কুয়াশাচ্ছন্ন একটি সকালের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি প্রকৃতির পরিবর্তন নিয়ে চিন্তাভাবনা
আজ - শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে ফাগুন মাসের কুয়াশাচ্ছন্ন একটি সকালের দৃশ্য উপস্থাপন করতে চালেছি। শীত শেষে এমন সুন্দর কুয়াশায় এসে যেন জানিয়ে দিয়ে যায় শীতের বিদায়ের মুহূর্ত। তার বিশেষ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হলাম আজ।
সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি অতুলনীয়। পৃথিবীকে যে এত সুন্দর করে সাজিয়েছে যার তুলনা হয় না। প্রতিটা দিন যেন একই স্থানে একেক ভাবে রূপ চেঞ্জ হতে থাকে। অনেকে বলতে পারে তা কী সত্যিই হয়? আমি লক্ষ্য করেছি যদি গভীর মনোযোগ দিয়ে, যদি মনোযোগ দিয়ে সঠিকভাবে লক্ষ্য করা যায় অবশ্যই হয়। উদাহরণস্বরূপ: এক মাস আগে যে আমের গাছে আমের মুকুল ছিল না, সে গাছে আজ আমের মুকুল। এক মাস আগে সকাল ছয়টার সময় ঘন কুয়াশা ছিল আজ কিন্তু নেই। হয়তো এই উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে চেয়েছি শুধু এক মাস আগের নয়, একদিন পূর্বেও যেমন অবস্থা ছিল সেই মুহূর্ত টার সেই স্থানের কিন্তু এখন সেটা নাও থাকতে পারে। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে রাখতে মন চায়। জানি প্রকৃতির রূপ কখন কিভাবে তার রূপ চেঞ্জ করে আর সেই রূপকে দৃষ্টির অগোচরে না রেখে দৃষ্টির সামনে আনতে হলে অবশ্যই তার মাঝে নিজেকে নিহিত রাখতে হবে। তবে বর্তমান আধুনিকতার বিস্ময়কর আবিষ্কার মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোনে ক্যামেরা ও ভিডিওর ব্যবস্থা হয়তো এর বৈচিত্র ধরে রাখার অন্যতম সহায়ক। মোবাইল ফোনে এই ব্যবস্থা না থাকলে আমাদের মত মানুষেরা খুব সহজে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে পারত না। আজকে মোবাইল ফোন আছে বলেই ছয়টি ঋতুর অপরূপ দৃশ্য আমরা ক্যামেরাবন্দি করে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে পারি। স্মরণ করতে পারি ফেলে আসা দিনগুলো সুন্দর বৈচিত্রময় রূপ।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখের এমন কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ যেন একটু অবাক করে তুলেছিল। কারণ ২৪ তারিখে তেমন কোন কুয়াশা ছিল না সকালবেলায়। কারণ এই টাইমে আমি পুকুরে পাখি তাড়াতে যাই। তবে লক্ষ্য করলাম আগের দিনের সকালের মুহূর্তটা ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল না কোন কুয়াশা দূর-দূরান্তের বিভিন্ন জায়গা দুচোখ মিলে যেন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল প্রভাতের অন্ধকার দূর হওয়ার সাথে সাথে কিন্তু এই দিনে হঠাৎ কুয়াশা নেমে এসে চারিদিকে এতটাই অন্ধকার করে তুলেছিল যেন সামনে থেকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। নিজের থেকে তিন-চার ফুট দূরে আর কোন কিছু দেখা যাচ্ছিল না এভাবেই ঘিরে আসতে থাকলো কুয়াশা। হঠাৎ এমন কুয়াশার মুহূর্তে ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালো লাগছিল আর ভাবতে ভালো লাগছিল প্রকৃতি যে হঠাৎ করে তার রূপ চেঞ্জ করে এই নিয়ে। দূর দূরান্ত থেকে কুয়াশা হঠাৎ করে আসতে থাকলো গ্রামের মধ্যে। আমি চেয়ে চেয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম মাঠের দিক থেকে যেন কুয়াশা গ্রামের দিকে ধেয়ে আসছে। আর এমন মুহূর্তগুলো আমার কাছে খুবই আশ্চর্য মনে হয় এবং ভাবতে ভালো লাগে। হয়তো মুক্ত আকাশের নিচে এভাবে ভাবার মধ্যেও যেন সুখ রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার এমন সুন্দর সৃষ্টিশীল জগত নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে তবে আমি একটু ব্যতিক্রমভাবে ভাবার চেষ্টা করে থাকি। হঠাৎ কখন যেন কোন ভাবনা থেকে কোন ভাবনায় চলে যায় তার কোন ব্যালেন্স নেই। কারণ ওই মুহূর্তে আমি যখন বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম মাথায় চিন্তা ছিল দ্রুত পুকুরে যেয়ে পাখি তাড়তে হবে। তবে পথের দিকে বের না হতে দূর থেকে কুয়াশা ঘিরে আসার অনুভূতিটা যেন অন্যদিকে চিন্তাভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিল। একবার কুয়াশা কম হচ্ছে একবার বেশি হচ্ছে, একবার নিকটস্থ জিনিসগুলো দেখা যাচ্ছে আবার একবারও যেন দেখা যাচ্ছে না। এমন ভাবেই কুয়াশা আমাকে অতিক্রম করে চলতে থাকল গ্রামের দিকে। তার মাঝখান থেকে কারেন্টের তারের খুঁটিতে বসে থাকা ফিঙ্গি রাজা পাখির ফটোগ্রাফি করছিলাম কুয়াশার সৌন্দর্য অনুভব করা মধ্য দিয়ে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
কুয়াশাচ্ছন্ন এমন মুহূর্তে আমি যখন কলাগাছ এবং কলা ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন ভাবছিলাম কালকে এমন প্রকৃতির ঘন কুয়াশা রূপ ছিল না। আজ কুয়াশার কারণে ভিজে যাচ্ছে গাছগুলো, ফলগুলো। এমন একদিন উপস্থিত হবে যেদিন এই কলা গাছ বা কলা গাছে থাকবে না থাকবে না কুয়াশা। আর তখনই এই স্থানের একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করব হয়তো গাছের পাতাগুলো সুখিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। আর এভাবেই প্রকৃতির ভারসাম্য প্রতিটা মুহূর্তে পরিবর্তনশীল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
কুয়াশা যখন চারিদিকে ঘিরে এসেছিল আমার সবজি গাছগুলো হঠাৎ করে ভিজে গেছিল। তবে যখন কুয়াশা থাকে না সূর্য মামা দূর আকাশে তার আলো জ্বেলে যাই সে আলোয় আলোকিত হয়ে আস্তে আস্তে কুয়াশার ফোঁটা গুলো দূর হয়ে যায় সবজি ক্ষেত থেকে। প্রতিটা দিন শিশিরের বিন্দু বিন্দু কণা থেকে ভিজে যায় সবজি গাছগুলো তবে তার মধ্যেও পরিবর্তন রূপ রয়েছে কোন একদিন বেশি ভিজে কোন একদিন কম। তাইতো প্রকৃতির মাঝে পরিবর্তন সর্বদায় লক্ষণীয়। জানিনা আমার এই চিন্তা ভাবনাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। তবে আমি দীর্ঘদিন একাকী এভাবেই নিজেকে প্রকৃতির মাঝে রেখে চলেছি, আর এভাবেই আমার চিন্তাধারা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। কারণ আমি ভাবতে ভালোবাসি প্রকৃতি নিয়ে। আর তার সুন্দর বৈচিত্র রূপ উপভোগ করে থাকি একাকী নির্জনে। হয়তো নিজের পরিশ্রম দ্বারা পরিবর্তন দৃশ্য আপনাদের মাঝে আরো উপস্থাপন করব বিশেষ কোনো স্থানের। আশা করি তার বাস্তব রূপ খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো এবং তা দেখার প্রত্যাশায় থাকবেন।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
নামঃ | sumon |
পেশা | শিক্ষকতা |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৭ বছর |
ভালোলাগা | 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
বলা হয়ে থাকে সকালে প্রাকৃতিক আবহাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । খুব চমৎকার সুন্দর সকাল উপভোগ করলেন আপনি। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফিক মাধ্যমে গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই