চিতই পিঠা রেসিপি
আজ - শুক্রবার
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে অনেক অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। 'আমার বাংলা ব্লগ' কে ভালোবেসে এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত হলাম মজাদার এক রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু এক চিতই পিঠা রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কার্যপ্রণালী শুরু করি। |
---|
১. | চালের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
২. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৩. | দুধ | ১ কেজি |
৪. | চিনি | পরিমাণ মতো |
৫. | তেজপাতা | ৩ পিচ |
৬. | দারচিনি | ৩ পিচ |
৭. | এলাচ | ২ পিচ |
৮. | লবঙ্গ | ২ পিচ |
৯. | নারিকেল | ১টি |
এখানে আমি এক কেজি দুধ নিয়েছি। দুধের মধ্যে তিনটি তেজপাতা, তিনটি দারচিনি, তিনটি এলাচ ও দুটি লবঙ্গ দিয়েছে। একই সাথে দুধের মধ্যেও পরিমাণ মতো চিনি এবং লবণ দিয়েছি। সাথে আমি একটি নারিকেল সুন্দরভাবে কুরিয়ে নিয়েছি এবং সেটি দুধের মধ্যে দিয়ে দিয়।তারপর এটি আমি চুলার উপর গরম করতে দিয়ে দিই। আস্তে আস্তে দুধটা ফুটিয়ে নিই। দুধ অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে নিলে পিঠা খেতে অনেক মজা লাগে। তাই আমি অনেকক্ষণ দুধ ফুটিয়ে নিয়েছি।
অন্যদিকে আমি একটি পাত্রে পরিমাণ মতো চালের গুড়া নিয়েছি।চালের গুড়ার মধ্যেও এক চামচ মত লবণ দিয়ে নিয়েছি। তারপর আমি একটু একটু করে পানি দিয়ে সুন্দরভাবে চাউলের গুড়া হাত দিয়ে মাখিয়ে নিই। পিঠা বানানোর ক্ষেত্রে আটা সুন্দরভাবে মাখানো টাও জরুরি কারণ যদি আটা সুন্দরভাবে মাখিয়ে নিই তাহলে পিঠা ফুলে উঠে।যা দুধের মধ্যে দিলে খেতে অনেক মজা লাগে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটু একটু করে পানি দিয়ে আমি আটা সুন্দর করে মাখিয়ে নিয়েছি। আটা মাখানোর ক্ষেত্রে পানি অল্প অল্প করে দিলে সুন্দর মসৃণ হয় যা দলা পেকে যায় না এজন্য আমি একটু একটু করে পানি দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর আমি হাত দিয়ে মাখানো শেষ করে একটি অরং এর সাহায্য নিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ আটা মাখিয়ে নিই।
এদিকে আমি চুলায় দুধ গরম করতে দিয়েছিলাম অনেকক্ষণ দুধটা গরম করে নিয়েছি। এখন কালার টা বেশ সুন্দরভাবে চলে এসেছে।
তারপর আমি চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিই। এদিকে আমরা সাত খোলা বলে থাকি। এগুলো তে সাতটি পিঠা বানানোর জায়গা থাকে কিন্তু আমার এটাতে চারটি ছিল। তাই আমি এটি সাহায্যে বানিয়ে নিয়েছি।
তারপর আমি তার উপরে অরং সাহায্য নিয়ে সুন্দর ভাবে আটা চারটা স্তরের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এবং একটি ঢাকনা দিয়ে তাওয়াটি ঢেকে দিয়েছি। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম পিঠা অনেক সুন্দর ভাবে ফুলে ওঠে তাই আমি একটি মাটির ঢাকনা নিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
তারপর আমি কিছুক্ষণ পর ঢাকনাটি উঠিয়ে দেখি। পিঠাটি অনেক সুন্দরভাবে ফুলে উঠেছে যা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তারপর সাথে সাথে আমি একটি চামচের সাহায্য নিয়ে পিঠাটি উঠিয়ে নিই।কারণ দেরি করে উঠালে পিঠা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই আমি দেরি না করে অনেক তাড়াতাড়ি করে পিঠাটি উঠিয়ে নিই।
তারপর আমি ঝুড়ির মধ্যে যে পিঠাগুলো রেখে দিয়েছিলাম। সেই পিঠা গুলো গরম করে রাখা দুধের মধ্যে দিয়ে দিও কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর পিঠাগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ভিজে যায়।
পরিবেশন
পিঠা বানানো শেষ করে আমি সুন্দরভাবে সবাইকে পরিবেশন করে দিই। আর সবাই আমার পিঠা বানানোর অনেক প্রশংসা করছিল। সবার অনুপ্রেরণা পেয়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর এভাবে পরিবেশনের মাধ্যমে আমি আমার কার্যক্রম শেষ করলাম।
Photo device | realme Note 50 |
---|---|
বিষয় | রেসিপি |
ক্রেডিট | @sumiya23 |
লোকেশন | ঢাকা-সাভার |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সুমাইয়া, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি
বিবাহিত,একজন কলেজ ছাত্রী। আমার হাজব্যান্ড একজন বেসরকারি কর্মকর্তা। আমি বর্তমান ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত রয়েছি। আমার কলেজের নাম বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সাভার। আমরা দুই ভাই বোন। আমার @sumiya23 স্টিমিট আইডির নাম।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। অসাধারণ হয়েছে আপনার রেসিপি তৈরি করা। এই জাতীয় মিষ্টি রেসিপিগুলো আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। আশা করব এভাবে সুন্দর সুন্দর পিঠা নিয়ে আবারও আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
অনেক মজার একটা রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন আপু। চিতই পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। পিঠা তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। এমন পিঠা দেখলেই তো খেতে মন চায়। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু পিঠাটি খেতে অনেক মজা হয়েছিল। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
চিতই পিঠা আমাদের বাঙালি সমাজের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা। পিঠা খেতে সত্যি অনেক সুস্বাদু লাগে। যাহোক চিতই পিঠা তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আপনার আজকের দুধ চিতই পিঠার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। যদিও এই রেসিপিটা শীতের সময় খাওয়া হয় আমাদের। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মাটির তাওয়া ব্যবহার করেছেন। একদম পারফেক্ট হয়েছে পিঠাগুলো। এত সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু আমাদের দেশে এই সমস্ত পিঠা শীতের সময় তৈরি করা হয়।তবুও আমি বানিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
যে ছবিটা থামবনেইল হিসেবে দেবেন বলে চিন্তা করবেন সেটা একটু সুন্দর ভাবে তুললে পোস্ট আরো আকর্ষণীয় লাগবে।
ওকে দাদা পরবর্তী থেকে ঠিক করে দিব।