প্লে স্টাডি মানে রিলাক্স লাইফ, বাকিটা ইতিহাস
আজ - শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে আজকের নতুন একটি ইউনিক পোস্ট। আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। সেই প্রত্যাশায় আর কোন কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
টাইটেল দেখে হয়তো বুঝে ফেলেছেন, তবে হয়তো এখনো কনফিউশন রয়েছে যে সুমন ভাই আমাদের মাঝে কি উপস্থাপন করতে এসেছে। ভয় পাবার কোন কারন নেই চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। গত কিছুদিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনাদের মাঝে। আপনাদের মাঝে আজও বলা হয়নি আমি কিছুদিন যাবত একটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জয়েন করেছি। স্কুলের নাম 'গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুল'মটকা বাজার,গাংনী, মেহেরপুর। বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াতে হয়। তবে তার মধ্যে একদম প্লের বাচ্চাদের একটি ক্লাস নিতে হয়। বিষয়ঃ সাধারণ জ্ঞান এবং ওয়ার্ড বুক।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কি হাসি পাচ্ছে আপনাদের? এটা কি কোন টিফিন পিরিয়ড? মোটেই না, এটা ক্লাস চলাকালীন সময় এর একটি দৃশ্য। এবার চাইলে আপনারা একটু হেসে নিতে পারেন!
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
হাসাহাসি বন্ধ করে আবার সামনের দিকে এগোতে থাকুন। আমরা জানি কয়েকটি ক্লাস পরে টিফিন পেরিয়ড আসে। সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে।টিফিন শেষে আরো কয়েকটি ক্লাস করে ছুটি হয়। কিন্তু প্লে ছাত্র-ছাত্রীরদের জন্য তার ব্যতিক্রম। তাদের কোনো টিফিন দেওয়া লাগেনা, তারা নিজ থেকে তৈরি করে নিতে জানে।
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
পড়ানোর সময় যেমন বোকে মরতে হয়, তেমন বিরক্ত বোধ হতে হয়। কিন্তু কি আর করার থাকে, সবমিলিয়ে নিজ থেকে একটু হাসতে হয়। তার কারণ একদিকে পড়া ধরতে ধরতে আরেকদিকে ঘুম মেরে বসে। কেউ জুস খায়। কেউ সেলফি তোলে হাতের আঙ্গুল দিয়ে। কেউ মুখ চুলকায়ে রিলাক্সে বসে।
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
মাঝে মাঝে মনে হয় শিক্ষা সফরে যাওয়ার বোধহয় কোনো প্রয়োজনই নাই। চিড়িয়াখানায় যে কি লাভ? সমস্ত আনন্দ যদি এরাই দিতে পারে। পুরনো স্মৃতিগুলো বার বার ফিরিয়ে আনে এরা, যেগুলো অনেক আগে হারিয়ে ফেলেছি।
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
এটা না হয় দ্বিতীয় দিনের দৃশ্য। একদিকে পড়াচ্ছি আরেকদিকে একটি ছেলে আরেকজন এর ব্যাগের ভেতর থেকে বিস্কুট নিয়ে দৌড় দিচ্ছে। আবার একদিকে পড়া ধরতেছি,অন্যদিকে কেউ কাউকে থুতু দেওয়া দিয়ে করছে। বাকিটা না হয় আপনারাই বুঝে নিবেন।
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
এদের পড়াতে হলে ব্ল্যাকবোর্ডে আগে পাখির ছবি অথবা মানুষের ছবি এঁকে দিতে হয়। পাখির ছবি হলে পাখির নিচে একটি বাসা দিতে হয়, অবশ্য বাসাতে অনেকগুলো ডিম থাকা চায়। ডিম না আকিয়ে দিলে তারা পড়া বলতে চায় না। অনেকেই বলে থাকেন ডিম আগে দাও বাড়িতে নিজে ভেঁজে খাবো। তারপরে এসে পড়া বলবো! আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
