কচু দিয়ে সুস্বাদু ইলিশ মাছ রান্নার রেসিপি
আজ - বুধবার
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছেন। 'আমার বাংলা ব্লগ' কে ভালোবেসে এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত হলাম মজাদার এক রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু এক মুরগির মাংসের রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কার্যপ্রণালী শুরু করি। |
---|
১. | কচু | হাফ কেজি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | তিন পিস |
৩. | কাঁচা মরিচ | নয় পিস |
৪. | সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
৫. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৬. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৭. | হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
৮. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
৯. | জিরা গুঁড়া | এক চামচ |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | মাছ | ৭ পিস |
এখানে আমি ইলিশ মাছটি ৩০ মিনিট মতো আগে ফ্রিজ থেকে বের করে রেখেছিলাম। তারপর সুন্দর করে আইস ছাড়িয়ে কেটে নিয়েছে। মাছটি ৭ পিস হয়েছিল।
অন্যদিকে আমি কচু সিদ্ধ করে নিয়েছি। চাইলে কচু সিদ্ধ না করেও কাঁচা অবস্থায় ছিলে রান্না করা যায়। তবে আমাদের বাসার সবাই সিদ্ধ করা কচু এভাবে রান্না করলে বেশি পছন্দ করে। তাই আমি কচুটা সুন্দরভাবে সিদ্ধ করে ছিলে নিয়েছি।
মাছের উপরে আমি হলুদ মরিচ এবং লবণ মাসে কড়াইতে ভাজতে দিই।
মাছগুলো ভাজা শেষ হলে একটি প্লেটে উঠিয়ে নিই। অন্যদিকে আমি কাঁচামরিচ এবং পেঁয়াজ কেটে নিয়েছি।
তারপর কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিই। আমি এখানে সরিষার তেল ব্যবহার করেছি। কারণ আমাদের বাসার সবারই গ্যাস্ট্রিক।সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তেল গরম হওয়ার পর কাঁচা মরিচ এবং পেঁয়াজ দিয়ে দিই।
পেঁয়াজগুলো ভাজা হয়ে গেল সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিই।
এখানে আমি লবণ,মরিচের গুড়া,হলুদের গুঁড়া,জিরা গুঁড়া এবং ধনিয়া গুড়া দিয়ে দিই।
মসলাগুলো কিছুক্ষণ কষানোর পর কচু দিয়ে দিই। রান্না করার সময় আমি সব সময় একটা জিনিস মাথায় রাখি। সেটা হচ্ছে কিছু রান্না করার সময় মসলাটা যদি ভালোভাবে কষিয়ে নিই তাহলে রান্নার স্বাদ অনেক বেশি বাড়ে। তাই আমি ভালোভাবে মশলাটা কষিয়ে নেয়ার পর কচু দিয়ে দিই। সাথে করে কচুগুলোও আমি সুন্দরভাবে কষিয়ে নিই। কষানো শেষ হলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিই।
তারপর রান্নার প্রায় শেষের দিকে মাছগুলো দিয়ে দিই।
মাছগুলো দেওয়া শেষ হলে সুন্দর করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখি। মাছ দেওয়ার পর অনেক সাবধানে একটু নাড়াচাড়া করে দিই কারণ জোরে নাড়াচাড়া করলে মাছগুলো ভেঙ্গে যাবে তাই সাবধানে একটু নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিই।
রান্না শেষ হলো উপরে একটু জিরা গুড়া ছিটিয়ে দিই। রান্না শেষের দিকে জিরা গুড়া দিলাম।জিরা গুড়া দিলে রান্নার স্বাদ অনেক বেশি হয়। তাই আমি দেখা যাই সব রানা শেষে জিরা গুড়া দিয়ে থাকি।
তারপর আমার রান্না কমপ্লিট হল। একটা বাটিতে ঢেলে নিই এবং সুন্দর করে পরিবেশন করি।
পরিবেশন
রান্না করতেও যেমন ভালো লাগে পরিবেশন করতেও ঠিক তেমনি ভালো লাগে। রান্না চেয়ে আমার পরিবেশন করতে বেশি ভালো লাগে। তাই সবার প্লেটে সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে দিই। সবাই আমার হাতের কচু রান্না খেয়ে অনেক বেশি প্রশংসা করে। যেকোনো কাজের প্রশংসা করলে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। সাথে করে কাজ করার ইচ্ছাটাও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
Photo device | realme note50 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু রেসিপি |
ক্রেডিট | @sumiya23 |
