একটি সাহসী ইঁদুরের উপকারের গল্প, শেষ পর্ব || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - মঙ্গলবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আপনারা ইতোমধ্যে আমার পোস্টে একটি সাহসী ইঁদুরের উপকারের গল্প পড়েছেন। আজ আমি সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আপনাদের মাঝে। যে ইদুর আমাকে সাহসিকতার পথ দেখিয়েছে।যে ইঁদুর আমাকে অন্যের উপকারে আসার চিন্তাধারা জাগ্রত করেছে। আমি আজ উপস্থিত হয়েছি সেই ইদুর এর ফটোগ্রাফি ও গল্প নিয়ে, যে ইঁদুর আমাকে প্রকৃতির মাঝে সংগ্রাম হয়ে বেঁচে থাকার সাহস জুগিয়েছে। পুনরায় ভাবতে শিখেছি দুনিয়ার বুকে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে কতটা সাহসী হতে হয় এবং সৎ পথে উপার্জন করতে হলে নিজের মনের মধ্যে কতটা বীরত্ত সূচক অনুভূতি থাকা প্রয়োজন। তাই চলুন বন্ধুরা, আর কথা না বাড়িয়ে সাহসী ইঁদুরের সাহসিকতার শেষ পর্ব পড়ে আসি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
সাহসী ইঁদুরের ফটোগ্রাফি
ইঁদুরটি যখন আমার সামনে দিয়ে আস্তে আস্তে পানির মধ্যে নেমে যাচ্ছিল তখন আমার ওর সাহসিকতা দেখে খুবই ভালো লাগছিল। মানুষ ইঁদুর দেখলেই তাকে মারতে চায় আবার ইঁদুর মানুষ দেখলে দ্রুত পালিয়ে যায় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমি উপরে মোবাইল ধরে বসে থাকলাম। ইঁদুরটি তার ব্যস্ততার মাঝে মাঝেমধ্যে শুধু আমাকে তাকিয়ে দেখছিল আর তার কাজ করছিল।
আমি নিরবে মুখ বুজে বসে থেকে,লক্ষ্য করলাম সে তার নাক ডুবিয়ে দিয়ে পানির মধ্যে শামুক খুঁজে। সে যখন পানির মধ্য থেকে সামুক খুঁজে বের করতে পারছে। পুনরায় সে পানি থেকে উপর দিকে উঠে আসছে। আমার পানে যখনি ঘুরছে দেখলাম তার মুখে শামুক। আমি তার ফটোগ্রাফি করার সময় কিছুটা আতঙ্কিত ছিলাম এই জন্য যে না জানি সে হঠাৎ দৌরে পালিয়ে যায়। কিন্তু সে এতটাই সাহসিকতা দেখানো যে সে ভুল করেও এদিক-ওদিক হলো না।
আমি রাতের বেলায় পুকুরে একলা পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকি। ইঁদুরের এমন অসাধারণ সাহসিকতা আমাকে ভাবিয়ে তুলল। আমার মনের মধ্যে আরও শক্তি সঞ্চার করলো। যে প্রাণীটি নিশ্চিত জানে মানুষ তাকে যেকোনো মুহূর্তে হত্যা করতে পারে তার মধ্য থেকেও সে সাহসিকতা দেখিয়ে সে তার খাবার খুঁজে বের করে খাচ্ছে। আমি কেন লাখ লাখ টাকার সম্পদ মাঠে ফেলে রেখে চোর ডাকাতের ভয় পেতে যাব। তাই আমার মধ্যে আরো বেশি সাহসিকতা সৃষ্টি হলো। আর রাতে অতি সাহসী মন নিয়ে পুকুরে চলাচল করতে উৎসাহ পেলাম।
