পুঁইয়ের শাক ও তার বিচির সাথে মাছ ভাজা এবং কলা দিয়ে দারুন একটি রেসিপি
আজ - বুধবার
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি।
স্টিমিট প্লাটফর্মে 'আমার বাংলা ব্লগ' কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে আমার পক্ষ থেকে সালাম ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন পোস্ট। পোষ্টের বিষয়, পুঁইয়ের শাক ও পুইশাকের বিচি এর সাথে আলু ও কাঁচা কলা দিয়ে রান্নার দারুণ সুস্বাদু রেসিপি। তাহলে আর দেরি কেন বন্ধুরা? চলুন কার্যক্রম শুরু করা যাক।
- শেষের দৃশ্য। রেসিপি হাতে আমার একটি ছবি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহের তালিকাঃ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
---|---|---|
১. | কাঁচা কলা | চার পিচ |
২. | পেঁয়াজ কুচি | পাঁচ পিস |
৩. | রসুন কুচি | চার পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | ১০ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ১৫০ গ্রাম |
৬. | তেজপাতা | তিন পিস |
৭. | গরম মসলা | আট খন্ড |
৮. | মসলা বাকলা | ছয় খন্ড |
৯. | লবঙ্গ | দশ পিচ |
১০. | জিরা | পরিমাণ মতো |
১১. | লবণ | পরিমাণ মতো |
১২. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামুচ |
১৩. | হলুদের গুঁড়া | দুই চামচ |
১৪. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১৫. | পানি | পরিমান মত |
১৬. | পুঁইশাক ও বিচি | এক কেজি |
১৭. | মাছ ভাজা | ছয় খন্ড |
১৮. | কলাইয়ের ডাল | ১০০ গ্রাম |
রেসিপির ধাপসমূহঃ |
---|
প্রথম ধাপ :
• প্রথমেই পুঁইয়ের শাক ও বিচি; সকল প্রকার মসলা; মাছ ভাজা; তরকারি কলা; কলাইয়ের ডাউন; পানি; তেল ইত্যাদি রান্না করার জন্য চুলার পাড়ে প্রস্তুত করলাম।
দ্বিতীয় ধাপ :
• গ্যাসের চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে তেল ঢেলে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ :
• চুলা অন করার পর তেলের উপর সকল প্রকার মসলা নির্দিষ্ট পরিমান মত করে দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ :
• এখন মসলা গুলোর উপরে পুঁইয়ের শাক ও বিচি গুলো দিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ :
• এবার পুঁইয়ের শাক এর উপর কলাইয়ের ডাল ও বাকি মসলা গুলো দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ :
• চুলা অন রয়েছে, আমি কড়াইয়ের উপর থেকে খুন্তি দিয়ে সব উপাদান মিক্সচার করে দিতেছি।
সপ্তম ধাপ :
• এখন কড়াই এর মধ্যে এক কাপ পানি ঢেলে দিলাম।
অষ্টম ধাপ :
• কলার ফালিগুলো প্লেট থেকে কড়াইয়ের মধ্যে সব দিয়ে দিলাম। এরপর খুন্তি দিয়ে সকল উপাদান এর সাথে মিক্স করে দিলাম।
নবম ধাপ :
• যত সময় বাড়তে থাকলো সাথে সাথে তরকারি গুলো সিদ্ধ হতে থাকলো।
দশম ধাপ :
• এবার ঢাকনা দিয়ে কড়াইটি ঢেকে দিলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম যেন সকল সবজি ভালোভাবে সিদ্ধ হয়।
একাদশ ধাপ :
• আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখুন সবজিগুলো অনেকটা সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং কলাতে মসলা লেগে রং হয়ে গেছে।
দ্বাদশ ধাপ :
• এখন তরকারিতে ঝোল করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি ঢেলে দিলাম।
ত্রয়োদশ ধাপ :
• আবারও দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকনাটি দিয়ে কড়াইটা ঢেকে দিলাম। ঢাকনার ফাঁক দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন সবজিগুলো পানির সাথে ফুটছে।
চতুর্দশ ধাপ :
• ঢাকনা তুলে দেওয়ার পরে লক্ষ্য করলাম তরকারিতে পানি কমে নাই তবে সকল সবজি সিদ্ধ হয়ে গেছে।
পঞ্চদশ ধাপ:
• এখন সিদ্ধ সবজিগুলোর মধ্যে ভাজা মাছ গুলো একটি একটি করে ছয় পিস দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ ধরে জাল দিতে থাকলাম এবং খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকলাম। যেহেতু মাছগুলো ভাজা ছিল তাই বেশিক্ষণ সময় দেওয়া লাগল না।
ষষ্ঠদশ ধাপ:
• এখন রান্না করা তরকারি গুলো একটি গামলাতে উঠিয়ে ফেললাম।
শেষ ধাপ:
• আমার রান্না করা তরকারি গুলো একটি প্লেটে প্রস্তুত করলাম এবং প্লেটের একটি ফটো উঠালাম।
• রাতে খাওয়ার সময় পরিবারের সকলের মধ্যে আমার এই রেসিপি পরিবেশন করলাম। এরই মধ্য দিয়ে আমার আজকের প্রোগ্রাম সমাপ্ত হল।
