আমার আজকের কার্যকলাপ || লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% এর জন্য
কেমন আছেন সবাই?
আজ - ২৫ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | শরৎকাল |
আলহামদুলিল্লাহ ফজরের নামাজ আদায় করলাম! সকালের শুরুটা ভালো কোনো কাজ দিয়ে করলে সারাদিনের মধ্যে একটা বরকত কাজ করে। যেহেতু সকাল বেলা, সকলের মন উৎফুল্ল থাকে তাই চেষ্টা করি প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার।
ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করার চেষ্টা করছি। যাইহোক, আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন এরপর উনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে তারপর সকলের জন্য সকালের নাস্তা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এটা তার রেগুলার প্র্যাকটিস। নাস্তা বানানো শেষ! এরপর সবাই জাগ্রত হওয়ার পরে আমরা একত্রিত হয়ে নাস্তা করলাম।
আমার কিছু কেনাকাটা এবং বাসার জন্য কিছু বাজার করতে হবে তাই বাজারের উদ্দেশ্যে আমি বের হলাম৷ পাঙ্গাশ মাছ, সবজি হিসেবে বেগুন, কাচা মরিচ কিনে আমি বাড়ি ফিরলাম। এলাকার বাজার আমাদের বাসা থেকে প্রায় ১০ মিনিটের দূরত্ব, অটোরিকশায় করে যেতে ভাড়া নেয় ৫ টাকা। গরম ছিলো অনেক তাই আসার আগেই আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে বলেছিলাম লেবু দিয়ে শরবত তৈরি করতে এবং আসা মাত্র সে শরবত দিয়ে আমাকে কিছুটা শীতল করেছেন।
চারিদিকে কৃষকেরা ধান চাষে ব্যস্ত, বিলের অধিকাংশ স্থানে ধান চাষ করে রেখেছেন অনেকেই। কিছুক্ষণ বাহিরের ঠান্ডা আবহাওয়া গায়ে লাগিয়ে আমি এসে পুকুরে গোসল করালাম। বাসায় রান্নার যাবতীয় কাজ শেষ করছেন আমার প্রিয়তমা স্ত্রী, যেহেতু আমার মা কিছুটা অসুস্থ। আজান হওয়া মাত্র আমি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করি৷ বাসায় এসে দেখলাম, বাড়ির মহিলাদের নামাজ শেষ হয়নি। তাদের নামাজ শেষ হওয়ার পর আমরা সবাই একত্রে দুপুরের খাবার খেতে বসলাম। খাবার খাওয়া শেষ করে আমি কিছুক্ষণ রুমে শুয়ে ছিলাম এবং আমার প্রিয়তমা স্ত্রী পাশে ছিলেন।
আসরের নামাজ আদায় করে আমি এবং আমার প্রিয়তমা স্ত্রী গতকালকের মতো সুন্দর কিছু সময় পার করতে বেরিয়ে পরলাম নদীর পাড়ে। বিকেলে নদীর পাড়ে সুন্দর আবহাওয়া থাকে এবং ফটোগ্রাফি করলেও অসাধারণ হয় সেগুলো। আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর বেড়াতে খুব ভালো লাগে তবে আমি সময় করে নিয়ে যেতে পারি না সবসময়। যাইহোক, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আমরা বাসায় চলে এলাম।
মাগরিবের নামাজ আদায় করে আমি বাজারে গেলাম ফাস্টফুডের দোকান থেকে কিছু খাবার কিনলাম। আমার প্রিয়তমা স্ত্রী খেতে চেয়েছিলেন এবং ছোট বোনও। আমি ফ্রাইড চিকেন এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিনলাম পরিমাণ মতো। বাসায় নিয়ে আসার সাথে সাথে তারা দেখে খুবই আনন্দিত হলেন। আমার মতে, হয়তো টাকা দিয়েও এমন মুহূর্ত কেনা সম্ভব নয়।
পরিবার নিয়ে ছোটখাটো ব্যাপারের আনন্দ মহামূল্যবান আমার কাছে। অনেকের কাছে হয়তো টাকা আছে কিন্তু পরিবার কে দেয়ার মতো সময় নেই তাদের কাছে। যাইহোক, খাবার খাওয়া শেষ করে আমরা টিভি দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। আমি সময় বের করে steemit.com ব্রাউজ করতে থাকি! সময়মত, এশার নামাজ আদায় করি। বাসার সবাই টিভি দেখাতে ব্যস্ত ছিলেন, রাত ক্রমশ বাড়ছিল। আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে খাবার দিতে বললাম এবং সে খাবার গরম করে আমাদের ডাকলেন। সবার খাওয়া শেষ হওয়ার পর আমার স্ত্রী মাকে ঔষধ দিলেন। মায়ের ঔষধ খাওয়ার পর পরই আমরা ঘুমানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করালাম।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
আপনার ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর
আপনার আম্মার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, এবং আমাদের সবার উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদাই করা
অনেক ধন্যবাদ ভাইজান ❤️ হ্যাঁ আমাদের সকলের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। যেহেতু মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়েছে।
জ্বী ভাই
❤️❤️
খুব সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। বাড়ি থেকে বাজার কাছে থাকায় আপনার বেশ সুবিধাই হয়েছে। এবং ফ্রাইড চিকেনটা দেখতে সুন্দর লাগছে।
বি:দ্র: কোনো সুনির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া এ্যাডমিন মডারেটরদের মেনশন দিবেন না। ধন্যবাদ।।
হ্যাঁ ভাই, বাজার কাছ হওয়াতে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে আমাদের জন্য 🙂
অনেকেই দেখলাম ম্যানশন করেছেন তাই করেছিলাম আর কিছু না! ধন্যবাদ আপনার তথ্যের জন্য, আশাকরি সাথেই থাকবেন 🙂
আপনাকে ধন্যবাদ।
❤️❤️
আপনার আজকের দিনটি অনেক সুন্দর ছিল আর এই সুন্দর আপনার প্রতি অবিরাম থাকুক এটাই প্রার্থনা করি এবং সুস্থতা কামনা করি ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান ❤️ আশাকরি সাথেই থাকবেন 🙂