ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার মধ্য দিয়ে ফিরে পেলাম শৈশবের স্মৃতি
আজ - মঙ্গলবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি স্কুলের বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলার ফটোগ্রাফি নিয়ে। যে খেলাধুলার অনুভূতিগুলো আমরা ছোটবেলায় হারিয়ে ফেলেছি শুধু রয়ে গেছে স্মৃতির পাতায়, তা যেন কিছু অংশ হলেও খুঁজে পাই এই ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে। তাই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
মাঝে মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি ছোট্ট সোনামণিদের খেলার ভিড়ে কারণ ছোটবেলায় আমরা অনেক খেলায় মেতে উঠতাম। হোক সেটা স্কুল আঙ্গিনায় অথবা গ্রামের বিভিন্ন খেলার স্থানে। অবশ্য আমাদের সময় অনেক খেলার জায়গা ছিল তাই ইচ্ছে মতো খেলতে পেরেছি তবে তার মধ্যে খেলাধুলা পড়ার সময় বাবা মায়ের হাতে মার খেতে হয়েছে দীর্ঘক্ষন খেলার স্থানে মেতে থাকায়। তবে আজ খেলাধুলার জায়গা জেনো দিন দিন বিলুপ্ত হওয়ার পথে। তাই যখন বাচ্চাদের স্কুল মাঠে খেলতে দেখি তখন যেন তাদের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি এবং মুগ্ধ হয়ে খেলা খেলতে দেখি। ছোট্ট সোনামণিদের খেলাধুলা দেখতে এবং তার পাশাপাশি নিজের জীবনের অতীত স্মৃতি স্মরণ করতে। মাঝে মাঝে খেলা দেখতে দেখতে কখন যেন আনমনে হয় আমার অতীত স্মৃতিতে ডুবে যায় মনে পড়ে যায় সেই বাল্য ও কৈশোর বয়সের জীবন কাহিনী। খেলাধুলায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতাম এবং মন মুগ্ধ হয়ে মুক্ত বাতাসে ডানা মেলে ওড়ার মতো খেলাধুলা করতাম। আজ শুধু তা স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে, আর ফিরে আসবে না সেই মধুর দিনগুলি।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা দেখে শুধু যে আমরা মুগ্ধ হই সেটা নয়। অভিভাবকরাও মন মুগ্ধ হয়ে বসে বসে তাদের খেলা দেখে এবং তাদের জীবনের স্মৃতি গুলো স্মরণ করে। বারবার বলতে থাকে আমাদের মাঝে তাদের ভালোলাগার মুহূর্তগুলো। তাদের ছোটবেলার খেলাধুলার কথাগুলো বলতে থাকে। যেহেতু বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত অভিভাবক একত্রিত হয় তাই তাদের খেলাধুলার গল্প গুলো খুবই মনোমুগ্ধকর মনে হয়। অবশ্য বেশিরভাগ মহিলা অভিভাবক উপস্থিত হয়ে থাকে তাই তাদের মধ্যে তো আর যেতে পারি না তবে যখন নিকটস্থ স্থানে চিয়ার পেতে বসে থাকি তাদের কন্ঠগুলো কানে ভেসে আসে। তবে তাদের সুন্দর গল্পগুলোর মধ্যে কখন যেন নিজেও হারিয়ে যায় শুনতে থাকি আবার এদিকে বাচ্চাদের খেলাধুলাও দেখতে থাকি। আর এভাবে টিফিন টাইমটা শেষ হতে থাকে। ক্ষনিকের মুহূর্তটা খুবই আনন্দঘন হয়ে উঠে স্কুল মাঠে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
বাচ্চারা যখন সারিবদ্ধ ভাবে খেলা শুরু করে তখন মনে হয় যেন অভিভাবক; শিক্ষক মন্ডলী; বাইরের মানুষ যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা খেলা পারেনা সবাই যেন দর্শকের পরিণত হয়। ঠিক সেভাবেই তাদের খেলা গুলো উপভোগ করে থাকে। হয়তো আজ আমি আপনাদের মাঝে ক্যামেরাবন্দি করে না দেখালে আপনারা ভালোলাগার এই অনুভূতিটা খুঁজে পেতেন না। হয়তো আমি আপনি আমাদের লাইফের অনেক স্মৃতি স্মরণ করতে পারছি আজকের এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে। আমাদের সময়ে মোবাইলের ব্যবস্থা ছিল না তাই আমাদের স্মৃতিগুলো কেউ ধরে রাখতে পারি নাই। তবে আমি মনে করি সামনে উপস্থিত যে সমস্ত ভালো লাগার অনুভূতিগুলো খুঁজে পাবো তার সবকিছু ক্যামেরা বন্দি করে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখবো স্টিমিটের পাতায়। এই জাতীয় খেলাধূলাগুলো উপভোগ করার মধ্য দিয়ে নিজের মন প্রফুল্ল থাকে; মন মস্তিষ্ক ভালো থাকে। তবে এর মধ্যে অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় কিছু ছেলে মেয়ে খেলতে গিয়ে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করে। তবে সেগুলো কেউ কন্ট্রোল করতে হয়। আর তার মধ্য দিয়ে সকলের ভালোভাবে খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে তাদের খেলাধুলার সুযোগ দিলে তারা লেখাপড়ায় সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারে, কারণ এটা প্রাইভেট স্কুল পড়ালেখার চাপ অনেক বেশি। বাড়িতে গিয়ে খেলতে পারেনা। সকালে ঘুম উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করে চলে আসতে হয়। সামান্য বই ধরতে পারে কিনা যেহেতু স্কুল শুরু হয়ে যায় নয়টার সময়। তাই তাদের রেডি হয়ে চলে আসতে হয় ৮ঃ০০ টার দিকেই। তাই আমরা তাদের খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। জানার বাড়িতে গিয়ে খেলার চিন্তা না করে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে পারে আবার।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এখন আবার প্রচন্ড গরমের দিন চলে এসেছে এইদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয় যেন ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে না পড়ে। অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা শীতল পার্টিতে বসে খেলাধুলা করে আবার কেউ রয়েছে চেয়ারে বসে কি জানি খেলে। তাই সব দিকে আমাদের বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের খেলাধুলার সুযোগটা দিতে হয়। শুধু এগুলাই নয় স্কুলে অনেক প্রকার খেলনা রয়েছে সেগুলো তাদের দেওয়া হয় যেন তারা মন ভরে খেলতে পারে। আর এভাবেই মাঝেমধ্যে সুন্দর খেলাধুলার আয়োজন দেখে মুগ্ধ হয় স্কুলের শিক্ষক অভিভাবক ছাত্র-ছাত্রী সকল সদস্যকরা। সারাদিনের বিশেষ মুহূর্ত যখন স্কুলে কাটাতে হয় মনে হয় যেন এসব নিয়ে আমাদের সুন্দর এক পরিবার। হয়তো পরবর্তীতে আরো ভালো লাগা কোন খেলাধুলা সামনে উপস্থিত হলে তার ভিডিও সহকারে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক ক্যাডেট মুখে স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। মন মানসিকতা ভালো রাখতে সবজি চাষ করে থাকি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী। বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। ছোট্ট এ জীবনে আছে বড়টা ট্রাজেডি। |
---|
আসলেই ভাইয়া আজকে আপনি আমাদের কে আবারও শৈশব জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। আপনি যদি এই খেলাধুলার ছবিগুলো না তুলে আনতেন তাহলে যেন ভুলে যেতাম আমরাও ঠিক এরকম খেলাধুলা করেছিলাম। ছোটবেলায় স্কুলে এরকম খেলাধুলা গুলো গুলো করতে ভীষণ ভালো লাগতো। চেয়ার খেলাগুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগতো দেখতে। তার পাশাপাশি দৌড় প্রতিযোগিতা মার্বেল খেলা আরো বিভিন্ন ধরনের খেলা গুলো হতো আমাদের সময়। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে সেসব স্মৃতি ফিরে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। একেবারে দুর্দান্ত পোস্ট করলেন আজকে।
