আমাদের বিদ্যালয়ে নবীন বরণ-২০২৩ উদযাপন
আজ - সোমবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ২০২৩ সালের নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করার জন্য যে নবীন বরণ অনুষ্ঠান করেছিলাম তাই নিয়ে। সোমবার এর পোস্ট, নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য সঠিক সময়ে দিতে পারি নাই। তাই চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
গত ১৯শে জানুয়ারি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার মধ্য দিয়ে আমাদের বিদ্যালয় নবীন বরণ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে। আপনারা অনেকেই পূর্ব অবগত রয়েছেন যে আমাদের বিদ্যালয়ের নাম 'গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল' এই দিন বিদ্যালয় সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা রঙিন সাজে সেজে এসেছিল মনের মত নিজ নিজ পোশাকে। তাদেরকে পূর্বে বলে দেওয়া হয়েছিল যেন প্রত্যেক শ্রেণীর প্রধান স্টুডেন্ট এর কাছে সবাই ফুল নিয়ে এসে জমা করবে। ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিক সেই কাজই করেছিল। শুধু পুরাতন স্টুডেন্টরা নয় নতুন ছাত্ররা ফুল সংরক্ষণ করে নিয়ে এসেছিল এবং প্রত্যেক শ্রেণীর ফার্স্ট স্টুডেন্টদের কাছে জমা করেছিল। আর তারা সংরক্ষণ করার পরে জমা করে রেখেছিল অফিস রুমে। অনেকগুলো ফুল সংরক্ষণ করা হয়েছিল তাই থেকে আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের দেখানোর উদ্দেশ্যে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
লোকসংখ্যা একটু বেশি হওয়ার জন্য হলরুমে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা না করে আমাদের স্কুল মাঠে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করা হয়েছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল চট পেড়ে আর অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ক্লাস রুম থেকে বেঞ্চ দিয়ে। যেহেতু এখন শীতকাল তাই সকলের চেয়ে ছিল মিষ্টি রোদে বসার জন্য, দিনটাও ছিল তেমন ধীরে ধীরে বাতাস ও ঠান্ডা কিন্তু হালকা হালকা রোদ থাকার জন্য তেমন সমস্যা বোধ করছিল না কেউ। আমার অনুষ্ঠান শুরু করার সময় দিয়েছিলাম দশটা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য বাইরে থেকে সাউন্ড বক্সও ভাড়া করে এনেছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যজনক এই দিনটাতে আমাদের খুবই ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে একাধিকবার কারেন্ট চলে গিয়েছিল। আমি আর মুস্তাফিজুর আমার বাসা থেকে 12 ভোল্টের ব্যাটারি নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু সাউন্ড বক্সের মেশিনটা ছিল নষ্ট। সাউন্ড বক্সের মেশিন যখন এনেছিলাম তখন মোটামুটি চলছিল কিন্তু এটা যে সমস্যারযুক্ত সেটা তারা বলে দিয়েছিল না তাই ভালো কাজ করছিল না।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হলো এবং প্রত্যেকের মুখে মিষ্টি তুলে দেওয়া হলো। এরপরে কিছু ছাত্র-ছাত্রীরা নতুনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষক মন্ডলী বক্তব্য রাখেন। অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। যেহেতু অনুষ্ঠানটি আমি আর জান্নাতুল মাওয়া পরিচালনা করেছিলাম। তাই আমি ফটোগ্রাফি বা ভিডিও করতে পারি নাই। অনুষ্ঠানটি বেশিরভাগ অংশ আমাকে পরিচালনা করতে হয়েছিল। যাই হোক অনুষ্ঠানটি পরিচালনার সময় বেশ ভোগান্তির শিকার হয়েছিল সাউন্ড বক্স এর সমস্যার জন্য। আমাদের স্কুলের সাউন্ড বক্স এর ব্যাটারি চার্জ না থাকায় সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এক সময়। অনুষ্ঠান চলাকালীন মুহূর্তে একটু বিরতি দেওয়া হয়েছিল সকলের জন্য যেন একটু ঘুরে ফিরে আসতে পারে। অনুষ্ঠান পরিচালনার সময় লক্ষ্য করেছিলাম অনেক অভিভাবকেরা খুব মনোযোগ সহকারে অনুষ্ঠান দেখছিল এবং ভিডিও করছিল। হয়তো অনেকের মোবাইলে আমি ভিডিওর মধ্যে রয়ে গেছে কিন্তু আপনাদের দেখানোর জন্য আমি ভিডিও করতে পারি নাই তাই দুঃখিত। মোটামুটি তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি রানিং ছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