সব সময় তাদের ফোর্স দিয়েই পড়াতে হয়, নাই মন বসেনা তাদের। মোবাইলের পিকচার তুলে নিতে হয়, পিকচার দেখাবো বলে ওদের পড়া নিতে হয়। ওরা পিকচার দেখার জন্য বেশি উৎসাহিত হয়। তার ফাঁকে পড়া বলতে বলা হয়। পড়া বলতে না পারলে তারপর ছবি দেখাবো না বলি,পড়ায় মনোযোগ আনে। তাহলে কি বুঝলেন? বোর্ডে তাদের ছবি আঁকি দিতে হয়, ডিম তৈরি করে দিতে হয়, মোবাইলে সেলফি অথবা ফটো তুলে তার ছলে পড়াতে হবে।
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
তবে তারা যথেষ্ট পড়া পারে। নিজের নাম; বাবা মায়ের নাম; গ্রামের নাম; থানার নাম; জেলার নাম; বিভাগের নাম; দেশের নাম; স্কুলের নাম; পাঁচটি পাখির নাম; পাঁচটি ফুলের নাম; পাঁচটি ফলের নাম; নিজের শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের বাংলাতে ও ইংরেজি নাম বলতে জানে। আপনারা ওদেরকে যতটা অমনোযোগী ভাবছেন, ততটা কিন্তু না। আর এই নিয়েই প্লেওয়ানের ছাত্র ছাত্রীদের দৈনন্দিন শিক্ষা গ্রহণের জীবন।
Photography device: Infinix hot 11s
Camera-50mp
location
আশা করি আপনাদের অনেক অনেক ভাল লেগেছে। তবে কতটা ভালো লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজ এ পর্যন্ত। ফিরে আসবো আবার কোন এক ক্লাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রিলাক্স একটি লাইফ এটি। এই সময়টাতে বাচ্চারা তাদের হাসি আনন্দ তে সময় কাটায়। এবং তারা তখন হাসি খুশিতে পড়তে বেশি পছন্দ করে। তাই মারধর করে না বরং কৌশল তাদেরকে পড়াশোনা শেখানো ভালো। আপনার ছবিগুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে বাচ্চারা খবর রিলাক্সে পড়াশোনা করছে।আহা !!! কিযে মজা 😄😄
রিলাক্সের লেখাপড়া করলে এরা খুব মেধাবী।
বেশ মজা পেলাম তাদের কাণ্ডকারখানা গুলো দেখে। আসলে এই সময়টা এরকম হয় তাদের মনে যেটা চায় তারা সেটাই করে। যাইহোক আপনার ব্লগ টি দেখে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল অনেকটা 😍
হ্যাঁ মজা পাওয়ার বিষয়।
ফটোগ্রাফি হলো বেশ ছিল। এবং প্রথমটা দেখে বেশ হাসি পাচ্ছিল। কিন্তু কী জানেন ভাই এই গরমে আমরাই ক্লাস করতে পারিনা ক্লান্ত হয়ে যায়। আর এরা তো ছোটবাচ্চা। বতর্মান সময়ের ছেলে মেয়েদের দেখে আমার বেশ খারাপ লাগে। ইচ্ছা না থাকা সত্বেও বইয়ের বোঝা কাধে চেপে গেছে অনেক সুন্দর ছিল ভাই।।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ধরনের শিশু শ্রেণীতে যারা লেখাপড়া করে তারা অনেক মজা করে শিখতে থাকে। যদিও যে সকল শিক্ষক তাদেরকে শিক্ষা প্রদান করে তাদেরকে একটু কষ্ট করতে হয়। কেননা এই ধরনের শিশুরা কোনোভাবেই কোনো নিয়ম-কানুন এর মধ্যে যেতে পছন্দ করে না তারা সব সময় চেষ্টা করে তাদের মনের মত করে চলাচল করতে।
খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন বাবুদের নিয়ে, আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো।