পেঁয়াজের কলি দিয়ে তৈরি সুস্বাদু রেসিপি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% বেনিফিসারী
আজ - সোমবার
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সকল সদস্যবৃন্দকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন পোস্ট। আজকে পোষ্টের বিষয়: পেঁয়াজের কলি দিয়ে সবজি রান্নার রেসিপি। চলুন শুরু করা যাক।
- রেসিপির সর্বস্তরের ফটো একটি ফ্রেমে এডিট করে 'আমার বাংলা ব্লগ' এর জন্য উৎসর্গ করলাম।
পেঁয়াজ কুচি | পাঁচ পিস |
রসুন কুচি | চার পিস |
কাঁচা মরিচ | ১০ পিস |
সয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম |
তেজপাতা | তিন পিস |
গরম মসলা | আট খন্ড |
মসলা বাকলা | ছয় খন্ড |
লবঙ্গ | দশ পিচ |
জিরা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | দুই চামচ |
ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
পেঁয়াজের কলি | তিনশ গ্রাম |
আলুর ফালি | হাফ কেজি |
পাকা টমেটো | ছয় পিস |
ধনিয়া পাতা | পরিমান মত |
শসার সালাত | পরিমান মত |
ধাপ :-১
• পেঁয়াজের কলি আলুর ফালি টমেটোর ফালি এবং সকল প্রকার মসলাগুলো ভালো ভাবে প্রস্তুত করে চুলার পাড়ে নিয়ে এলাম।
দ্বিতীয় ধাপ :
• চুলার উপরে কড়াইটি বসিয়ে দিয়ে সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম পরিমাণমতো
তৃতীয় ধাপ :
• কড়াইয়ে তেল গরম হওয়ার সাথে সাথে তেলের মধ্যে পেঁয়াজের কুচি ঝালের ফালি রসুন কুচি ইত্যাদি ভাজার জন্য দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ :
• এখন পেঁয়াজের কলি গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম
পঞ্চম ধাপ :
• পেঁয়াজের কলি অলরেডি সিদ্ধ হওয়া শুরু হয়ে গেছে তাঁরই উপর আলুর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ :
• এখন কড়াইতে থাকা পেঁয়াজের কলি ও আলুর ফালি গুলো উপরে সকল প্রকার মসলা একের পর এক দিয়ে দিলাম।
সপ্তম ধাপ :
• সবজি ও মসলাগুলো চামচ দিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে মিক্সার করে নিলাম।
অষ্টম ধাপ :
• এখন করাইয়ের মধ্যে হালকা করে পানি দিয়ে দিলাম এবং কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। যাতে সবজিগুলো খুব দ্রুত সিদ্ধ হতে পারে।
নবম ধাপ :
• সবজি অনেকটা সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ঢাকনাটি তুলে দিলাম এবং কড়াইয়ের মধ্যে টমেটোর ফালিগুলো দিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ :
• সবজিগুলো কিছুক্ষণ চামচ দিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে নেড়ে নিলাম এবং দ্বিতীয়বারের মতো আবারো কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
একাদশ ধাপ :
• কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে ঢাকনা তুলে দিলাম দেখলাম সকল প্রকার সবজি ভালো রকম সিদ্ধ হয়ে এসেছে আমি চামচ দিয়ে সবজি গুলো বারবার উল্টাতে থাকলাম যেন কড়াই এর নিচে ধরে না যায়।
দ্বাদশ ধাপ :
• এভাবে একসময় আমার রান্না সমাপ্ত হয়ে এলো।
ত্রয়োদশ ধাপ :
• কড়াই থেকে রান্না করা সবজিগুলো একটি গামলাতে উঠিয়ে নিলাম।
চতুর্দশ ধাপ :
• এখন গামলা হতে আমার রান্না তরকারি একটি প্লেটে উঠিয়ে নিয়ে এলাম পরিবারের সকল সদস্যের মাঝে পরিবেশন করার পূর্বে টমেটো ও শসার সালাত দিয়ে সাজানোর জন্য।
পঞ্চদশ ধাপ:
• এখন কিছু পাকা টমেটোর ফালি শসার ফালি ও ধোনিয়া পাতা প্রস্তুত করে নিলাম রেসিপি সাজানোর জন্য।
শেষ ধাপ:
• প্লেটে রেসিপি প্রস্তুত করে আমার একটি সেলফি। আর এরই মধ্য দিয়ে আজকের কার্যপ্রণালীর সমাপ্ত হল।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)@sumon09
বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা।
🌺💞💞🌺
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
মোবাইল | itel vision 1 |
ক্যামেরা | Al dual camera-8mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
ভাই পিয়াজের পাতা দিয়ে আপনি অনেক।সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখেই বিয়ে অনুষ্ঠানের সবজির কথা মনে পরে গেলো। বিয়ের অনুষ্ঠানে সবজি ছাড়া কেমন জানি কিছু একটা অপূর্ণ থেকে যায়। শুভেচছা রইল আপনার জন্য।
দারুন মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। বিয়ের অনুষ্ঠানে সমস্ত রেসিপির মধ্যে যদি সবজি জাতীয় কোন রেসিপি থাকে তাহলে অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়া টা সুন্দর হয়ে যায়। যেহেতু সর্বস্তরের মানুষে সবজি পছন্দ করে থাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি চাইলে এসমস্ত রেসিপি খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন এবং পরিবারের অন্যান্যদের মাঝে পরিবেশন করতে পারেন।
পেয়েছে কলি আর আলু দিয়ে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। মনে হয় আপনার রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এমনিতে পেঁয়াজের কলি দিয়ে রান্না করলে খেতে আমার বেশ ভালই লাগে। তেমন আপনার রেসিপিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পেঁয়াজের কলি দিয়ে রান্না তরকারি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আর আমি এ সমস্ত সবজি রান্না খুবই ভালো পছন্দ করে থাকি এবং রান্না করে থাকি আম্মার সহযোগিতায়।
পিঁয়াজের পাতা দিয়ে রান্না করা রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এমন একটি সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।