মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পট সাতক্ষীরা। সারিবদ্ধ গাছের লাইন এর পাশে কিছুক্ষণ।
আজ - রবিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মোজাফফর গার্ডেন এর সারিবদ্ধ গাছের নিচে তিন বন্ধুর অবস্থান কৃত কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি নিয়ে। তাই চলোনা দেরি না করে এখনই বিস্তারিত আলোচনায় চলে যায়।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
মোজাফফর গার্ডেন এর মূল আকর্ষণ এই দুই গাছের শারি দিয়ে শুরু। চলতি পথের দুই সাইডে দুই সারিবদ্ধ এই গাছ রয়েছে। ডান সাইডে এবং বাম সাইডে বড় একটিপুকুর। মূলত এই দুটি বাঘের মূর্তির পাশ দিয়ে প্রবেশ করে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানে পৌঁছানো যায় যেখান থেকে চাইলে বোটে চড়ে সারা পুকুর ঘুরে আসা যায় এবং অন্যরকম সুন্দর্যের স্থান দেখতে পাওয়া যায়। গত বছরের ১৬ই নভেম্বরে আমি আর আমার দুই বন্ধু বিকাল টাইমে পৌঁছেছিলাম এই বাগানে তবে মেন পয়েন্টে আসতে আমাদের অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। এই গাছের শারিটা প্রথমে দুপাশে দুইটি বাঘের মূর্তি দিয়ে শুরু হলেও মাঝপথে রয়েছে একটি গেট এবং বসার স্থান যেখানে অন্যরকম সৌন্দর্য অনুভব করা যায় যা আপনারা ফটোগ্রাফির সামনের দৃশ্য লক্ষ্য করতে পারছেন। আমরা যখন এই গেট দিয়ে প্রবেশ করছিলাম তখন তো অন্যরকম একটি ভালোলাগা অনুভব করছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন ভালোবাসার মানুষের পাশে থাকতো তাহলে হয়তো আরো অনেক সুন্দর অনুভূতি এবং সময় পার করতাম এখানে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
সারিবদ্ধ গাছের মূল পয়েন্টে ঢোকার পূর্বে আমার দুই বন্ধু বাঘের মূর্তি দেখে ছবি তোলা আর ভিডিও করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল আমার দুই বন্ধু ভিডিও ব্লগ শুরু করে দিয়েছিল এবং পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি আর ভিডিও ব্লগ করা মুহূর্তে তাদের মধ্যে একটি ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়ে পড়ল। একজন আরেকজনকে বলল শুরু করলো তোমার কথা আমার ভিডিওতে উঠে পড়ছে তুমি পরে ভিডিও করো আমি আগে করে নেই। ঠিক এভাবেই চলতে থাকলো অনেকক্ষণ সময়। মিলন নামের বন্ধুটা তো বাঘের মুখের মধ্যে মাথা দিয়ে ছবি উঠার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। আমি যখন বলেছিলাম এমন পাগলামি ফটোগ্রাফি কিন্তু ভাইরাল করে দেবো তখন সে দ্রুত মাথা বের করে নিল। সত্যি এত সুন্দরভাবে সাজানো এই স্থানটি যা দেখলে মন জুড়িয়ে যায় ইচ্ছে করে সর্বক্ষণ এখানেই অবস্থান করি। আমার এই বাগানের মধ্যে প্রবেশ করার পর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল এই গাছের সারি এবং সাজানো গুছানো এই পথটি মন যেন চাচ্ছিল না এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসি।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এটা আমার বন্ধু মিলন। বন্ধু মিলন বাঘের মূর্তির মুখের মধ্যে মাথা দিয়ে ছবি উঠানোর চেষ্টা করছিল এই মুহূর্তে আমি যখন ভাইরাল করে দেবো বলেছিলাম তখন বলছিল বন্ধু আমারও মান সম্মান আছে তাই এমন ফটো ওঠানোর দরকার নেই। ভাইরাল করানোর দরকার নেই। আমি প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। পাগলামির ফলে ছবি উঠানোর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলাম। ফটো ভাইরাল হয়ে গেলে মান সম্মান থাকতো না। ফটো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার ভয়ে সে দ্রুত বাঘের মুখের মধ্যে থেকে মাথা বের করে নিয়ে বলল আমাকে এবার ছবি উঠাও। যত পারি চেষ্টা করছিলাম তার সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে দেওয়ার জন্য, তার মধ্য থেকে কিছু আপনাদের মাঝে উপস্থিত করব বলেই রেখে দিয়েছিলাম। তবে আমার এই বন্ধু বিভিন্ন স্টাইলে ছবি উঠাতে খুব পছন্দ করে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
