।


ফটোগ্রাফি সমূহ:



১৯শে জুন, একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া শহরের দিকে চলছিলাম। কিছুদিন ধরে একটি ল্যাপটপ কিনবো সেই আশায় ভাবছিলাম কুষ্টিয়ায় যাব নাকি চুয়াডাঙ্গা দিকে যাব। শেষমেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম কুষ্টিয়ায় যায় চুয়াডাঙ্গার চেয়েও কুষ্টিয়া আছে নাকি সঠিক পর্যায়ে কিনতে পাওয়া যায়। যাইহোক কুষ্টিয়া শহরে মোটরযোগে অবস্থান করলাম। প্রথমে মোবাইলে লোকেশন ধরে যাচ্ছিলাম মোবাইলে লোকেশনে আর গুগলের সার্চ করে দেখলাম কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ল্যাপটপ বিক্রয় করে থাকে তাই লোকেশন যেখানে নিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই দিকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেই চলছিলাম। আমরা মেহেরপুর রোড দিয়ে কুষ্টিয়া প্রবেশ করে থাকি তাই আলমডাঙ্গার রোড দিয়ে অনেকদিন কুষ্টিয়া রোডে যাওয়া হয়নি দীর্ঘ এক বছর পর আলমডাঙ্গা রোড দিয়ে কুষ্টিয়া প্রবেশ করলাম। যা চোড়হাস মোড় নামে পরিচিত। এই পথ ধরে আমরা চলে গেলাম বড় বাজারের দিকে যেখানে বকচত্বর অবস্থিত। বক চত্বরের পাশ দিয়ে যখন আমরা চলছিলাম। পথ চলতে লক্ষ্য করলাম অনেক ফলের দোকান। এই মুহূর্তে আমার শ্বশুর বলল 'আব্বা অনেকদিন ধরে ড্রাগন ফল কিনবো আশায় রয়েছে কিন্তু চোখেই পড়ে না যে।

IMG_20230619_114346_238.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location


আমি আমার শশুর আব্বাকে বলেছিলাম আমি যেখানেই ড্রাগন ফল দেখব সেখানেই আপনাকে জানাবো। তবে কুষ্টিয়ার দীর্ঘ পথ যখন পাড়ি দিয়েছিলাম, ফলের দোকান পার হয়ে জুতার দোকান জুতার দোকান পার হয়ে শার্ট প্যান্টের দোকান, সবকিছু অতিক্রম করে চলে আসছি কিন্তু কোথাও ড্রাগন ফলের দেখা মিললো না। যেহেতু আমরা একটি ল্যাপটপের ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম পরপর দুই তিনটা ল্যাপটপের ঘরে গেছি কিন্তু সেখানে পুরাতন ল্যাপটপ ছাড়া নতুন ল্যাপটপ বিক্রয় করে না। আমরা এ সমস্ত ল্যাপটপের ঘর ছেড়ে রাস্তার দিকে আবার যখন চলতে থাকলাম নতুন ল্যাপটপের সন্ধানে তখন রাস্তার ভিতর দেখতে পারলাম একজন ফল বিক্রেতা ভ্যানে করে ড্রাগন ফল আর লটকন ফল বিক্রি করতে চলছে। প্রথমে তার কাছে জানতে চাইলাম কত করে ড্রাগন বিক্রয় করছে তিনি। উনি বললেন ২৮০ টাকা কেজি। আর লটকন ২০০ টাকা কেজি। এই বিক্রেতাকে বললাম ড্রাগন ফলে তো এত দাম নয়, তবে কেন এত দাম বলা হচ্ছে

IMG_20230619_120638_644.jpg

IMG_20230619_120640_965.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location