লোকেশন | ঢাকা- সাভার |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সুমাইয়া, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি বিবাহিত,একজন কলেজ ছাত্রী। আমার হাজব্যান্ড একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী। আমি বর্তমান ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত রয়েছি। আমার কলেজের নাম বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সাভার। আমরা দুই ভাই বোন। আমার @sumiya23 স্টিমিট আইডির নাম।
ইলিশ মাছ যে কোন সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে কচু দিয়ে কিংবা বেগুন দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। ইলিশ মাছ কচু দিয়ে রান্না করা হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল।
জ্বী আপু ইলিশ মাছ যে কোন সবজির মধ্যে দিলে খেতে অনেক মজা লাগে।
অনেক সুন্দর লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার কচু দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু ছিল আপনার আজকের তৈরি এই রেসিপি।
জি আপু খেতেও অনেক মজা হয়েছিল।
কচু দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না খেতে আমার তো ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এই রেসিপিটা আমাদের বাড়িতে তৈরি করা হয় কিন্তু আমি খেতে পারি না। কচু খেলে আমার অনেক এলার্জি বৃদ্ধি পায়। আপনার রেসিপিটা লোভনীয় হয়েছে আপু। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু এলার্জির কারণে দেখা যায় অনেক খাবারে এলার্জি বৃদ্ধি পায়। যাইহোক আপনি সাবধানে খাওয়া দাওয়া করবেন।
কচুর মুখী, আলু এবং বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি।আজকে আপনি কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
জ্বী ভাইয়া ইলিশ মাছ আমারও অনেক পছন্দের। কচু দিয়ে রান্না করলে আরো বেশি মজা লাগে।
জাস্ট ওয়াও আপু আপনি কচু মুখী দিয়ে সুস্বাদু ইলিশ মাছ রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ইলিশ মাছ আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। তাছাড়া আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি সুস্বাদু ইলিশ মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া রান্নাটা খেতেও অনেক বেশি মজা হয়েছিল।
চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করা সুন্দর এ রেসিপি দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আসলে এই জাতীয় রেসিপিগুলো সবার খুব ভালোলাগার হয়ে থাকে। সে জায়গায় ইলিশ মাছের রেসিপি বলে কথা। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল।
আসলে ইলিশ দিয়ে এই কচুর মুখী তৈরির রেসিপিটা আমার সব থেকে প্রিয় একটা রেসিপি। কেননা যারা এই রেসিপিটা একবার খেয়েছে তারা কিন্তু এই রেসিপি বারবার খেতে চাইবে। আসলে আপনি আমার মনের মত একটা রেসিপি পোস্ট আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এছাড়াও এই রেসিপি তৈরির প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
বাহ আপনি তো বেশ মজার রেসিপি করেছেন। ইলিশ মাছ দিয়ে যে কোন কিছু রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আপনি কচুর ছড়া দিয়ে মজার ইলিশ মাছ এর রেসিপি করেছেন। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। মজার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
কচু দিয়ে সুস্বাদু ইলিশ মাছ রান্নার রেসিপি দেখেই খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তাই খেতে ইচ্ছা করছে। ইলিশ মাছের যেকোনো রেসিপি আমি খুবই পছন্দ করি। যার কারণে আপনার এই মজাদার রেসিপিও আমার কাছে ভালো লেগেছে।
কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ এভাবে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এই রেসিপিটা আমাদের বাসায় প্রায়ই রান্না করা হয়। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।