Lifestyle: কৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা ক্ষুদ্র উপকার করলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
photocollage |
---|
আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।
মাঝে মাঝে কিছু আনন্দ আসে এবং নিজেকে মহৎ মনে হয় ছোট কাজের মাধ্যম দিয়ে। আসলে আপনি মাঝে মাঝে দেখবেন সামান্য উপকার করবেন এবং মানুষগুলো আপনার প্রতি এমন ভালোবাসা দেখাবে কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে আপনি তা কখনোই কল্পনা করতে পারেন না।।
বিকেলে ঘুরতে বের হওয়ার মুহূর্ত |
---|
তখন সময় বিকেল তিনটা। পুরো দিন রোদ ছিল না এবং প্রায় কুয়াশা হয়েছিল আমাদের গাজীপুর শহর। আমি দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম এবং খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইরের ঘুরতে বের হব এমন উদ্দেশ্য নিয়ে চলে গেলাম।
তবে হঠাৎ করেই আমি দেখলাম আমার পাশের বাসার জাকিরুল নামের একটি ছেলে তার হাতে একটি বাংলাদেশের পতাকা ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম পতাকাটি সে কোথায় পেয়েছে এবং সে আমাকে বলেছিল সে পতাকাটি কিনেছে।
যদিও ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন তারপরেও যখন আমি তার হাতে পতাকাটি দেখেছিলাম এবং তাকে পতাকাটি কেনার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছিলাম সে অনেক খুশিতে জোরে উচ্চস্বরে হাসিয়ে দিয়েছিল যা দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে।
পতাকাটি বাধতে সাহায্য করার সময় |
---|
সে প্রায় আমার চোখের সামনে বেশ কিছুক্ষণ সময় পতাকাটি আকাশে উড়ানোর জন্য চেষ্টা করছিল। আমিও তাকে সাহায্য করবো বলে চিন্তা করছিলাম এবং তবে আমি তাকে সাহায্য না করে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পর সে আমাকে তোতলা সুর ে পতাকাটি বেঁধে দেওয়ার জন্য বলেছিল। আমি প্রথমে না বলেছিলাম কিন্তু তার অনুরোধে আমি পুনরায় পতাকাটি আকাশে বেঁধে ওড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম।।
পতাকাটি যখন আকাশে উড়ছিল |
---|
অবশেষে যখন পতাকাটি ওই আকাশে হালকা বাতাসে দুল ছিল তখন যেন তার খুশির আর শেষ ছিল না।
সে অনেক আনন্দে চিৎকার করে গান গাইছিল যদিও সে তোতলা ছিল। তার গান গাওয়া দেখে আমরা সকলে জোরে উচ্চস্বরে হেসে ছিলাম এবং আশেপাশের সকলেই বেশ আনন্দিত হয়েছিল।
আসলে মাঝে মাঝে আমাদের সমাজে আমরা মানুষকে উপকার করলেও সেই উপকারের কোন মর্যাদা কিংবা সম্মান পায় না। তবে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে আমি সাহায্য না করে শুধুমাত্র সামান্য একটু পতাকাটি বাধ্যতে সাহায্য করেছিলাম এবং তাতেই সে এত খুশি হয়েছিল যে সেই খুশির কোন সীমা ছিল না।
আসলে আমি মনে করি পৃথিবীতে যারা এমন প্রতিবন্ধী কিংবা অসহায় মানুষ রয়েছে তাদেরকে সাহায্য করলেই তারা এত আনন্দিত হয় এবং তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
একটা কথা বলে থাকি কিছু কিছু হাসি রয়েছে যার মূল্যায়ন অনেকেই করতে জানেনা। তবে সব সময় সে হাসি গুলো দেখা যায় না সামান্য কিছুর মধ্যে আবার পাওয়া যায় সে মহামূল্যবান হাসি যা লাখ টাকা দিয়েও কেনা যায় না। আসলে আমরা যখন একজনের মুখে হাসি ফোটাতে পারি বা হাসি দেখতে পারি তার মধ্যে রয়েছে অন্যরকম ভালো লাগা। তবে সেই হাসিটা হতে হবে সেই কর্ম এবং মানুষের মাঝ থেকে পাওয়া যেটা মানুষের মধ্যে প্রশান্তি জাগাতে পারে। ঠিক আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে তেমন একটা অনুভূতি জাগ্রত হল।
একদম ঠিক বলেছেন। কিছু কিছু হাসি আছে যার দাম লাখ টাকার থেকেও বেশি। সেগুলো সহজে পাওয়া সম্ভব না। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/Akash02671928/status/1742241298319581648?t=VMHPpXOdoSxCqUICnDY_9w&s=19
আসলে এমন প্রতিবন্ধীদেরকে আমাদের সহানুভূতি দেখানো ও কাজে সাহায্য করা দরকার। ওরা অল্প কোন সাহায্যেই পেলেই অনেকটা খুশি হয়ে যায়।ছেলেটি হাতে পতাকা নিয়ে সত্যি ভুবন ভুলানো হাসি হাসছেন যা খুব সুন্দর ফুটেছে ফটোগ্রাফিতে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এরাই প্রকৃত কৃতজ্ঞকারী। সামান্য উপকার করলেই এরা অনেক খুশি হয়ে যায়। সত্যিই এদেরকে উপকার করতে পারলে নিজেরও অনেক বেশি আনন্দ লাগে।