ইঁদুরটি যখন পুকুর থেকে শামুক তুলে নিয়ে এসে ডাঙ্গায় বসে খাচ্ছিল তখন আমার মনে পড়ে গেল সেই সাহসী ইঁদুরের গল্পের কথা, হয়তো আমরা বইতে পড়েছি একটি ইঁদুর একটি জালের মধ্যে আবদ্ধ সিংহকে জাল কেটে বের করছিল সৎ সাহসে। সিংহ যে কোন মুহূর্তে ইদুটিকে হত্যা করতে পারত কিন্তু তা করেনি বরং এই ছোট্ট ইদুর সিংহকে উপকার করছিল। আমার কাছেও তেমন মনে হল আমি উপরে বসে বসে শুধু তার ফটোগ্রাফি করছিলাম এবং মুগ্ধ হয়েছিলাম তার এত সুন্দর সাহসিকতা আর উপকারে কাজ করা দেখে। সে প্রতিনিয়ত এভাবেই শামুক খেয়ে পুকুরের আবর্জনা দূর করছে এবং পুকুর ও মাছের জন্য উপকার করছে। পুকুরে যখন মাছের খাবার দেওয়া হয় অনেক খাবার পানিতে নষ্ট হয়ে খাবার উৎপাদন হয়। তবে শামুক পুকুরে থাকলে সেই উপাদান গুলো নষ্ট করে থাকে সাথে আরও বংশবিস্তার করে। আমি শুধু একদিন বসে থেকেই এর উপকারিতা দেখি নাই দীর্ঘদিন লক্ষ্য করে আসছি ইঁদুরটি এভাবেই তার সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
যখন একটি শামুক খাওয়া হয়ে যাচ্ছে পুনরায় সে আবার সেভাবেই শামুকের সন্ধানে পানির দিকে নেমে পড়ছে। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম সে খুব নীরবে শামুকের খোল ছুঁড়ে ফেলছে। তার দুটি হাত দিয়ে শামুক চেপে ধরছে এবং শামুকের ঢাকনাটি দাঁত দিয়ে টেনে তুলে ফেলছে। আসলে কি সুন্দর তার জ্ঞান বুদ্ধি। তার এত সুন্দর দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করলো।
ইঁদুরটির এমন দুর্দান্ত সাহসিকতা আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে। মনের মধ্যে সাহসিকতা জাগ্রত হয়েছে অনেক বেশি, ভাবতে শিখিয়েছে এ জীবন বড়ই সংগ্রামী ময়, আরও বুঝতে শিখিয়েছে কিভাবে সংগ্রাম করে এই প্রকৃতির মাঝে টিকে থাকতে হয়। কতটা সৎ ও সাহসিকতা নিয়ে নিজের খাদ্য সংগ্রহ করতে হয়। এ থেকে বুঝতে পারা যায় কিভাবে একজন বীর সৈনিক উৎসাহ পেয়েছিল মাকড়সার জাল বানানো দেখে। আমি যখন মাছের খাবার দিচ্ছিলাম তখনো ইঁদুরটি তার সাহসিকতার সাথে খাদ্য সংগ্রহ করছিল। আমি যখন পুকুরের সুতা টাঙিয়েছিলাম তখন ওই ইঁদুরটি তার সৎ সাহসের সাথে চোখের সামনে ঘুরে ঘুরে খাদ্য সংগ্রহ করছিল। এমন সাহসী ও উপকারী বন্ধুকে সত্যি মন থেকে আন্তরিকতা জানায়।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনি চাইলে চেষ্টা করতে পারেন এভাবে ইঁদুরের ফটোগ্রাফি করতে।
কি বলেন ভাইয়া ইঁদুরের শামুক খাওয়া আমি তো মনে হচ্ছে এই প্রথমবার শুনলাম। ইদুরটাকেও দেখে সত্যিই বেশ সাহসী এবং জ্ঞানী মনে হচ্ছে। আমি নিজের চোখে কখনো এরকম কিছু দেখিনি। আপনার কাছ থেকে জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগবে। আর পুকুরের মাছ গুলো সত্যি অসম্ভব সুন্দর। ইচ্ছে করছে হাত দিয়ে একটু ধরে দেখি।
নতুন কিছু আপনাদের মাঝে উপস্থিত করতে পেরে খুব ভালো লাগলো আমার।
আপনার পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো। ইঁদুরের শামুক খাওয়ার গল্প বেশ দারুন হয়েছে। ইঁদুরের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট দেখার জন্য।