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)@sumon09 আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। বাংলার স্টুডেন্ট হওয়াই,রূপ রস ছন্দ অলংকার সম্মিলিত কবিতা লেখা যথেষ্ট পারদর্শী।
আমার পরিচিতি কিছু বিশেষ তথ্য আমার নাম @sumon09🇧🇩🇧🇩 ফটোগ্রাফি ডিভাইস মোবাইল ব্লগিং মোবাইল itel vision 1 ক্যামেরা Al dual camera-8mp এবং Infinix hot 11s-50mp আমার বাসা মেহেরপুর আমার বয়স ২৫ বছর আমার ইচ্ছে লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা
ধন্যবাদ ভাইয়া । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনি খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এবং এরি সাথে রিস্টিম করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি ভাই দেখে ভালো লাগলো। আসলে পুইশাকের বিচি দিয়ে আমি এই রেসিপি কোনদিনও খাইনি। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে পুরো ইউনিক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর নিত্য নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুইশাকের বিচি আমার অতি প্রিয় খাবার । এটি খেলে শরীরের কষ্টোকাঠিনো দূর হয় । তাই আমি নিজে আবাদ করে থাকি এবং পরিবারের সকলকে রান্না করে খাওয়ায়।
আপনি খুব সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটা থাক খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু। আপনি আপনার মহা মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন।
অসাধারন পুষ্টিকর একটি রেসিপি করেছেন আপনি।খুব নিখুত ভাবে রেসিপিটি সম্পূর্ণ করেছেন।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আমাদের সকলের জানা উচিত এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের দুর্বলতা দূর করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে।
আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । রেসিপিটি আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু। সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়েছেন এবং এর সাথে আপনার সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরেছেন।
বিভিন্ন সবজির সমন্বয়ে রেসিপিটা তৈরি করা হয়েছে।মনে হচ্ছে বেশ স্বাদের হয়েছে।পুঁইশাকের ছড়ি খুবই টেস্টি হয়।ধাপগুলো ভালো ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু । খুব সুন্দর ভাবে আমার পোস্টের মন্তব্য করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পুইশাকের বিচি দিয়ে মাছ রান্না খেতে খুবই মজা লাগে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের খাবার খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপে বিবরণ গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অতি লোভনীয় একটি রেসিপি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন আমার এই রেসিপি নিয়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেকগুলো ধাপে খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন আপনার রেসিপিটি। খুবই ভালো লেগেছে। তবে পুইয়ের গোটা আমি খেতে পারি না। রান্না করলে এটা বাদ দিয়েই রান্না করতে হবে। সবশেষে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আমারে রেসিপি পোষ্ট নিয়ে এবং আপনার বিষয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
আপনি আমাদের মাঝে শীতকালের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। পুই শাক খেতে আমার খুবই ভালো লাগে এটি অনেক সুস্বাদু একটি খাবার তবে আপনি পুঁইশাকের সাথে মাছ এবং কলার মিশ্রণ করায় রেসিপিটি বেশ মজাদার এবং ইউনিক হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে মন্তব্য করেছেন।
চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। এই ধরনের রেসিপি আমি খুব পছন্দ করি। যদিও এই ধরণের রান্না আমাদের বাসায় কখনো হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৮ দিন আগে আপনি আপনার লেভেল ওয়ান ভেরিফিকেশন পোস্ট করেছেন। এখনো কেন আপনি লেভেল ওয়ান এ বসে আছেন এটা আমি বুঝতে পারছি না। আপনার পোস্ট আজকের পর থেকে আর কিউরেশনে পাঠানো হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি লেভেল ২ তে যাচ্ছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি জেনে খুশি হবেন যে আমি আজকে লেভেল টু এর ভাইভা সম্পন্ন করেছি এবং শনিবারে আগে লেভেল টু এর পরীক্ষা দেবো।