তবে সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় এটা যে সারিবদ্ধ গাছের রাস্তার শুরুর দুপাশে যেমন দুটি বাঘের মূর্তি রয়েছে তেমনি রয়েছে দুইটা আচার ও চাটনের অসাধারণ দোকান। যেই দোকানের অনেক অনেক প্রকার আচার পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রকার টক জাতীয় ফলের তৈরি আচার পাওয়া যায় এখানে। আমি তো বিভিন্ন আইটেমের আচার দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। আচারগুলো খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি সুন্দর সেন্ট। সন্ধ্যা কালের মুহূর্তে দোকানগুলোতে মিউজিক বাল্ব জ্বলে উঠলো চারপাশ থেকে। কিছুটা সময় অতিবাহিত করলাম বাঘের মূর্তি আর এই দোকানের পাশে। আমরা যে সারিবদ্ধ গাছের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি তার অপজিট স্থান থেকে দেখতে ঠিক এমনই লাগে। মনে হয় যেন পুকুরের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই লাইন গাছের শারি।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এই গাছের সারির মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে বিভিন্ন দিকে চোখ দিতে বেশ ভালই লাগছিল এবং অনুভব করছিলাম বিভিন্ন স্থানে ঘুরে আসা পার্কের অনুভূতিগুলো চিন্তা। হয়তো জীবনে অনেক পার্কে গিয়েছি তবে এমন সুন্দর লম্বা গাছের সারি মধ্যবর্তী স্থানে কখনো দাঁড়ানো হয়নি বা এমন জায়গাও কখনো পায়নি। তাই সবদিক বিবেচনা করে আমার এখানে অনেক ভালো লাগছিল যার জন্য অনেকটা সময় আমি এই গাছের সারির মধ্যবর্তী রাস্তায় অবস্থান করছিলাম। এই মুহূর্তে আমার দুই বন্ধু তাদের মোবাইলে আমার ফটোগ্রাফি করছিল এবং ভিডিও ব্লগের মধ্যে নিয়ে নিয়েছিল। যাই হোক তাদের অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল আমি সঙ্গে থাকাই এবং এমন সুন্দর একটা পার্কে আশায়। সব মিলিয়ে পড়ন্ত বিকেলে দারুন একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম আমরা তিন বন্ধু।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
পিকনিক স্পট গুলো দেখতে সব সময় সুন্দর হয় এবং আকর্ষণীয় হয়। আসলে এই জায়গা গুলো আকর্ষণীয় বলেই সবাই সেখানে ঘুরতে যেতে চায়। আর নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে চায়। গাছের সারি গুলো দেখেই মন চাচ্ছে সেখানে গিয়ে দাঁড়াতে। আসলে এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন ভাইয়া।
আমি তো খুবই আনন্দ বোধ করছিলাম এই মুহূর্তে যখন গাছের সারির নিচে উপস্থিত হয়েছিলাম
গাছের সারির রাস্তাটা আসলেই অনেক সুন্দর। তবে আমার কাছে বেশি মজা লেগেছে ভিডিও ভ্লগ নিয়ে ঝগড়াটা 😆😆।আসলেই মনেট মানুষের সাথে গাছের সারির রাস্তায় হাটতে পারলে মন্দ হতো না।মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পটের ছবিই দেখে মনে হচ্ছে পার্ক টা বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ
আমার ওই দুই বন্ধু এমনটাই, একটু পাগলামি বেশি করে থাকে।
ওয়াও অসাধারণ ভাই আসলে জায়গায় গেলে মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায় ৷ সত্যি বলতে রাস্তার দুই পাশে সারি বদ্ধ গাছের সারি সেই পুকুর ৷ এই ছবি টি দেখে মন ভরে গেলো ৷ আর আপনার বন্ধু মিলে বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ ধন্যবাদ ভাই মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পট সাতক্ষীরা। সারিবদ্ধ গাছের লাইন এর পাশে কিছুক্ষণ কাটার অনুভুতি গুলো ও ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ৷
খুবই ভালো লাগে একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি আমি।
নিশ্চয়ই আপনারা ভ্রমণে অনেক মজা এবং আনন্দ উপভোগ করেছেন।
তবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলা চারিদিকে সবুজের চাওয়া এমন সবুজ প্রকৃতির মাঝে গেলে মনটাও উদাস হয়ে যায় কেমন যেন একটা কবি কবি ভাব।
সব থেকে অবাক হয়েছি এত সুন্দর ভাবে শাড়ি বদ্ধ ভাবে গাছগুলা দেখে।।
একদম মনের কথা বলেছেন আপনি।
আসলে বনভোজন গুলো এরকম নান্দনিক স্থানে হলেই ভাল হয়। পিকনিক স্পট যত সুন্দর হবে পিকনিকও তত জমে উঠবে। বেশ সুন্দর একটি জায়গায় আপনারা পিকনিক করেছেন। আবার প্রকৃতির কাছে কিছু সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। ভাল লেগেছে পোস্টটি।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।