স্বরচিত কবিতা || বেঁচে থাকার আশা || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - বুধবার
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভাল রয়েছেন এবং সুস্থ রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভালো রয়েছি এবং সুস্থ রয়েছি। আমার বাংলা ব্লগের সমস্ত ভাই বোন বন্ধুদের আমার পক্ষ থেকে সালাম অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের পোস্ট। আপনারা অনেকেই জানেন আমি কবিতা লিখতে ভালবাসি, তাই আপনাদের মাঝে প্রায় কবিতা উপহার দিয়ে থাকে। ঠিক পূর্ব দ্বীনের ন্যায় আজকেও আমি আপনাদের মাঝে কবিতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আপনারা সকলেই আমার কবিতাটি একাধিকবার পাঠ করবেন। |
---|
কবিতার মাধ্যমে মানুষকে বেঁচে থাকার পথ দেখানো যায়। কবিতার মাধ্যমে মানুষকে সংগ্রামী হতে শেখানো যায়। তাই যুগ যুগ ধরে অনেক কবি মানুষকে বেঁচে থাকার পথ দেখিয়েছেন। সংগ্রামী হওয়ার পর দেখিয়েছেন। জীবনের বাস্তবতা ছন্দের অন্তরালে তুলে ধরা সম্ভব কবিতার মধ্য দিয়ে। |
---|
কবিতা
কোন এক বিরহী দুঃখীর কাছে।
যে দুঃখিনীর জীবনে বুকে চাপা কান্না
হৃদয় ভাঙ্গার আর্তনাদ আছে।
বলতে চাই তাকে মনের যত ব্যাথা
বুঝবে সে আমার বাস্তবতা।
শুনে সে কখনো দিবে না অট্টহাসি
মন গহীনে বাজবে তার পুরনো সে দিনের বাঁশি।
জীবনের বাস্তবতা গুলো শুনে সে আমার
শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ পুছবে বারবার।
স্মরণ করবে তার কঠিন মুহূর্ত গুলো
একদিন চোখের জলে ভিজতো পথের ধুলো।
মনে করাতে চায় না তার অতীত সব স্মৃতি
আমায় দেখে বুঝে নিক দুনিয়ার রীতি।
সে শুধু দুনিয়াতে একা দুঃখীনি নয়
তার মতো অনেকেই কত দুঃখ সয়।
বলবো তোকে পুনরায় অতীত স্মৃতি ভুলে
হাসতে পারো আবারও মন প্রাণ খুলে।
আমিও পাব সান্তনা যন্ত্রনা ভুলে
হাসবো দুজন প্রান খুলে খুশির সুর তুলে।
জানি এ কথা শুনে অনেকে করবে পরিহাস
জানেনা তারা এই ঝড়ে কত হয়েছে প্রাণনাশ।
হতাশা যে আশা ভুলে মৃত্যুর পথ দেখায়
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারের নাম লেখায়।
তাইতো আমি দুখিনির বন্ধু হতে চাই
আমায় দেখে সে যেন বাঁচার আশা পায়।
সমা প্ত |
---|
মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম যেমন ভাষা। ঠিক তেমনি মনের আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা, মন্দ লাগার অব্যক্ত কথাগুলো প্রকাশের প্রধান মাধ্যম কবিতা। মনের গহীনে কিছু কথা থেকে যায় যা, সকলের সম্মুখে বলা সম্ভব হয় না। বলার ব্যাকুলতা থাকলে বলা যখন সম্ভব নয়, তখন সে কথাগুলো কবিতা হয়ে প্রকাশ পায়।
আজকের কবিতায় আমি আপনাদেরকে বুঝাতে চেয়েছি একজন বিরহী মানুষের মনের কথা। যে কথাগুলো কোন এক বিরহিনি মহিলার কাছে ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে দুঃখের অবসান ঘটিয়ে পুনরায় বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ। পাশাপাশি বিরহিনি মহিলাও যেন বুঝতে পারে এই দুনিয়ায় সে শুধু একা দুঃখিনী নয়। তার মতো অনেকেই দুঃখিনী রয়েছে। তবে মনের দুঃখগুলো কারো কাছে প্রকাশ করে নিজেকে হালকা করতে না পেরে অনেকেই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে। তবে এটা ভুল সিদ্ধান্ত,মৃত্যুই জীবনের মূল লক্ষ্য নয়। বেঁচে থাকতে হবে, অবশ্যই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে এবং নিজের দুঃখগুলো কোন এক বিরহী মানুষের নিকট ব্যক্ত করতে হবে। যেন সে তার কথাগুলো বুঝতে জানে। অন্যথায় যার দুঃখ নাই, সে কখনো বুঝবে না। অট্টহাসি দিয়ে উড়িয়ে দেবে। মানুষকে বেঁচে থাকার পথ না দেখিয়ে মৃত্যুর দিকে পতিত করবে।
বাহ বেশ চমৎকার লিখেছেন নিজের কষ্টকে প্রকাশ করার জন্য এমনই একটি মানুষের প্রয়োজন, খুবই সুন্দর ছিল লাইনগুলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সাবলীল ভাষায় এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাশাআল্লাহ ভাইয়া অসাধারণ হয়েছে কবিতা টা ।আমিও পাব সান্তনা যন্ত্রনা ভুলে
হাসবো দুজন প্রান খুলে খুশির সুর তুলে।
এই লাইনটা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি কবিতার পোস্ট শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল আশা করি এভাবে আমার পাশে থাকবেন।
একজন দুঃখিনী নারীকে নিয়ে অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন ভাই। নারী কখনো মা, নারী কখনো বোন, নারী কখনো স্ত্রী, নারী কখনো প্রেমিকা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে চমৎকার একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য। সেই সাথে শ্রদ্ধা জানাই মায়ের জাতির নারীকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি ভাই, বাস্তবতা কঠিন জিনিস। তবে যারা কঠিন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে,তাদের সান্তনা দেয়ার মানুষ খুবই কম।
আপনার মনে অনেক কষ্ট জমা আছে যা আপনার কবিতা পড়ে বুঝতে পেরেছি ভাইয়া। আপনি খুব সুন্দর করে মনের মাধুরী সাজিয়ে লিখেছে। তবে একটা কথা না বললে নয় তা হচ্ছে আমার ভাইয়ের জন্য এমন একজন মানুষ চাই যে মনের সব কষ্ট শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে দিতে পারবে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
মনের মধ্যে এমন কিছু কষ্ট জমা থাকে যা থেকে এভাবেই কবিতার জন্ম হয়ে যায়।