হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আমার পুকুর পাড়ে শাকসবজি উত্তোলনের সুন্দর এক মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে আমার এই পোস্ট।
আজকে বিকেলে আমি আমার পুকুর পাড়ে উপস্থিত হলাম আমার শাকসবজি গাছে সেচ দেওয়ার জন্য। দেখতে পারছেন আমার তিন নম্বর সবজি বাগানের মধ্যে বেশ অনেক প্রকার শাকসবজি রয়েছে যেমন লাউয়ের গাছ টমেটো পেঁয়াজ গাছ সহ আরো অনেক কিছু। মূলত পেঁয়াজে পানি দিতে হবে বলেই আমি উপস্থিত হয়েছি সেখানে। তবে পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো টমেটো গাছ। যে টমেটো গাছে রয়েছে বেশ অনেক অনেক টমেটো। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রথমেই বাগানের প্রবেশ পথ খুলে দিলাম। এরপর তার মধ্যে প্রবেশ করে আমি প্রথমে চিন্তা করলাম যেহেতু সবজি গাছগুলোতে পানি দিতে হবে যে টমেটোগুলো মাটির সাথে লেগে আছে সেগুলো হয়তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই খাওয়ার উপযুক্ত টমেটোগুলো উত্তোলন করা প্রয়োজন।
পেঁয়াজের মধ্যে টমেটো গাছগুলো যেন মিশে গেছে। তাই প্রথমত আমি একটু ভালো করে দেখে নিলাম কোন কোন কাছে কেমন টমেটো রয়েছে। চেয়ে চেয়ে দেখলাম বেশ সুন্দর টমেটো হয়েছে অনেকগুলো গাছে। তাই প্রথমত পানি দেওয়ার শুরুতেই আমি টমেটো উত্তোলন করার জন্য একটি পলিথিন ব্যাগ ম্যানেজ করে নিলাম আমার বাগানের মধ্যে থেকে। কারণ প্রায় বাগানের মধ্যে প্রবেশ করলে প্রয়োজনীয় কারণে যে পলিথিন ব্যাগগুলো নিয়ে আসা হয় সেগুলো জায়গা মতো রেখে দেই।
প্রত্যেকটা গাছে বিভিন্ন সাইজের টমেটো রয়েছে। তবে বেশ খোঁজ করলাম, কোন গাছে আধা পাকা বা পাকা টমেটো দেখলাম না। এরপরে বেশ ভালো লাগলো যেগুলা উত্তোলন করা যাবে সেগুলো তুলে ফেলাই ভালো। একদিকে ইঁদুরে খেয়ে যাচ্ছে আরেক দিকে পোঁচে যাচ্ছে। আরে এই মুহূর্তে আমি সেচ দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছি যেগুলা মাটির সাথে লেগে রয়েছে সেগুলা তো টিকে থাকবে না এটা আমি নিশ্চিত। যাই হোক পর্যবেক্ষণ করে দেখতে থাকলাম আর ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। আর এর পাশাপাশি উত্তোলন করতে থাকলাম টমেটো।
আর এভাবেই খুজে খুজে টমেটো উত্তোলন করতে করতে একটি মুহূর্তে আমার ব্যাগের মধ্যে লক্ষ্য করে দেখলাম এক কেজির বেশি টমেটো উত্তোলন করে ফেলেছি। বেশি তুলে নিয়ে গেলেও আবার আরেক সমস্যা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি মাছ থেকে থাকে। এইজন্য বেশি তুলে নিয়ে যাওয়াটাও আবার ভালো দিক হয় না। তবে যাই হোক বন্ধুরা দেখে কিন্তু বুঝতে পারছেন নিজে হাতে উৎপাদিত শাক সবজি, টাটকা শাকসবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই আমি আমার সকল বন্ধুদের এই কথা বলব আপনারা সুযোগ পেলে সময় সাপেক্ষে এভাবে নিজেদের পড়ে থাকা পরিত্যাক্ত জায়গা গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে যেমন অনেক শাকসবজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে আর্থিক লাভবান হতে পারবেন, পাশাপাশি নিজেকে কৃষি কাজে কর্মব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে ভালো রাখতে পারবেন।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
নিজের সবজি বাগান থেকে টমেটো উত্তোলনের অনুভূতি বেশ দারুণ লাগলো ভাই। কাঁচা টমেটো গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে সত্যি আমি অনেক আনন্দিত।
আপনার সবজি বাগানে দেখছি প্রচুর পরিমাণে টমেটো হয়েছে। আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের বাড়ির আশেপাশে থাকা জায়গাতে সবজি উৎপাদন করা তাতে পরিবারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বাড়িতে উৎপাদন করার ফলে এতে কোন কীটনাশক থাকে না তাই এটা শরীরের জন্য উপকারী।
