প্রতিযোগিতা - ০৪ (আমার শেষ উৎসবের স্মৃতি) || আনন্দমুখর এবারের ঈদ
আজ শুক্রবার
৩০ জুলাই, ২০২১ খ্রীস্টাব্দ
১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪২ হিজরী
১৫ শ্রাবণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
এখন বর্ষাকাল।
আমি মোহাম্মদ সুমন আছি বাংলাদেশের ভোলা জেলা থেকে। আমি নতুন এবং ব্যতিক্রমী একটি কনটেস্টে অংশগ্রহণের জন্য আমার পোস্ট নিয়ে সকলের মাঝে হাজির হলাম।
আমি মনে করি, প্রতিযোগিতা মানেই নতুন কিছু করা এবং সুযোগ তৈরি হওয়া সকলের জন্য 🙂
আমার শেষ উৎসবের কথা বলতে গেলে কিছুদিন আগে কেটে যাওয়া ঈদের কথাই আমি উল্লেখ করতে চাই। কেননা, সর্বশেষ উৎসব হিসেবে ঈদ ছিলো এবং আলহামদুলিল্লাহ ভালো কেটেছে এবারের ঈদ। মূলত আমি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী ২-১ দিনের প্রধান কার্যকলাপগুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করবো।
পৃথিবীর অধিকাংশ জাতির উৎসব শুধুই আনন্দ-বিনোদন কেন্দ্রিক। সবার ঘরে ঘরে খুশির আমেজ বয়ে যায় ঈদের সময়। যাইহোক, আমি সহ আমার পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে ঈদ উদযাপন, পশু কোরবানি, একত্রিত হয়ে গোশত খাওয়া, সকলের মাঝে আনন্দমুখর হাসি দেখা, খেলাধুলা করা এবং আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদিতেই পুরো উৎসবটা উদযাপন করেছি।
ঈদের নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আনন্দের শুরুটা ঘটে। এর পূর্বে আমি বাড়ির মেয়েদের জন্য মেহেদী কিনেছি সেটার মাঝেও অন্যরকম আনন্দ ও ভালো লাগা কাজ করে। সেমাই খাওয়ার পর পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে গরু কোরবানির সকল কাজ সম্পন্ন করতে করতে ১১.৩০ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। গোশত বন্টন করে সকলের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে তারপর খাবার খেয়েছি দুপুরের। এবং বিকেলের পুরোটা সময়টা সকলের সাথে দুর্দান্ত কেটেছে আনন্দের মাঝে।
লকডাউনের কারণে আমি আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিয়ে তেমন কোনো দর্শনীয় স্থানে যেতে পারি নি যেহেতু আইনীবাধা ছিলো অনেক। তবে শুধুমাত্র শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত যেতে পেরেছি। সেখানে অনেক আনন্দ করেছি। শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি সদস্যরা ছিলেন ঈদ উপলক্ষে একত্রিত হয় দুষ্টামি, গল্পগুজব, (নৌকায় হালকা ভ্রমণ করতে হয়েছে যাতায়াতের সুবাদে) সহ নানা ধরনের ক্রিয়াকলাপ করেছি।
শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সকলে সালামের মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন করে তারপর বসলাম। এরপর দুপুরে সকলে মিলে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করি। ঘন্টাখানেক পরে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী সহ হাটাহাটি করলাম তাদের বাসার চারপাশে এবং প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম।
বিকেলে পুরোটা সময় জুড়ে আমরা ফটোগ্রাফি করেছি পরিবার সকলের। আলাদা আলাদা ভাবে এক একজনের ফটো ফ্রেম আকারে বন্দী করেছি ক্যামেরায়। বাচ্চাদের আলাদা এবং যারা এখনো সিঙ্গেল তাদের আলাদা অর্থাৎ নানান ভাবে আর সেলফি না তুললে তো স্বার্থকতা নেই। অল্প পরিসরে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছি এই পোস্টের মাধ্যমে। আবহাওয়া দারুণ ছিলো তাই বাসার ছাঁদে অসাধারণ হয়েছে প্রতিটি ফটো।
বাচ্চাদের সাথে আমি বরাবরের ন্যায় আনন্দ করতে বেশি ভালোবাসি তাদের মিষ্টি মিষ্টি কথা, দুষ্টামি, খুনসুটি আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বাচ্চারাও আমাকে সহজেই আপন করে নিতে পারে আমার সুন্দর ব্যবহারে জন্য।
সন্ধ্যায় আমরা গানের আসর জমিয়েছিলাম বর্ণমালা দিয়ে। সকলের প্রতিভা প্রকাশ পাচ্ছিল এবং বেশ আনন্দ লাগতেছিল। মাঝখানে নাস্তা করার পর আমরা দলে দলে লুডু খেলায় মেতেছি, ইহা এক ব্যাপক আনন্দঘন মুহূর্ত ছিলো গুটি কেটে কেটে নিজের স্থান ধরে রাখা। আমার প্রিয়তমা স্ত্রী খুব খুশী ছিলো তার পরিবারের মানুষগুলো একসাথে অনেক দিন পর পেয়েছে এবং এভাবে নানা বিনোদনের মাঝে সময়টা কেটেছে। আমি সত্যি এই ব্যাপারগুলো নিয়ে নিজেও আনন্দিত। সুযোগ মিলেছে এই কনটেস্টের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয় প্রকাশ করার তাই হাতছাড়া করলাম না।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
অসাধারণ উপস্থাপনা ভাই আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং সবকিছু অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইজান আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ❤️ আপনার এই মূল্যবান মন্তব্য আমাকে পরবর্তী পোস্ট করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে 🙂🙂