আজ - সোমবার
২৭ ফাল্গুন,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১১ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। পূর্বের দিনগুলোর মত আজকেও আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটে নাটকের ২৫ তম পর্ব রিভিউ নিয়ে। আশা করি আমার এই রিভিউ এর মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং আনন্দ পাবেন। চলুন আর দেরি না করে এখনই শুরু করি।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
🤔নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ🤔 |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ২৫ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হার কিপটে নাটকের ২৫ তম পর্বের শুরুতে দেখা যায় হারাধন দত্ত আর তার মেয়ের মধ্যে একটু মনোমালিন্য সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ গোল্লা মিথ্যা একটা প্যাচ সৃষ্টি করে দিয়েছে বাপ মেয়ের মধ্যে। বাপ বেটি যেহেতু অত্যাধিক কৃপণ আর সেই কৃপণতার সুযোগ গ্রহণ করেছে গোল্লা। মিথ্যা করে বলে দিয়েছে হরধন দত্তের কাছে তার মেয়ে আগামীকাল দুপুরে তাকে ডাল ভাত খাওয়ার নেমন্তন্ন করেছে। আর এক কথা শোনা মাত্র হারাধন দত্তের মাথায় যেন বাজ পড়েছে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে পথ চলতে হঠাৎ বহর আলী দেখতে পারলো ভূপেন গাছের নিচে শুয়ে শান্তিতে লালন গীতি গান করছে। তবে বহর হঠাৎ করে বলল মাকে দেকে লাভ কি বার বার চিটারি করতে থাকিস তোরা, ভালো হয়ে যা। আর এভাবেই সে ভূপেন কে জ্ঞান দেওয়া শুরু করলো। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল ভূপেন তাকেই দোষারোপ করল আজ তুই সোনার বল চুরি করেছিস বলে তাদের এই নাজেহাল অবস্থা। বহর বলল মিথ্যা ছেড়ে দিয়ে তোরা ভালো হয়ে যা কর্ম করে খাঁ,তাহলেই তোদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে। তবে বহরের গামছার আঁচলে সেই ইটটা লুকানো ছিল। ভূপেন দেখতে চেয়েছিল জিনিসটা কি কিন্তু কিছুতেই বহর আলী না দেখিয়ে পালিয়ে গেল।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
শাশুড়ির রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত, এই মুহূর্তে জামাই এসে মন খারাপ করে প্রশ্ন করল তার শাশুড়ির কাছে, তার আসায় শ্বশুর মন খারাপ করেছে। অশান্তি বেধে গেল। কিন্তু শাশুড়ি বলল তুমি আসলে অশান্তি না আসলে অশান্তি,বাতাসের সাথে এই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকে। তবে তোমার শশুরের অবস্থা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। অর্থাৎ কৃপণের কৃপণতা বেড়ে চলেছে জামাই ভাগ্নের সাথে। এইজন্যই শাশুড়ির মনে আনন্দ। তবে বহরের বোকামির কারণে তার বাবা আরো কৃপণ হয়ে চলেছে। এজন্য শশুর জামাইয়ের সাথে কথা বলছে না। শ্বশুরের একটাই সমস্যা তার ভাত ফুরিয়ে যাচ্ছে দিনদিন। জামাই বুঝানোর চেষ্টা করছে কৃপণতা মানুষের মনের কষ্ট দেয়।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
নজর আলীর জামাই এসেছিল তার দুই উপযুক্ত শালাদের বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে কিন্তু কোন ভাবেই বলা হলো না। এদিকে সব সময় মেজ কুটুম বহর তাকে ছেই ছেই করে তাড়তে থাকে। দুলাভাইয়ের সাথে কুটুমের এই খারাপ আচরণ সত্যিই মর্মান্তিক। যা কখনো কেউ সুদৃষ্টিতে দেখে না। সুযোগ পেলে দিন কি বা রাত যে কোন মুহূর্তেই দুলাভাইকে অপমান করা হয় ভাত বাঁচানোর ভয়ে। সাথে ইচ্ছে মতো অপমান জনিত কথা।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে গুল্লার কু পরামর্শে নজর আলীর দুই কুলাঙ্গার ছেলে এবং হারাধন দত্তের কুলাঙ্গার ছেলে মোট চারজন মিলে হারাধন দত্তের ডাব গাছ থেকে ডাব পেড়ে খেয়েছে, আর খোশাগুলো বাড়ির উঠানে ছিটিয়ে রেখে গেছে রাতে। আর এমন অবস্থা ঘুম থেকে উঠে আগে শিবানীর চোখে বাদে। সে আর্তনাদ করে বাবাকে ডেকে বলে। আর হায় হুতাশ কান্নাকাটিতে লিপ্ত হয়।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
আর এদিকে রাতের ডাক চুরি করে খেয়ে শান্তিতে গোল্লা তার কৃপণ মামাতো ভাই বহরের মশারির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। হঠাৎ বহরের ঘুম ভেঙে গোল্লাকে পাশে দেখে,সে টেনে তুলে ফেলল তাকে। সে কেন তার সাথে শুয়েছে কে বলেছে তাকে এখানে শুতে এমনই প্রশ্ন তার। কিন্তু গোল্লা তাকে খচ্চর বলে অপবাদ দিল, শান্তির ঘুমটা হারাম করে দেওয়ার কোন মানে হয়নি তার। মূলত বহরের চিন্তা ছিল তার টেরে কয়টা টাকা আছে সেগুলো হারিয়ে যাবার ভয়।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এই নাটকের অভিনয় আমার খুবই ভালো লাগে। প্রত্যেক জন ব্যক্তি খুব সুন্দর অভিনয় করে থাকে। গোল্লা তার নিজের অবস্থান থেকে প্যাচ লাগিয়ে চলছে। এদিকে কৃপণদের কৃপণতার হার দ্বিগুণ বেড়ে চলেছে কিন্তু কোনমতেই তারা শান্তি পাচ্ছে না। তবে এই পর্বের শেষের দিকে দেখা গেল হারাধন দত্তের ছেলেকে সাথে নিয়ে হারাধন দত্তের নারিকেল গাছ থেকে ডাব চুরি করে খেয়ে উঠানে খোসা বিছিয়ে রেখেছে। সম্পূর্ণ গলার বুদ্ধিতে চলছে এখন তিন কুলাঙ্গার। তবে অভিনয়ের কৌশল তাদের বেশ সুন্দরভাবে রক্ত রয়েছে বলে অভিনয়টা দর্শকের মনোরঞ্জন করে। আর তাদের অভিনয়ের কৌশলটা বেশ নিখুঁত মাঝেমধ্যে হাস্যরস কথাবাত্রা প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। আশা করি সামনের পর্বে আরো সুন্দর অভিনয় দেখতে পারবো। আর এই পর্ব থেকে বোঝা যাচ্ছে আগামী পর্ব আমাদের জন্য আরো আনন্দ কিছু বয়ে আনবে।
৮.৫/১০
আপনারা আজকে শেয়ার করা পর্বে শিবানী যখন তার বাড়ির উঠানে ডাব গুলো পড়ে থাকতে দেখে তখন কার মুহূর্তটা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। নাটকে শিবানীর কথাগুলো শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। হাড় কিপটে নাটক এর এই পর্বটি দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
কৃপণের এমন দশা হাওয়া উচিত
হাড় কিপটে নাটকটি আমার পূর্বে দেখা রয়েছে।যেটা খুবই মজার ও শিক্ষনীয়।আসলে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।এতে প্রত্যেকটি অভিনেতা খুবই সুন্দরভাবে তাদের অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন।আপনি নাটকের অংশটি সুন্দর রিভিউ করেছেন,ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ একদম সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নাটক
হাড় কিপটে নাটক যেটা খুবই জনপ্রিয় ।ৎবাংলাদেশের সিনিয়র মানুষ থেকে শুরু করে যুবক ছেলেরাও এই নাটক পছন্দ করেছে । যেখানে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়টা সবচেয়ে সেরা। যেটা আমি অনেক আগেই দেখেছি আপনার 25 তম পর্ব যেটা আমাকে স্মরণ করালো।
নিখুঁত অভিনয় করেছে চঞ্চল
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমি বাংলাদেশের একটা জনপ্রিয় নাটক হচ্ছে হাড় কিপটে। নাটকটা যে কতবার দেখেছি তার কোন হিসাব নেই।
যতই দেখি ততই ভালো লাগে
দেখতে দেখতে হাড় কিপটে নাটকটার ২৫ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর আমার কাছে এই পর্বটার রিভিউ পোস্ট পড়তে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। গোল্লা তো দেখছি একে একে শুধু প্যাঁচ লাগিয়ে যাচ্ছে। তার এই অভিনয়টা আমার কাছে বেশি সুন্দর লাগে। প্রত্যেকেই সুন্দর অভিনয় করতেছে এই নাটকের মধ্যে। ডাবের বিষয়টা ছিল তো আরো বেশি মজার। দেখে যেন মনে হচ্ছে এখানে ডাবের বৃষ্টি হয়েছিল রাতের বেলায়। যাইহোক আশা করছি এই নাটকের পরবর্তী পর্বটা আপনি শীঘ্রই সবার মাঝে শেয়ার করে নিবেন।
হ্যাঁ আপু প্রত্যেকজনের অভিনয় আমার সুন্দর লাগে। আর গোল্লা এসেই তো সুন্দর অভিনয় চালছে
অনেক জনপ্রিয় একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন ভাইয়া। হারকিপটে নাটক আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি। যতবার দেখি মনে হয় আবার দেখি। তবে ডাব খাওয়ার কাহিনীটা অসাধারণ ছিল। চুরি করে ডাব খেয়ে ডাবের খোসা উঠানে ছিটিয়ে রাখার দৃশ্যটি খুবই সুন্দর লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাইয়া হাড় কিপটে নাটকের ২৫ তম পর্বের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
এটা একটা দারুন শিক্ষা।