বাগান ভ্রমন এবং সুন্দর পরিবেশ || আমার বাংলা ব্লগ
কেমন আছেন সবাই?
আজ মঙ্গলবার
৩১ আগস্ট, ২০২১ খ্রীস্টাব্দ
১৬ই ভাদ্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
এখন শরৎকাল।
আমি মোহাম্মদ সুমন আছি বাংলাদেশের ভোলা জেলা থেকে। আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
বাগান করতে অনেকেই ভালোবাসেন তবে শহরে যারা থাকেন তারা জায়গার অভাবে হয়তো বাগান করতে পারেন না। কিন্তু গ্রামে এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রায় অধিকাংশ মানুষের পরিত্যক্ত জমি রয়েছে যেখানে তারা বাগান করে থাকেন। যাইহোক, আমি আজকে আমাদের বাসার ঠিক কাছাকাছি একটি বাড়িতে বাগান দেখতে গিয়েছি, সেখানকার ছোটখাটো অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমাদের প্রতিবেশী তাই উনাকে আমি নানা বলে ডাকি। উনার কয়েকটি বাগান রয়েছে! যার মধ্যে একটি বাগানে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ফল এবং ভেষজ গাছ রয়েছে। বাগানটি প্রদশর্নের জন্য আজকে আমি এবং আমার প্রিয়তমা স্ত্রী যাই (যেহেতু আমার বাসার পাশে ছিলো) সেখানে প্রায় আমরা দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মত সেখানে সময় ব্যয় করেছি।
- ফল গাছ বলতে সেখানে - আম, লিচু, পেয়ারা, ডালিম, চালতা, জাম্বুরা, পেঁপে এবং লেবু সহ বেশ কিছু গাছ রয়েছে।
- ভেষজ গাছ বলতে সেখানে - বাসক, পুদিনা, অ্যালোভেরা সহ বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে।
- ফল গাছের মধ্যে নারিকেল আমাদের জেলার অধিকাংশ এরিয়াতে ব্যাপক পরিমাণে এবং সাথে রয়েছে সুপারি গাছও।
আমাদের বাড়িতে প্রায় ৩৫০-৪০০ মতো সুপারি গাছ রয়েছে এবং অনেক গাছেই সুপারি ধরে। সেগুলো থেকে আমার মা বিক্রি করে কিছু টাকা ইনকাম করেন।যাইহোক, যেখানে এসেছিলাম এখানে সম্পূর্ণ বাগানটি নদীর পাড়ে, সেখানকার পরিবেশ বেশ অসাধারণ ছিলো হয়তো যে কারো নজর কাড়ার মতো। গ্রামের মুক্ত পরিবেশ আমার অনেক ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি করলে যেনো সেই ফটোগ্রাফিগুলো প্রাণ উজ্জল মনে হয়।
আমরা সবাই আসলে টাটকা এবং সতেজ খাবার খেতে চাই তবে এগুলো কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে পাওয়া সম্ভব। নানার প্রায় প্রতিটি কাজগুলো আমরা লক্ষ করলাম বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছেন বাগানটি।
সেখানে বসে সময় কাটানোর জন্য কাঠের তৈরি ছোট চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। আমি বড্ড আনন্দিত ছিলাম সেখানে গিয়ে, পুরো পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
ফটোগ্রাফি করার পাশাপাশি আমাদের গাছ থেকে পেয়ারা খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে সেখানে গিয়ে (যদিও আমাদের বাড়িতেও রয়েছে)। ডালিম মাত্র বড় হয়ে উঠতেছে। এছাড়াও, প্রতিটি গাছের পর্যবেক্ষণ কিভাবে করছেন সেগুলো আমরা খেয়াল করেছি সেখানে থেকে। বলা যায়, ভালো কিছু সময় পার করেছি আমরা।
ফটোগ্রাফি | বাগান |
---|---|
লোকেশন | ভোলা, বাংলাদেশ |
ব্যবহৃত ক্যামেরা | রেডমি নোট সেভেন প্রো |
কৃতজ্ঞতা | @sumon02 |
Google Plus Code : QCV3+75 Dhaka
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
ভাই আপনার পোস্টটি সুন্দর হয়েছে খুব সুন্দর ভাবে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন বাগানের গাছ থেকে টাটকা ফল পেড়ে খাওয়ার মজাই অন্যরকম ছবিগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে এই মৌসুমে গাছপালা গুলিসহ সবুজ সতেজ হয়ে থাকে যার ফলে গাছপালা ছবিও সুন্দর আসে আপনার জন্য একটা পরামর্শ থাকবে। সর্বনিম্ন ২৫০ ওয়ার্ড লেখার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার পোস্টের ভ্যালু বারবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইজান 🙂 আপনার মূল্যবান মন্তব্য এবং সাজেশন আমার পরবর্তী পোস্টগুলো আরো সুন্দর করে তুলবে। ভালোবাসা ভাই ❤️
ভাই আপনি বাগানের অনেক সুন্দর ছবি তুলেছেন,,পেঁপে গাছের ছবিটা ভালো লেগেছে। পাঁকা পেঁপে খেতে খুবই মজা লাগে।
অনেক সুন্দর ভকবে উপস্থাপনা করেছেন,এবং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ
গ্রামে বাগান একটু বেশিই দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের শহরঞ্চালেও অনেক বাগান দেখা যায়। বাংলাদেশে ছাদ বাগান খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনার বাগানটাও অনেক সুন্দর। এবং ৩০০-৪০০ গাছের সুপারি তো অনেক।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলছেন! জি ভাই আমাদের পুরো বাড়ির আনাচকানাচে সুপারি গাছে পরিপূর্ণ।
তাই বুঝি🙂🙂
হ্যাঁ ভাই 🙂🙂
আপনার ভ্রমন করা বাগানটি খুব সুন্দর ছিল।আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান ❤️ ব্যক্তিগত সময় ব্যয় করে মন্তব্য করার জন্য 🙂