আজ - রবিবার
১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮ মে, ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দ
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম |
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে ছোটবেলার কিছু স্মৃতিচারণ করে আম কুড়ানোর অনুভূতি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে আমার এই অনুভূতি পড়বেন এবং জানতে পারবেন কখন কোন মুহূর্তে কিভাবে আম কুড়িয়ে ছিলাম নিজেদের গাছ থেকে রাত্রে কালীন মুহূর্তে যখন প্রচন্ড মেঘের গর্জন চলছিল। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনই বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
গত ২১ তারিখ দিনটা ছিল রবিবার আমাদের এখানে প্রচন্ড ঝড় শুরু হয়েছিল। সন্ধ্যার মুহূর্ত থেকে আকাশে কালো মেঘ জমে গেল এবং হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস শুরু হয়েছিল তবে মনে হয়েছিল যেন ঝড় বৃষ্টি তেমন একটা হবে না এই মেঘ যেন কেটে যাবে। তবে আমার সবচেয়ে বেশি চিন্তা হচ্ছিল গাছের আম এবং মাঠে পুকুরের কলা নিয়ে। যখন কালো মেঘ আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগলো তখন ভাবলাম হয়তো আজকের মত ঝড়-বৃষ্টি আর হবে না তাই কিছুটা স্বস্তি বোধ করছিলাম যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে চাচ্ছিলাম বৃষ্টি হোক কিন্তু বৃষ্টি তো হয় না যখন শুরু হয় হয় প্রচন্ড ঝড়। বৃষ্টির প্রয়োজন বোধ করি কিন্তু ঝড়ের প্রয়োজন কখনোই বোধ করি না কারণ এতে ক্ষতি হয় অনেক। ঠিক এমন করে কিছুটা সময় চলতে থাকলো এরপর রাত নটার পর থেকে যেন ঝড়ো হাওয়া আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলো। এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয়ে গেল প্রচন্ড আকারে ঝড়ো হাওয়া যে ঝড়ে আমি টর্চ লাইট জ্বালিয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম নারিকেল গাছগুলো যেন সোজা অবস্থায় আর না থেকে উত্তরের বাতাসে দক্ষিণ দিকে হেলিয়ে ফেলতে লাগলো। এই অবস্থা দেখে তো সত্যি খুবই খারাপ লাগলো আর আম গাছগুলোর পানে তাকিয়ে দেখতে থাকলাম আম যেন এদিক থেকে অধিক ওদিক থেকে এদিকে শুধু দোল খাচ্ছে আর ঝরে পড়ছে। ছোট ছোট মোট সাতটি আম গাছে এবার আম এসেছিল বেশ। কিন্তু তা পাকার পূর্বে তিন-চার দিন ধরে ঝড় হওয়ায় প্রায় পড়ে শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। কিছুক্ষণ ধরে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার পরে আম গাছের গোড়ায় চলে এলাম এবং দেখলাম জায়গায় জায়গায় আম পড়ে আছে। কিছু সংখ্যক আম পড়ে আছে ডাঙ্গায় আবার কিছু আমি পড়ে রয়েছে বাড়ির পিছনের পুকুরের পানির মধ্যে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আমি মোবাইলের টর্চ ধরে আম কুড়ানো শুরু করলাম। আর এই মুহূর্তে আমার স্মরণে আসলো ছোটবেলার বিভিন্ন স্মৃতিতে যেই সময় ছোট ছোট বন্ধুরা মিলে নিজের আমগাছ অথবা লোকের আম গাছে আম কুড়াতে যেতাম এমন ঝড়ের রাতে। তবে আজ বড় হয়েছি যেন আম কুড়ানোর সেই স্মৃতিগুলো কখনোই ভুলে নাই, আবার আম কোড়ানোর কার্যক্রমটা এখনো বিদ্যামান রয়েছে নিজের মধ্যে। তবেই শুধু নেই সেই ছোটবেলার প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা। নিজের গাছের আম কুড়ানোর মুহূর্তে না জানি কত স্মৃতি ভেসে আসতে থাকলো মনের মধ্যে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
