মাছ ধরার সুন্দর অভিজ্ঞতা এবং খুটিনাটি
কেমন আছেন সবাই?
আজ - ১৭ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শরৎকাল |
আমি মোহাম্মদ সুমন আছি বাংলাদেশের ভোলা জেলা থেকে। আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
বাঙালীদের মাছ-ভাতে বাঙালি বলা হয়। কারণ মাছের সাথে তাদের একটা ভালোবাসা জড়িয়ে আছে। আমরা যেমন মাছ খেতে ভালোবাসি ঠিক তেমনি কমবেশি অনেকে রয়েছে যারা মাছ ধরতে ভালোবাসেন। বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকেন তাদের মাছ ধরার প্রতি বাড়তি একটি আগ্রহ থাকে। গ্রামের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের জলাশয়, পুকুর এবং ছোট খাল থাকে যেখান থেকে সহজেই মাছ ধরা যায়। অপরদিকে শহরের কথা বলতে গেলে এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমার আজকের পোস্ট মূলত মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে৷
গ্রামে গেলে এমনও লোকের দেখা মেলে যারা মাছ ধরার প্রতি আসক্ত! মাছের সন্ধান পেলে তারা আর ঘরে বসে থাকেন না বেরিয়ে পড়েন মাছ ধরতে। যাইহোক, মাছ বিভিন্ন ভাবে ধরা যায়! প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর মধ্যে নানা নতুনত্ব এসেছে।
আমাদের দেশের জেলেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাছ ধরেন নদী থেকে। কেউ কেউ বড়শি দিয়ে মাছ ধরে থাকেন (বড়শি হলো মাছ ধরার এক প্রকার সরাঞ্জম) পুকুর কিংবা জলাশয় থেকে। আরো বিস্তারিত হয়তো ইন্টারনেটে পাবেন তবে আপনাদের সুবিধার্থে বিস্তারিত। যাইহোক, আমরা আজকে ঝাঁকিজাল দিয়ে মাছ ধরতে চলেছি আমাদের নিজস্ব পুকুর থেকে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে পুকুরে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ হয়ে থাকে।
আমাদের পুকুরটি বিশাল গভীর। আমরা পুকুরটি সারাদিনের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। এখানে বিভিন্ন জাতের মাছ রয়েছে তবে সবচেয়ে বেশি মাছ ছাড়া হয়েছে তেলাপিয়া মাছ। আমাদের এই পুকুরটিতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় আমরা বেশিরভাগ সময়ে জাল কিংবা বরশি দিয়ে মাছ ধরতে পারিনা। হঠাৎ করে যেহেতু মাছ ধরার পরিকল্পনা তাই আগে থেকে পুকুরে কিছু ভাতের সাথে কুড়া মিশিয়ে দিয়েছিলাম যাতে ঝাঁকিজাল দিয়ে সহজেই ধরা যায়।
ঝাঁকিজাল আমরা প্রায় চার-পাঁচ বার মারার পর আমরা বেশ কয়েকটি মাছ ধরতে পেরেছি (জালে মাছ ধরার পরে আমাদের সকলের মধ্যে আনন্দ কাজ করছিল)। সেখান থেকে আমরা শুধুমাত্র বড় সাইজের দুইটি মাছ রেখে যাবতীয় অন্যান্য ছোট মাছগুলো আমরা পুনরায় পুকুরে ছেড়ে দিয়েছি, যেহেতু আমরা ছোট মাছগুলো চাষের জন্য পুকুরে ছেড়েছি।
জেলে হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আমার নানা এবং আমাদের মাছ ধরা আজকে এপর্যন্তই সমাপ্ত। আমরা মাত্র দুটি তেলাপিয়া মাছ রেখেছি আমাদের খাওয়ার জন্য রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দিয়েছি।
ফটোগ্রাফি | মাছ শিকার |
---|---|
লোকেশন | ভোলা, বাংলাদেশ |
ব্যবহৃত ক্যামেরা | রেডমি নোট সেভেন প্রো |
কৃতজ্ঞতা | @sumon02 |
Google Plus Code : QCV3+75 Dhaka
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
মাছ ধরার মতো আনন্দ আর হতে পারে না। আমি যখনই বাড়িতে যাই তখনই একবারের জন্য হলেও আমি মাছ ধরতেন নামি এটা আমার অনেক ভালো লাগে।
আপনার কাছ থেকে জেনে ভাল লাগল! আমার ক্ষেত্রেও একই, আমি যখন গ্রামে যাই তখন আমি কিছু সময় ব্যয় করি মাছ ধরার মাধ্যমে।
মাছ ধরতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমরা বন্ধুা মিলে মাঝে মাঝে পদ্মা নদীতে জাল ও বর্শি নিয়ে মাছ ধরতে যাই অনেক মজা হয়।
জেনে ভালো লাগলো ভাই। আপনার হোম টাউন কোথায়? আমার খালুর নিজস্ব জালের সাভার রয়েছে উনি মেঘনা নদীতে মাছ ধরে থাকেন।
সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া।
ওওও আচ্ছা 🙂
😍😍
মাছ ধরা খুবই মজার একটা অভিজ্ঞতা। মানুষ মাছ খাক আর না খাক। কিন্তু মাছ মারতে সবাই খুব পছন্দ করে। আপনার মাছ মারার ছবি দেখে আমার গ্রামের বাড়ির কথা মনে পড়ে গেলো। গ্রামের বাড়িতে গেলেই আমাদের পুকুর থেকে মাছ ধরা হতো। জেলেদের খবর দেয়া হতো তারা এসে মাছ মেরে দিতো। পুকুরের টাটকা মাছ খেতে অনেক মজা। আপনার পোস্টটা সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইজান আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য 🙂 ঠিক বলছেন ভাই, কেউ মাছ খাক আর না খাক কিন্তু ধরার মধ্যে বাড়তি ভালোবাসা কাজ করে।
মাছ ধরাটা খুবই আনন্দের ।আমি আমার জীবনে একবার মাছ ধরেছিলাম।কি যে আনন্দ হয়ে ছিল বলে বোঝাতে পারব না।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঠিক বলছেন আপু, মাছ ধরার আনন্দই ব্যতিক্রম। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এবং আপনার জন্য ভালোবাসা ❤️
ভীষণ ভালো লাগলো। মাছ ধরার মুহুর্ত ছিল চমৎকার। আমিও খুব পছন্দ করি। অনেক শুভেচ্ছা ভাই
আমি সত্যি আনন্দিত যে আপনার ভালো লেগেছে। মাছ ধরতে সবাই ভালোবাসেন।