### আসালামালাইকুম

আমি আজকে প্রথম একটি নাটক রিভিউ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম। এটি হলো আমার সর্বপ্রথম নাটক রিভিউ। আমি এর আগে কখনো নাটক রিভিউ করিনি। আশা করছি সঠিকভাবে নাটকটি রিভিউ করার চেষ্টা করব। আমি আজকে আপনাদের সামনে ছোট্ট একটি নাটক রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। প্রথমেই নাটকটি সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাদের সামনে ভাগ করে নিচ্ছি।।।

Image maker ^{canva by @steem-for-future}

নাটকটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য

নাম	মুচি থেকে ম্যাজিস্ট্রেট
অভিনয়ে	আপন, তুষার ,জীবন ,সাগর, পল্লবী ,দীপ্ত ,অর্জুন
ধরন	শিক্ষামূলক নাটক
আর্টিস্ট	রোহান ইসলাম রাব্বি
এডিট	শুভ দাস
পরিচালনায়	শুভ দাস
লেভেল	ডিএস ফিল্ম
প্রোডাকশন	রেড হার্ড
দৈর্ঘ্য	১৩.৪১স

নাটকটি সারসংক্ষেপে

দুই বান্ধবী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি বান্ধবীর জুতা ছিড়ে যায়। সুতরাং সে জুতা সেলাই করার জন্য একজন মুচির কাছে যাই। মুচির কাছে যাবার পর অনেক ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। প্রথমেই তার অহংকার বান্ধবী ছোট্ট ছেলে মুচির কাছে যাবার পর অসহনীয় আচরণ করে যেটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। তবে সে ক্ষেত্রে তার প্রথম বান্ধবী এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছিল এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে মুচিরাও মানুষ এবং তাদের সাথে এমন ব্যবহার করা ঠিক নয়। কিন্তু তার অহংকারী বান্ধবী এ বিষয়ে অবহেলা করে।

এক পর্যায়ে এসে তার বান্ধবী ছোট্ট ছেলেটি কে অনেক মারধোর করে। এবং তার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তার গায়ে হাত তুলে। বিষয়টি দেখে তার বড় ভাই দীপ্ত দ্রুত এগিয়ে আসে এবং সেই অহংকারী বান্ধবীর বিরুদ্ধে একশন নেয়। পরে তার অহংকার বান্ধবী ঘটায় অন্য আরেকটি ঘটনা।

মুশির বড় রাগ সহ্য করতে না পেরে অহংকারী বান্ধবীর গায়ে হাত উঠাই এবং পরবর্তীকালে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

অহংকারী বান্ধবী তার বয়ফ্রেন্ডকে ফোন করে ডাকে এবং দীপ্তকে অনেক বকাবকি এবং মারে। পরে দিপ্ত এবং তার সহকারীরা সকলে মিলে ভুল স্বীকার করে এবং তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরের দীপ্তর করবে না বলে তোর ছোট ভাই এবং তোকে লেখাপড়া করতে হবে এবং তোদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। সুতরাং সে ক্ষেত্রে দীপ্ত লেখাপড়া শুরু করে এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বেশ কিছুদিন অহংকারী বান্ধবীর পাশে যে বান্ধবী ছিল সে দীপ্ত সাথে দেখা করে এবং বেশ কিছু আলাপ করে। আলাপ করা শেষে তারা দুজনে দুদিকের চলে যায় এবং তাদের মধ্যে একটু ভাব বিনিময় হয়ে যায়।

এদিকে অহংকারী বান্ধবী এবং তার বয়ফ্রেন্ড ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করে এবং একটা রেস্টুরেন্ট খুলে। যেখান থেকে তারা অর্থ ইনকাম করছেন তার পরেও তারা খুশি না। তারা অনেক লোভী ছিল এবং অন্য আরেকটি রেস্টুরেন্ট খোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এদিকে 15 বছর পর দীপ্ত লেখাপড়া শেষ করে এবং একজন বড় ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে যাই। এবং তার ছোটভাই ফুড নিরাপত্তা হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেট এর সরকারি চাকরি পাই। সে ক্ষেত্রে তারা সকলেই অনেক খুশি ছিল।

এখন দীপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট এবং তার ছোটভাই খাদ্য নিরাপত্তা বাহিনীর একজন রক্ষী। দীপ্ত তার গার্লফ্রেন্ড এবং তার ছোটভাই সাথে তার পূর্বের বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে এবং তাদেরকে জানাই তাদের ঋণ কখনো শোধ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন মত এবং আলোচনা শেষে তারা খাবার অর্ডার করে।

ওয়েটার এসে তাদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করে। তবে সে ক্ষেত্রে ঘটে আরো বড় ধরনের সমস্যার। ফুড নিরাপত্তা করার জন্য দীপ্তর ছোট ভাইকে রাখা হয়েছিল এবং দীপ্ত ছোট ভাই যখন খাদ্য পরীক্ষা করছিল তখন সেখানে খাদ্যের মধ্যে ভেজাল ছিল।

দীপ্ত যখন মেজিস্টেড তখন সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেয়। খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার জন্য ওয়েটারকে বলে তোমার মালিক কে ফোন। যখন দীপ্তর অহংকারী সেই ম্যাডাম এবং হোটেলের মালিক এসে উপস্থিত হল তখন রীতিমত তারা অবাক হয়ে গিয়েছিল। দীপ্ত কে তারা চিনতে না পেরে চলে যেতে বলে এবং অবশেষে খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে ছোট ভাই হোটেলের মালিক কে অপমান করে এবং তাকে দীপ্তর পুরো বিষয়টি খুলে বলে।

পরে এই অসামাজিক কাজের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয় কিন্তু দীপ্ত অর্থাৎ কখনো এটা মেনে নেয়নি। সুতরাং হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং খুব বড় মাপের একটা শাস্তি দেওয়া হয় হোটেল মালিক কে।