একদিক থেকে আম কুড়াতে থাকলাম আর অন্যদিকে গামলায় রাখতে থাকলাম এভাবে আস্তে আস্তে অনেকগুলো আম জমা হতে থাকলো। হঠাৎ যেন আবারও কিপটাপ বৃষ্টি আসতে থাকলো তাই আর বেশি আম কুড়াতে পারলাম না সাধ্যমত চেষ্টা করলাম আমি গুলো গামলার মধ্যে তুলে নিয়ে ঘরের দিকে যাওয়ার। যেহেতু এই মুহূর্তে প্রচন্ড মেঘ ঝড় হয়ে গেছে আবারও হালকা বৃষ্টি আসছে আর প্রচণ্ড আকারে মেঘ ঝিলিক মারছে, মাঝেমধ্যে জোরে জোরে মেঘ ডেকে উঠছে; এমন অবস্থায় আম কুড়ানোটা ঠিক নয় বললেই চলে। তবে যতটুক সম্ভব হয়েছে এ রাতে আম কোড়ানোর চেষ্টা করলাম এভাবে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আমাদের যে সাতটি আম গাছে আম ধরেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি আম রয়েছে ফটোগ্রাফির এই আমগুলো তবে লক্ষ্য করে দেখলাম উপরের দিকে যত আমছিল তা অনেকখানি পড়ে গিয়েছে এবং পুকুরের পানির মধ্যে ডুবে গেছে এমনিতেই আম পুকুরের পানিতে ডুবে না ভেসে থাকে কিন্তু কাদায় পুতে যায়, বনের মধ্যে হারিয়ে যায় তাই বেশি আম খুজে পেলাম না আর সাহস করলাম না এমন দুর্যোগ অবস্থায়। ভাবছিলাম সকাল ভোরে উঠে খোঁজার চেষ্টা করব কিন্তু তা কি সাধ্যের জোটে, বাইরের মানুষরাও তো খুঁজতে আসে ঠিক যেমন আমরা ছোটবেলায় কুড়িয়ে বেড়াতাম। তবে যাই হোক এভাবেই আম কুড়ানোর মুহূর্তটা শেষ হলো চলে গেলাম রুমের দিকে। তবে আম কোড়াতে গিয়ে যথেষ্ট ভিজে গেছিলাম যেহেতু টিপটাপ বৃষ্টি পড়ছিল তখন। আর এভাবেই সুন্দর একটা ভয়ানক মুহূর্তের মধ্যে আম কুড়ানোর কার সম্পন্ন করেছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
ঝড়ের দিমে আম কুড়োতে যে সুখ তা আমি জানি। ঝড় হচ্ছে আকাশে গর্জন হচ্ছে এমন সময় ঠুসঠুস আম পড়ার শব্দই মন ভরে যায়। খাওয়ার চেয়ে আম কুড়োতেই ভাল্লাগে😁।
কথা কিন্তু ১০০% ঠিক বলেছেন
ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো এক সময় খুব আনন্দের ছিল। এখন ত ঝড়ের সময় গ্রামেই থাকা হয় না আর থাকলেও বিজলী চমকানোর ভয়ে যাওয়া হয়না। আপনার আম কুড়ানোর লেখা পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আমের ছবিগুলো দেখেও খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অতি আনন্দঘন একটা মুহূর্ত আম কুড়ানো
কয়েকদিন আগে যখন গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম আমিও ঝড়ের মধ্যে আম কুড়িয়েছি। কেন জানিনা আমি লোভ সামলাতে পারি না। আমার মা এবং আপনাদের ভাইয়া বারবার নিষেধ করছিল তারপরও আমি দৌড়ে গিয়ে কয়েকটি আম কুড়িয়ে এনেছি আমাদের বাহিরের গাছের।আপনার আম কুড়ানোর অনুভূতি পড়ে আমারও সেদিনের কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া।
এটা লোভ নয় আপু ভালোলাগ
ঝড়ের দাম কুড়াতে অনেক বেশি ভালো লাগে তবে আবার একা একা বের হতে ভয় লাগে। যখন ঝড় হয় তখন পাকানগুলো ঠপাশ করে আটকে পড়ে হাতা কুড়িয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে আমারও ভালো লাগে তবে বিদ্যুৎ চমকালে একটু ভয় লাগে।
আসলে আম খাওয়ার চেয়ে নিজের গাছের আম কুড়িয়ে নেওয়ার অনুভূতি সত্যি খুব অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনার আম কুড়িয়ে নেওয়ার অনুভূতি গুলো পরে খুব ভালো লাগলো। সত্যি বেশ চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে রাতে একা একা আম কুড়াতে অন্যরকম অনুভূতি অন্যরকম হয়ে থাকে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আম খাওয়ার চেয়ে কুড়াতে বেশি ভালো লাগে
ঝড় বৃষ্টির রাতে আম কুড়ানোর মজাটাই অন্যরকম, আসলে ঝড় বৃষ্টির রাতে আম কুড়ানোর সেই অনুভূতি আমার রয়েছে। ওই সময় আমতলাতে অনেক মানুষ কম থাকে। যার কারণে আমগুলো পড়ে থাকে আর তখন অনেক বেশি ভালোলাগে আম কুড়াতে।
একদম মনের মত কথা বলেছেন
শুধু শুনি ঝড়ের মধ্যে আম কুড়ানোর কথা। কিন্তু জীবনে কখনও আম আর কুড়াতে পারলাম না। ইস আমি যদি আপনার মত এত সুন্দর করে আম কুড়াতে পারতাম। খুব সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে ঝড়ের দিনের আম কুড়ানোর গল্প শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চেষ্টা করুন একদিন আপনিও ইচ্ছাপুরন করতে পারবেন
আপনার আম কুড়ানো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ভাই। ছোটবেলায় কত যে আম কুড়িয়েছি এভাবে। তার কোনো হিসাব নেই। যাইহোক আমের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছেলেবেলা কে স্মরণ করেই আমি এই কাজ করেছি