তিনি সুন্দর কন্ঠে বললেন ভাইয়া আমি এই দামে বিক্রি করছি, বর্তমানে দাম বেশি। আপনারা যদি নেন তাহলে নিবেন, নাই আমি চলে যাব। তার কথা শুনে বুঝতে পারলাম ছেলেটা স্টুডেন্ট হয়তো টাকা পয়সার অভাবে ফল বিক্রয় করে আর লেখাপড়া করে তবে বেশি কিছু জানার ইচ্ছে সে মুহূর্তে মোটেও হলো না কারণ প্রচন্ড রোদ গরমে রাস্তায় দাঁড়ানো খুবই কঠিন ছিল। শেষমেষ ছেলেটা ২৫০ টাকা কেজি ড্রাগন ফল আমাদের দিল। ২ কেজি ড্রাগন ফল নিলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম তার কাছে অনেকগুলো লটকন ফল রয়েছে। এ লটকন আমার অতি প্রিয় একটি ফল বিশেষ করে গরমের দিন এটা খেলে শরীরের এনার্জি ঠিক থাকে এবং রোধগরম কম লাগে। লটকন ২০০ টাকা কেজি তাই দেখলাম এক পোয়া পরিমাণ নিলেই অনেকগুলো ফল হয়। তাই ছেলেটাকে বললাম এপোয়া লটকন ফল দিতে। ছেলেটা খুব সুন্দর করে ডিজিটাল মিটারে এক পোয়া লটকন ফল মেপে দিল। আমি তাকে ৫০ টাকা সহ ড্রাগন ফলের মূল্য পরিশোধ করলাম। আমাদের দেখাদেখি অনেকে কিনার জন্য ভিড় শুরু করে দিল।

IMG_20230619_120655_536.jpg

IMG_20230619_120657_402.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location


এতটা কাছ থেকে আমি কখনো ড্রাগন ফল ফটোগ্রাফি করিনি, এই প্রথম ড্রাগন ফল হাতে ধরলাম এবং ফটোগ্রাফি করলাম। তবে টাকা পরিশোধ করার সময় দেখলাম ফল বৃক্রেতার মুখে অনেক হাসি। এরপর আবারো আমরা ড্রাগন ফল হাতে নিয়ে ল্যাপটপ কেনার জন্য সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। অর্থাৎ কুষ্টিয়া বকচত্বর থেকে কিছুটা পূর্বে দেখে যেই দিকে লাভলি টাওয়ার রয়েছে সেই দিকে চলতে থাকলাম।

IMG_20230619_120653_641.jpg

IMG_20230619_120644_789.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location


কুষ্টিয়া থেকে বাসায় ফিরে আমরা পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ড্রাগন ফল খাওয়ার চেষ্টা করলাম, পাশাপাশি লটকন ফল খাওয়ার চেষ্টা করলাম। ড্রাগন মোটামুটি ভালই লাগছিল পাশাপাশি লটকন টা একটু কাচা ছিল তাই টক একটু বেশি। যাইহোক ফল দুইটা খেতে বেশ ভালোই লাগছিল আমার, চাইলে আপনারাও কিনে খেতে পারেন এই গরমে।

IMG_20230619_182241_973.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Sort:  
 last year 

ল্যাপটপ কিনতে যে দেখছি তার সাথে অনেক কিছুই করে এসেছেন। লটকন এর দাম সব জায়গাতেই প্রায় ২০০ টাকা কেজি করে বিক্রয় হয়। কিন্তু স্থানভেদের ড্রাগন ফলের দাম এর ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

 last year 

হ্যাঁ বর্তমানে লটকনের দাম ২০০ টাকা

 last year 

ল্যাপটপ কেনার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়ায় গিয়ে বেশ ভালো লটকন ফল এবং ড্রাগন ফল কিনে নিয়ে এসেছিলেন। কেন জানি ড্রাগন ফল খেতে আমার কাছে ভালো লাগে না। বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে তবে আমার কাছে খেতে ভালোই লাগে না। আপনার লটকন ফল দেখে আমার কিন্তু এখন লটকন কোন ফল খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ভাবছি বাজারে গেলে এগুলো কিনে নিয়ে আসব। এই গরমের সময় খেতে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগবে।

 last year 

অবশ্য কিছুদিন আগে ল্যাপটপ কিনে ফেলেছি আপু

 last year 

ড্রাগন ফল আমার বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে। আমার কাছে কিছুটা ভালো লাগে, আবার কখনো কখনো ভালো লাগে না। বাজারে আমি গত পরশুদিন লটকন দেখেছিলাম । তখন ভেবেছিলাম লটকন কিনে নিয়ে আসব। কিন্তু কোন একটা কাজের কারণে বাড়িতে তাড়াতাড়ি করে চলে আসার কারণে আর কেনা হয়নি। এখন আপনার কাছে দেখে আমার ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে নিতে। তবে বাজারে গেলে পরবর্তীতে কেনার চেষ্টা করব।

 last year 

আমার কাছেও মোটামুটি ভালো লাগেনা। প্রথম জেমন মনে করতাম ঠিক তেমনটা নয় তবে লটকনটা বেশ প্রিয়

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62255.52
ETH 2449.42
USDT 1.00
SBD 2.63