অনুষ্ঠানটির আকর্ষণ ছিল ডিজে পার্টির ডান্স। আমাদের বিদ্যালয়ে যে এত ডিজে ডান্সার হয়ে গেছে তা আমার জানা ছিল না। সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছিল ডান্সের সময়। নতুন পুরাতন সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীরা ডিজে গানের তালে তালে নাছার জন্য আগ্রহী। ছিল যখনই আমি তাদের সুযোগ করে দিয়েছিলাম তারা তো ওরে জোরে চিৎকার করে উঠেছিল। যেন সারা দিনের বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যেই অন্যরকম ভালোলাগার অনুভূতির খুজে পেয়েছিলাম এই ডান্সের সময়। প্রথমে একজন একজন করে ডান্স করল। তারপরে তিনজন করে ডান্স করল। এরপরে শুরু হলো যৌথ ডান্স। তবে হ্যাঁ আমাদের বিদ্যালয় নিয়ে একটি সম্মিলিত নাচ করেছিল তিনটা মেয়ে। এই ডান্স সবারই মন আকর্ষণ করেছিল। কারন তুই জন্মে একসাথে তাল মিলিয়ে নাচ করছে এটাই আমাদের বিদ্যালয়ের প্রথম। যাইহোক অনুষ্ঠান মোটামুটি পরিচালনার শেষ দিকে সব আস্তে আস্তে স্কুল থেকে বিদায় হতে থাকলো এদিকে সাউন্ড বক্সের ডিজে গান চলতে থাকলো অনেক ছেলেমেয়ে নাসায় ব্যস্ত ছিল যেহেতু আমরা ছুটি দিয়ে দিয়েছিলাম তারপরেও যেন স্কুল ছেড়ে যেতে মন চাইছিল না তাদের। আর এভাবে আনন্দঘন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত হয়েছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভাইয়া আপনার নবীন বরণ পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে এই নবীন বরণ হচ্ছে সবচেয়ে আনন্দঘন সময়।তবে আপনাদের সাউন্ড বক্স বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটু খারাপ লাগল। সত্যি ডিজে পার্টির সময় এভাবে সাউন্ড বক্স বন্ধ হলে অনেক খারাপ লাগে। যাইহোক অবশেষে অনুষ্ঠানটি ভালো মতো করতে পেরেছেন এটাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছিলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে।
ভাইয়া আপনার স্কুলের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অনেক সুন্দর করে আয়োজন করেছেন। । নবীন বরণ অনুষ্ঠান গুলো অনেক বেশি সুন্দর এবং অনেক বেশি কালারফুল হয়। দেখতে খুবই ভালো লাগে। এতো সুন্দর কিছু মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
যে সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম।
নতুনদেরকে বরণ করে নেয়ার উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান করা হয়।২০২৩ সালের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছেন। শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান হয়েছে।এই পোস্ট দেখে আমার হাইস্কুলের নবীন বরণ অনুষ্ঠান এর কথা মনে পড়ে গেল।
স্কুল জীবনটা সত্যিই আনন্দঘন একটি মুহূর্তের জীবন
স্কুল লাইফে থাকতে এই রকম দিনগুলো কত আনন্দের সাথে উদযাপন করতাম আপনার পোস্টটি পড়ার পরে ঠিক সেই কথাগুলোই মনে পরছে।
যদিও এমন দিন আর এখন ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় তারপরও ছোটবেলার কথাগুলোই মনে হচ্ছে এখন।
আপনারা অনেক আনন্দের সাথে দিনটি অতিবাহিত করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি এবং লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারছি।।
আমিও কিছুটা অনুভব করতে পারি এদের সাথে থেকে
আজকের পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। আসলে জানুয়ারি মাস আসলে প্রত্যেকটা স্কুলে কলেজে নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নেওয়ার একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আপনার এই অনুষ্ঠানটি দেখতে পেরে আজকে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকেও পোস্টটি পড়ার জন্য।
বিদ্যালয়ের নবীন বরণ উৎসবের বেশ দারুন মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপভোগ করেছেন। শিক্ষার্থীরা নবীন বরণ উৎসব দেখে হয়তোবা অনেক বেশি খুশি। আর বর্তমানে ডিজে ডান্সারের অভাব নেই। সেজন্যই সকল শিক্ষার্থী ডিজে গানের তালে তালে নাচ শুরু করে দিয়েছিল। আপনাদের এই অনুষ্ঠান সামনাসামনি উপভোগ করতে পারিনি। কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও উপভোগ করেছি।
আশা করি পাশে থাকবেন এবং অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
জি অবশ্যই পাশে আছি জানার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমেই নবীনদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা ৷ তারা যেন ভালো করে পড়াশুনা করে মানুষের মতো মানুষ হয় ৷ সত্যি বলতে স্কুলের উঠানে একত্রে দেখে ছোট্ট বেলার কথা গুলো মনে পড়তেছে ৷ আমরা এক সময় এরকম করে স্কুল মাঠে বসে ছিলাম ৷ যা হোক আপনি অনুষ্ঠান টি পরিচালনা করেছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো ৷
সেই সাথে অভিভাবকদের সহ এতো সুন্দর একটি নবীন বরন অনুষ্ঠান করেছেন ৷ অনেক ভালো স্কুলের প্রতিটি বাচ্চার জন্য অনেক শুভকামনা ৷
প্রতিনিয়ত ৪০-৫০ জন অভিভাবক উপস্থিত থাকে আর নবীন বরণের দিন তো তারা থাকবেই।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার পোস্ট পড়ে কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলার স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বেশ মজা হয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোও খুব সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
নবীন বরণ উপলক্ষে করা পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