আমরা জীবনে প্রচুর খেলেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য ক্যামেরাবন্দি হতে পারি নাই
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, আমাদের সময় গুলোতে মোবাইল ছিল না এজন্য কেউ ক্যামেরাবন্দি করে রাখেনি এই ধরনের খেলাগুলোকে। আপনার এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যেগুলো আপনার ভালো লাগবে সেগুলোকে আপনি ক্যামেরা বন্দি করবেন। আসলে এই বাচ্চাদেরকে যদি খেলা আর সাথে পড়ালেখা করানো হয় তাহলে তাদের মেধাবিকাশ হবে।
মোবাইল ছিল না বলেই তো আফসোস লাগে
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখে মনে পড়ে গেল সেই শৈশব জীবনের কথা। আমাদের সময় খেলাধুলা করার মতো অনেক জায়গা ছিল। কিন্তু এখন তেমন বেশি খেলার জায়গা নেই। এছাড়া বর্তমানের বাচ্চাদের অল্প বয়স থেকে পড়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের সময়ে আমরা ইচ্ছে মতো লেখাপড়া করেছি। যখন মন চায় খেলতে চলে গিয়েছি আর সারাদিন স্কুল বাড়িতে মিলিয়ে খেলাধুলা করেছি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে বাচ্চাদের খেলাধুলার এমন মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
হয়তো ফিরে পাবো না তবুও এদের দেখেই উপভোগ করতে হবে
ছেলেবেলার কথা মনে পড়লে এখনও কোথায় যেন হারিয়ে যাই। এখন তো আজকালকার ছেলে মেয়েরা আমাদের সময় সে সকল খেলা খেলতে পারেনা। তবু আপনার আজকে পোস্টে দেখে সেই ছেলেবেলার কথা মনে হয়ে গেল।
জীবনে মধুর অধ্যায় ছিল সেগুলো
ক্যাপশনটি পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম ভিতরের লেখা গুলো অনেক সুন্দর হবে এবং ছোটবেলার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করবেন।।
ঠিক সেটাই হলো খুবই ভালো লাগলো আপনার উপস্থাপনাটা।।
আসলে এখনো যদি প্রাইমারি স্কুল বা হাইস্কুলের পাশ দিয়ে যাই পোলাপানের কিচিরমিচির আওয়াজ এবং খেলাধুলা দেখে মনে পড়ে যায় আমার ফেলে আসা সেই শৈশবের স্মৃতিগুলো।।
কতইনা মধুময় ছিল সেই দিনগুলো কত আনন্দের সাথে পার করেছি। এখন শুধু সবই স্মৃতি হয়ে রয়েছে।।
ধন্যবাদ ভাইয়া ফটোগ্রাফি এবং লেখাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে শৈশবের স্মৃতিকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য।।
আমি এই জাতীয় খেলাধুলা গুলো দেখলে শুধু আমার নিজের অতীতগুলো স্মরণ করি কিন্তু যেগুলো ক্যামেরা বন্ধের মধ্যেও আসে নাই
এই কারণেই তো স্কুলে চাকরি করার মধ্যে একটা অন্যরকম মজা রয়েছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এই ধরনের খেলাধুলার মুহূর্তগুলো দেখলে নিজেদের ছোটবেলার মনে পড়ে যায়। ভালো লাগলো বিষয়টা দেখার পরে।
একদম ঠিক কথা
শিক্ষক হলে এই বিষয়গুলো ভালো উপভোগ করা যায়।আপনার শৈশবের খেলাধুলার কথা মনে পড়ে গেল,বাচ্চাদের খেলা দেখে।আপনার শৈশব রঙিন ছিল অনেক।তখন তো আর আধুনিক যুগ ছিলনা যে ফটোগ্রাফি করে রাখবেন।যাইহোক পোস্ট টি ভালো লিখেছেন কিন্তু।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্য ঠিক কথা বলেছেন
ভাইয়া আপনার আজকের ব্লগ টি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যিই ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার মধ্যে আমরা যেন শৈশবে ফিরে যায়। তাদের খেলাধুলা দেখলে আমাদের শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি মাঝে মাঝেই নিজের স্মৃতি স্মরণ করি