আজ - রবিবার
২৮ জ্যৈষ্ঠ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১১ জুন,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম |
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে আলু,নাজিনা ডাটা ও জিওল মাছের সমন্বয়ে সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে দেখাতে চলেছি। আশা করি আমার তৈরি এই সুন্দর রেসিপি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং আমার থেকে শিখতে পারবেন কিভাবে এই জাতীয় রেসিপি তৈরি করতে হয়। তাই চলুন আর দেরি না করে এক নজরে সমস্ত কার্যক্রম দেখে নেওয়া যাক।
রেসিপি বানানোর উপাদান সমূহ: |
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | জিওল মাছ | এগারো পিস |
২. | পেঁয়াজ কুচি | তিন পিস |
৩. | রসুন কুচি | এক পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | পাঁচ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ৫০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | আলুর ফালি | হাফ কেজি |
১২. | নাজিনা ডাটা | ১২ পিচের ফালি |
নাজিনা ডাটা, জিওল মাছ এবং আলু খুব সুন্দর ভাবে ধুয়ে ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে করে চুলার পাড়ে নিয়ে এলাম। সব কিছুর সমন্বয়ে দারণ একটি রেসিপি তৈরি করব বলে প্রস্তুত হলাম। পাশাপাশি সমস্ত মসলাগুলো নিয়ে এলাম চুলাড় পাড়ে। যে সমস্ত মসলাগুলো বাটার প্রয়োজন ছিল পরিবারের লোকজন দিয়ে বেঁটে নিলাম।
এবার কড়াইটি ভালো করে ধুয়ে এনে চুলার উপর চড়িয়ে দিলাম এবং চুলা অন করলাম। এবার চুলার কড়াই এর মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। কিছুটা সময় ধরে তেল গরম করে নিলাম। হালকাভাবে তেল গরম হয়ে গেল। এবার গরম তেলের মধ্যে পেঁয়াজ রসুন কুচি গুলো দিয়ে দিলাম ভাজার জন্য। কিছুটা সময় ধরে পেঁয়াজ রসুনের কুচিগুলো ভেজে নিলাম।
যে গামলার মধ্যে জিওল মাছগুলো রেখেছিলাম সে জিওল মাছের গায়ের উপরে ঝাল হলুদের গুড়া মসলা দিয়ে দিলাম।এবার একটি গামলার মধ্যে ঝাল হলুদের গুড়া দিয়ে জিওল মাছগুলো সুন্দরভাবে মাখিয়ে নিলাম। যেন প্রত্যেকটি মাছের গায়ে সম্পূর্ণ সুন্দর ভাবে ঝাল হলুদ লেগে যায় সে চেষ্টা করলাম।
এবার মাছগুলোকে কড়াইয়ের গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। মাছ সিদ্ধ হতে থাকলো। আর চুলার পাশ থেকে আমি ভালোভাবে জ্বাল দিতে থাকলাম। আর এভাবে অনেকক্ষণ ধরে নিরবে চুলায় জাল দিতে থাকলাম যতক্ষণ না মাছগুলো ভালোভাবে ভাজা হলো। কিছুক্ষণ ধরে মাছ ভাজা চলতে থাকলো আর এত মধ্যে মাছের রং পরিবর্তন হতে থাকলো।
খুব নিরবে খুন্তি দিয়ে মাছগুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ভেজে নিলাম। আর এভাবে অনেকক্ষণ ধরে প্রত্যেকটা মাছ খুব সুন্দর করে ভেজে নিয়ে খুব ধীরে সুস্থ্যে কড়াই চুলা থেকে তুলে একটি পাত্রের মধ্যে উঠিয়ে নিলাম। আর এরই মধ্য দিয়ে আমার মাছ ভাজা শেষ হল।
আবারো কড়াই এর মধ্যে তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিলাম। এবার ভাজা পেঁয়াজের মধ্যে আবারো আলুর ফালি আর নাজিনা ডাটা দিয়ে দিলাম। পাশাপাশি থাকা এক্সট্রা মসলা গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। আর এভাবেই পুনরায় সবজি রান্নার কার্যক্রম শুরু করলাম।
এবার সমস্ত উপকরণ গুলো খুব ভালোভাবে খুন্তি দিয়ে মিশিয়ে নিতে থাকলাম এদিকে চুলার জাল চলতে থাকল আর সমস্ত উপাদান গুলো সিদ্ধ হতে থাকলো। এভাবে দীর্ঘক্ষণ জ্বাল দিতে থাকলাম। এরপর এক পর্যায়ে কড়াইয়ের মধ্যে হাফ কাপ পরিমাণ পানি ঢেলে দিলাম যেহেতু হালকা পরিমাণে ঝোল তৈরি করতে হবে সেই জন্য। এরপর কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সম্পূর্ণ উপাদান গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিলাম পাঁচ মিনিটের জন্য।
কিছুক্ষণ পর কড়াইতে থেকে ঢাকনা উঠিয়ে দিয়ে দেখলাম আমার রান্নাকিতো তরকারি খুব সুন্দর ভাবে সিদ্ধ হচ্ছে কড়াইয়ের মধ্যে থাকা পানিগুলো টগবগ করে ফুটে চলছে অনবরত। এমন অবস্থায় আমি আবারো কড়াইয়ের মধ্যে চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকলাম সমস্ত উপাদান গুলো যেন ভালভাবে সিদ্ধা হতে পারে। এভাবে একটি পর্যায়ে আমার রান্নার কার্যক্রম শেষ হলো।
রান্না শেষে আমার এই তরকারি একটি গামলার মধ্যে উঠিয়ে নিলাম এবং চুলারপাড় থেকে রান্নাকৃত তরকারি গুলো খাবার ঘরে নিয়ে গেলাম।
রান্না শেষে আমার এই রেসিপি খাবারের মুহূর্তে পরিবারের সদস্যদের মাঝে খুব সুন্দর করে পরিবেশন পড়লাম সকলে জিওল মাছের এত সুন্দর রেসিপি খেতে পেরে অনেক আনন্দ বোধ করছিল। যেহেতু নাজনা ডাটা দিয়ে রান্না করা হয়েছিল তাই বেশি স্বাদ লেগেছিল সকলের কাছে। আর এভাবেই আমার সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। |
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন। কিন্তু পরিবেশন এর ছবিটা আরো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুললে আরো ভালো লাগতো। যাইহোক সু্ন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সব সময় তো সব ছবি উঠানোর সম্ভব হয়ে ওঠে না আপু
রেসিপির ফাইনাল লুকটা সুন্দর হলে রেসিপির প্রতি সবাই আরো বেশি আকর্ষিত হবে,,,, তাই বললাম আরকি।
আপনার রেসিপিটা অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। রেসিপির কালার টাও খুব সুন্দর এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপ গুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ভাইয়া এগুলো কি সজনে ডাটা আপনি যেটাকে নাজিয়া ডাটা বলছেন? তবে এভাবে শিং মাছ আমি কখনো ভেজে রান্না করিনি। আলু দিয়ে রান্না করেছি তবে এভাবে করে রান্না করলে খেতে মনে হয় ভালই লাগে আপনার তরকারি দেখে মনে হচ্ছে।
আপু সাজনা ডাটা বছরে একবার হয় আর নাজিনা ডাটা বছরে তিনবার হয়। এটা ছিল নাজিনা ডাটা।
আলু ও সজিনা ডাটা দিয়ে খুব সুন্দর একটি জিওল মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন। জিওল মাছ শরীরে রক্তের জোগান দেয় জিওল মাছের রেসিপিটি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর একটি রেসিপি উপহার দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার এই রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
সজনে ডাটা দিয়ে শিং মাছ রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সজনে ডাটা আর শিং মাছ একত্রে যেন অন্য রকমের ভালোলাগা রেসিপির নাম। সজনে ডাটার এই রেসিপিটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
এই ডাটা কিন্তু খুবই ভালো লাগে
ওয়াও ভাই আপনি দেখছি আজ আমাদের মাঝে। আমার পছন্দের একটি রেসিপি।সবজির সমন্বয়ে তৈরি জিওল মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন রেসিপির প্রতিটি ধাপ অসাধারণভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপির কালার টি দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ।
অবশ্যই অনেক সুস্বাদু ছিল
বাহ আপনি খুব সুন্দর করে সাজিনা ডাটা দিয়ে জিওল মাছের রেসিপি করেছেন। তবে আমরা এই মাছগুলোকে শিং মাছ বলে থাকি। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। আর সাজিনা ডাটা গুলো মাছের সাথে দিলে খেতে অনেক মজাই হয়। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন থেকে চেষ্টা করছি আপু সবকিছু করার জন্য