অনেক কমেন্ট হচ্ছে কিন্তু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাটির সাথে লেগে থাকায়
ঠিক বলেছেন ভাইয়া টাটকা আর নিজের হাতের ফলানো শাকসবজি খেতে মজা ও আনন্দই আলাদা।আজ আপনার সবজিবাগান দেখে আমার বেশ লেগেছে।আসেল ভাইয়া আপনার মতো যদি আমার এই রকম জায়গা থাকতো। তাহলে আমিও সবজির বাগান করতাম। সবজির বাগান করা আমারও অনেক ভালো লাগে।তাই আমিও আপনার মতো সবাইকে বলবো। যাদের বাড়ির সামনে কিছু জায়গা রয়েছে। তারা চাইলে এভাবে সবজির বাগান করতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।আপনার সবজি বাগান ও সবজি উত্তোলনের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি মনে করি এভাবে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন ইনশাল্লাহ যেকোনো মুহূর্তে জায়গার ব্যবস্থা হবে।
একদম টাটকা ফ্রেশ টমেটো। পুকুরপাড়ে সবজি চাষের আইডিয়াটা দারুন। আপাতত নিজের খাওয়ার জন্য যে সবজিগুলো প্রয়োজন তার কিছুটা ম্যানেজ করতে পারলে যথেষ্ট যাইহোক আপনার ছোট্ট সবজি বাগানের দৃশ্যটা ভালো লাগলো ভাই।
এভাবে আমার তিনটা সবজি বাগান আছে
নিজের হাতে কোন কিছু তৈরি করার পর যখন আমরা সেখান থেকে কাঙ্খিত ফলাফল পায় তখন নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু এই সব কাজ করা অনেক কঠিন। কারন এই সব জিনিসের অত্যাচার অনেক বেশি। টমেটোগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। নিজের হাতে সবজি চাষ করে টাটকা টাটকা সবজি খাওয়ার ভেতরে মজাই আলাদা।
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছ। নিজের হাতের সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়।
ধন্যবাদ ভাই।
টমেটোগুলো আমি রাখলাম সরাসরি পাকিয়ে খাওয়ার জন্য। আসলে গাছ পাকা টমেটো খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে। আসলে টমেটো গাছগুলো কয়েক মাস আগে আমরা লাগালাম। কিন্তু খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছগুলো বট গাছের মতো হয়ে গেল এবং টমেটো আসতে শুরু করেছে। যাহোক আমাদের সবজি বাগানের টমেটো গাছ থেকে টমেটো সংগ্রহের দারুন এক অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পেঁয়াজ গাছে পানি দেওয়ার জন্য টমেটো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই উঠেছিলাম
আসলেই ভাইয়া নিজের করা সবজি বাগান থেকে সবজি তুলার আনন্দ বলে শেষ করা যাবে না। পুকুর পাড়ে যে এমন ভাবে সব সবজি করেছেন আমি দেখেই মুগ্ধ। আর যদি পেঁয়াজ গাছে পানি না দিতেন তাহলে টমেটো গুলো লাল লাল হয়ে পাকতো।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু পেঁয়াজ গাছের জন্যই টমেটোগুলো বেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে
নিজের জায়গায় নিজের মতো করে যেকোনো কিছু চাষ করার মজাই আলাদা। যদি শাকসবজি লাগিয়ে সেগুলো নিজের হাতে তোলা যায় তার মজাই অন্যরকম। আপনি অনেক ধরনের শাক সবজি চাষ করেছেন। এরকম টাটকা শাক-সবজি তুলে রান্না করে খেতেও বেশ দারুন লাগে।আপনার টাটকা টমেটোগুলো দেখে তো লোভ লেগে যাচ্ছে ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু
আপনি তো দেখতেছি আপনার সবজি বাগান থেকে খুব সুন্দর টমেটো তুলেছেন। আমাদের বাড়ির পাশে ও একটি সবজি বাগান রয়েছে। আমরাও আমাদের সবজি বাগান থেকে অনেক সবজি নিয়ে থাকি। বিশেষ করে আপনি খুব সুন্দর ভাবে টমেটো নিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিজের করা সবজি বাগান থেকে সবজি নিয়ে খাবার মজাটাই অনেক আলাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্টটি পড়ে। আপনার সবজি বাগান গুলো দেখে দেখে আমি নিজেও অনেক বেশি অনুপ্রেরণিত হই।
একদম ঠিক বলেছেন, টাটকা সবজি।