সুস্বাস্থ্য ও জীবন: সুস্বাস্থ্য রক্ষায় টাটকা ও ফরমালিনমুক্ত খাবারের পাশাপাশি কিছু করণীয়
কভার ফটো
আসসালামু আলাইকুম। শুভেচ্ছা আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের জন্য একটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্লগ শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে স্বাস্থ্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাকে যদি আমরা পালন করতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই টাটকা ও ফরমালিনমুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। চলুন উপভোগ করে আসি আজকের এই ব্লগ।
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীতে খাদ্য গ্রহণ করা ছাড়া কোন প্রাণী টিকে থাকতে পারে না। তবে এই খাদ্য গ্রহণ করতে গিয়ে আমরা নানা জটিলতায় পড়ে যাই এবং যেখানে খাদ্য আমাদের জীবন বাঁচায় সেখানেই আমরা মৃত্যুবরণ করি।
অর্থাৎ আমাদের জীবিকার নির্বাহ করার জন্য আমরা খাদ্য গ্রহণ করি এবং বেঁচে থাকি। অপরপক্ষে আমরা যদি ফরমালিনযুক্ত খাবার ও পাশাপাশি খাবার খাই তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং আমি মনে করি এই খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ আমরা যে খাদ্য থেকে খাদ্য প্রাণ পেয়ে জীবন যাপন করছি সেই খাদ্য থেকে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এমনও আশঙ্কা রয়েছে।
তাই আমরা যদি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি লক্ষ্য করি তাহলে এটি একটি অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। তবে যেহেতু বেঁচে থাকতে হবে তাই আমাদের অবশ্যই খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য গ্রহণ করা ছাড়া আমরা কখনোই বেঁচে থাকতে পারবো না এবং কখনোই আমাদের জীবন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাহলে এখন এই হাজার হাজার ফরমালিনযুক্ত খাবার ও চারিদিকে ভেজাল পন্যের মাঝে জীবন কিভাবে বাঁচানো সম্ভব?
পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা যেমন সমস্যা তৈরি করেছেন ঠিক তার পাশাপাশি সেই সমস্যার সমাধান রয়েছে। যেহেতু আমরা খাদ্যকে বেঁচে থাকি তাই খাদ্য খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আসুন প্রথমে আমরা বেশ কিছু টিপস জেনে আসি যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় অবদান রাখতে পারে।
- আমাদের অবশ্যই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খাবার কেনার সময় অবশ্যই ফরমালিনমুক্ত ও টাটকা খাবার কিনতে হবে।
আমরা যখন বাজারে গিয়ে কোন মাছ অথবা মাংস কিনব সেই মাংসে অবশ্যই ফরমালিন আছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি রাখবো। কারণ ফরমালিন এক প্রকার বিষ, যা আমাদের শরীরে মিশে খুব সহজেই আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই মাছ এবং মাংস কেনার ক্ষেত্রে আমরা সচেতন হয়ে মাছ এবং মাংস কিনব।
প্রতিনিয়ত আমাদের খাদ্য রান্না করার পূর্বে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবং যে ব্যক্তি খাদ্য পরিবেশন করবে তার হাত অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
শুধু নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখলেই হবে না। যাদের বাচ্চা রয়েছে তারা বাচ্চাদেরকে খাবার খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবে এবং এরপর বাচ্চাকে খাবার পরিবেশন করবে।
- অবশ্যই পাশাপাশি খাবার আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। তাই খাবার খাবার ক্ষেত্রে অবশ্যই সব সময় টাটকা খাবার খেতে হবে এবং পচা ও বাঁসি খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
আমাদের অবশ্যই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু টাটকা ও ফরমালিন মুক্ত খাবার খেলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। পাশাপাশি আমাদেরকে অবশ্যই তৈলাক্ত খাবার অর্থাৎ ফাস্টফুড সহ অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে সকল প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে এবং খাবার খাবার সময় আমাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
খাবার যেমন আমাদের সুন্দর জীবন উপভোগ করতে দেয় পাশাপাশি খাবার কিন্তু আমাদের জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই খাবার খাওয়ার জন্য যে বৈজ্ঞানিক নিয়ম নিহিত রয়েছে তা আমাদের মেনে চলতে হবে।
কখনোই আমরা পেট পূর্ণ করে খাবার খাব না। পেটের এক তৃতীয়াংশ আমরা খাবার খাব এবং বাকি এক অংশ পানি খেয়ে বাকি এক অংশ আমরা ফাঁকা রাখবো। কারণ আমাদের খাদ্য ও হজম হওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি।
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তত কিছুটা হলেও ভিটামিন সি থাকা জরুরী। আপনি এর জন্য দিনে অন্তত দুইটা আমলকি কিংবা কিছুটা লেবুর রস খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব ও ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করবে এবং ভিটামিন সি জনিত সকল সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম হবে।
স্বাস্থ্য আমাদের সম্পদ। তাই আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে কাজ করতে হবে। আমরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠবো এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে একটু রিক্সার সাইজ ও একটু দৌড়াদৌড়ি করব। কারণ এক্সারসাইজ ও দৌড়াদৌড়ি করার কারণে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হবে এবং আমাদের গ্রোথ হরমোন ঠিক থাকবে।
স্বাস্থ্য রক্ষায় টাটকা খাদ্য গ্রহণ করব এবং ফলমালিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলব। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করব এবং খাদ্য খাবার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করব। খাদ্য তালিকায় সবগুলো ভিটামিন রয়েছে কিনা সে দিকে নজর রাখবো এবং পরিমিতভাবে সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাবো।
আমি আশাবাদী তাহলেই আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা হবে এবং আমরা একটি সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারব।। আমি আশাবাদী আজকের এই স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে। যদি এতোটুকু ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য আমাকে আরও বেশি আকর্ষিত করবে। স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস গুলো পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো samsung galaxy f22 মোবাইল দ্বারা সংগ্রহ করা হয়েছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://twitter.com/steemforfuture/status/1790683419745345734?t=AXQWk21y386YqosG-UIzTA&s=19
অনেক সুন্দর পরামর্শ প্রদান করেছেন আপনি। বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর ব্লগ দেখে। আমরা যে যত বেশি টাটকা ফরমালিনমুক্ত শাকসবজি ফলমূল খেতে পারব তত আমাদের শরীরের জন্য ভালো হবে। তবে একটা বিষয় কেমন লাগলো আপনি তো ভেরিফাইড ব্লগার ছিলেন তো পূর্বে আজকে কেন জানি গেস্ট আকারে দেখছি। তবে যাই হোক অসাধারন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনার যুক্তিগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো, এটা যদিও ঠিক আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য প্রয়োজন তবে ফরমালিন মুক্ত খাবার সবসময় আমাদের খোঁজ করতে হবে। এবং আপনি যেই টিপসগুলো শেয়ার করেছেন এগুলো এপ্লাই করলে আমার মনে হয় আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভালো ভালো খাবার নির্বাচন করতে পারব।