ঢাকা সাভার বিশমাইল ভ্রমন
আজ - মঙ্গলবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঢাকা সাভারের জাহাঙ্গীরনগর এরিয়ার বিশমাইলে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত নিয়ে। আশা করব আমার আজকের এই ব্লগ পড়ে আপনারা বেশ কিছু জানার সুযোগ পাবেন। ফটো ধারনের মুহূর্তের অনুভূতি জানতে পাবেন।
মায়ের অপারেশন করানোর জন্য খালাম্মার বাসাতে উপস্থিত হয়ে,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এরিয়ায় আমার বেশ ছিল চলাচল। বিকেল মুহুর্তে বের হয়ে পড়তাম এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করতে যেতে। ঠিক তেমনি একটা দিন রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন পশুপাখির মূর্তি দেখার জন্য বের হলাম। কারণ এর আগে ফলাফল করার মুহূর্তে এই জায়গায় অনেক রকমের মূর্তি ছিল সেগুলো বাসের মধ্য থেকে লক্ষ্য করেছিলাম তাই ইচ্ছা ছিল ঘুরতে যাব এবং দেশে আসবে একদিন। আর এ মূর্তিগুলো কেন এখানে রয়েছে সেটা আমার জানা ছিল না শুধু লক্ষ্য করে দেখেছিলাম একটি পুলিশ বক্স এর পাশে এগুলো। এ জায়গায় ঘুরবো বলে একদিন হঠাৎ বের হয়ে পড়লাম। যাওয়ার পথে প্রথমেই জাহাঙ্গীরনগরের এই মসজিদটা চোখের সামনে বাদে। মসজিদটা বেশ দেখার মত এবং খুব সুন্দর ভাবে সাজানো। গুগল ম্যাপের সার্চ করলেও মসজিদের এই পাঁচিল ভালোভাবে দেখা যায়। আর এরই পাশ দিয়ে প্রায় বিকালে যাওয়া আসা করেছি এবং ঘুরাঘুরি করেছি হাইরোডের বিভিন্ন জায়গার দিকে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে। ঠিক ঐদিন পায়ে হেঁটে চলতে থাকলাম সামনের দিকে ফ্লাইওভারে উঠবো বলে।
ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে চলে গেলাম যেখানে রয়েছে বিভিন্ন পশু পাখির মূর্তি সেই জায়গায়। সেখানে উপস্থিত হয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম কি বিষয় নিয়ে যেন পুলিশের কাজ চলছে। পুলিশ থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখার চেষ্টা করি সব সময়। যেহেতু এখানে পুলিশ বক্স রয়েছে তাই ভাবলাম একটু পরে না হয় আবার ফিরে আসবো। তার আগে একটু শীতল হয়ে আসি ফ্লাইওভার থেকে। কারণ ইতোমধ্যে আমি খুবই ঘেমে গেছিলাম। আরো একটা বিষয় ছিল এখানে এসবি কাউন্টার রয়েছে সেই কাউন্টারে কিছুটা কথা বলতে হবে। কিছু ওই মুহূর্তে কাউন্টারটা খোলা ছিল না। তাই সোজা ফ্লাইওভারের দিকে আবার হাটা শুরু করি।
বিকেল মুহূর্তটা ছিল বেশ ভাপসা গরম। দীর্ঘ পথ আসার পর ফ্লাইওভারে ওঠে প্রথমে ঠান্ডা এরপর আরো অনেক কিছু খাওয়া দাওয়া করে ঠান্ডা হয়ে নিলাম নিজে। তারপর চেয়ে দেখতে থাকলাম রাস্তার বিভিন্ন দৃশ্যগুলো। একদমই কুরবানীর ঈদের পরের মুহূর্ত এই জন্য রাস্তায় গাড়ি ছিল খুবই কম। মানুষের চলাচল ছিল অনেক কম। গত ঈদের আগে দিনগুলো যেমন মানুষ পরিপূর্ণ এবং শীতল বাতাস খুঁজে পাওয়া গেছিল না তবে এই লক্ষ্য করলাম বিপরীত শীতল বাতাস যেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বয়ে চলছে নেই এতে কোন গন্ধ। তাই ফ্লাই ওভারের উপর অনেকক্ষণ অবস্থান করে মনের মত শীতল হয়ে নিলাম। মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় ফ্লাইওভারের উপরে যে সমস্ত বিক্রেতারা বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বেচাকেনা করতো তাদের উপস্থিতিও কম দেখলাম। এক কথাই বলতে গেলে সকল বিষয়ে যেন মানুষের কম উপস্থিতি।
মন যেহেতু পড়েই রয়েছে এই জায়গার এই মূর্তিগুলো দেখবো ও ছোট ধারণের পাশাপাশি কিছুটা জানবো বলে। তাই যখন দেখলাম মানুষের উপস্থিতি এই জায়গায় কমে গেল তখন আবারো আমি চলে আসলাম কিন্তু তার আগেই এফবি কাউন্টারের ঘর খোলা হয়নি। তাই মনে মনে ভাবছিলাম যতক্ষণ না কাউন্টার খুলবে ততক্ষণ এখানেই তো থাকতে হবে তাই কিছুটা মনের মত ফটো ধারণ করে নিব। এখানে এসে বেশ কিছু পশুপাখির মূর্তি গুলো দেখতে পারলাম। পথচলা কিছু মানুষের কাছে এটা জানতে পারলাম এখানে বেশ কিছু জিনিস বিক্রয় করা হয়ে থাকে। তবে এই জিনিসগুলো অনেকদিন ধরে এভাবেই রয়েছে। তবে উনি স্থানীয় মানুষ নয় তাই বেশি কিছু বলতে পারলেন না। কিন্তু একটা বিষয় প্রচন্ড ভেপসা গরম, ফ্লাইওভার এর উপরে বেশ শীতল হাওয়া। আর এদিকে মনে মনে হচ্ছিল আমি যে, এই সমস্ত জিনিসগুলো ফটো ধারণ করছি না জানি কখন কে কি বলে।
যায় হোক বেশ কিছুটা সময়ের জন্য সেখানে অবস্থান করলাম। বেশ কিছু ফটো ধারণ করলাম। প্রচন্ড ঝাপসা গরমে নিজেও ঘেমে যাচ্ছিলাম তাই আবারও কাউন্টারের দিকে আসলাম। কাউন্টারে অপেক্ষা করলাম। কিন্তু সেই কাউন্টার বন্ধই থেকে গেল। এর কিছুক্ষণ পর মাগরিব হয়ে আসলো তাই আবারও ফ্লাইওভারে এসে শীতল হাওয়া অনুভব করে অতপর বাসায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আর এভাবেই বিকেল মুহূর্তে বেশ ঘোরাঘুরি করেছিলাম ঢাকা সাভারের জাহাঙ্গীরনগর এরিয়ার বিশমাইল এর দিকে। তবে কয়টা দিন সেখানে উপস্থিত হয়েছি তাতে তো মনে নাই যেদিন ফটো ধারণ করেছে সেগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে। আর তার মধ্য থেকে এই দিনের অনুভূতিটা আপনাদের বলা ও দেখানোর সুযোগ পেলাম।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | ভ্রমণ |
---|---|
লোকেশন | ঢাকা,সাভার |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|