বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা । ১০% 🦊
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কে স্বাগতম @amarbanglablog এ আমার পক্ষ থেকে আমি @steem-for-future 🇧🇩।
আশা করি সকলে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সবসময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং। আমি আজকে আমাদের গ্রামের বৃষ্টির অভাবে যে নাজেহাল অবস্থা সেই বিষয় সম্পর্কে জানাতে অনেক অনেক আগ্রহী। চলুন শুরু করা যাক।
ইতিপূর্বেই আপনাদেরকে অবগত করেছিলাম যে আমি পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করার জন্য আমার দেশের বাড়িতে বেড়াতে যাই।
যাইহোক অনেকদিন পর দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অনেক আনন্দ এবং উপভোগ করি। পরিবারের সকলের সাথে ঈদ উদযাপন করার পর প্রায় ঈদের দুই দিন পার হয়ে গেছে। ঈদ পার করার পরে আমি হঠাৎ একদিন দুপুরবেলা বন্ধুর বাসায় বেড়াতে যাই এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে অনেক জোরে জোরে চিল্লাচিল্লি করছিল। আমি খুব দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে এসে দেখতে পেলাম অনেকগুলো পোলাপান একসঙ্গে অনেক অনেক গায়ে কাঁদা নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াতে।
পরে আমি আমার বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারলাম তারা পানির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আবেদন করছে যেন খুব দ্রুত সৃষ্টিকর্তা পানি দেয়।
নাজেহাল অবস্থা গ্রামের
বিশেষ করে এখন মৌসুমী ফসল ঘরে তোলার সময়। তবে এই আষাঢ় মাসে এখন পর্যন্ত একটি দিন আমাদের গ্রামে কিংবা আমাদের এলাকায় পানি হয়নি। ফসলি জমি গুলো উত্তপ্ত হয়ে গেছে এবং মাটি ফেটে সকল ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মূলত গ্রামের এই নাজেহাল অবস্থা দূর করার জন্য গ্রামের ছেলে মেয়ে গুলো সৃষ্টিকর্তার কাছে কাদার মধ্যে গড়াগড়ি করে পানির জন্য আবেদন করছিল।
গ্রামের এই ছেলেগুলো প্রতিটি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল এবং পানির জন্য আবেদন করছিল। তারা প্রতিটি বাড়ির গেটে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বুলি বলছিল এবং বাড়ির ভিতর থেকে আমাদের মায়েরা অথবা বোনেরা এক বালতি পানি এনে তাদের গায়ে দিয়েছিল এবং তারা এ কাদার মধ্যে গড়াগড়ি করছিল। বিষয়টি দেখে একদিকে আমার যেমন আনন্দ লাগছিল অপরদিকে খুবই খারাপ লাগছিল তাদের প্রতি। তারা গ্রামের ফসল বাঁচাতে এবং গ্রামের মানুষ গুলোর যাতে বৃষ্টির অভাব পূরণ হয় সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে এভাবে প্রার্থনা করছিল বিষয়টি দেখে সত্যি আমার অনেক অনেক ভালো লাগছিল।
অপরদিকে আমার ছোট্ট একটি ভাই দেখছিলাম বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাল সংগ্রহ করছিল এবং তারা সকলে মিলে এই পানি মানত করা শেষ হলে একসঙ্গে সকলে মিলে কিছু রান্না করে খাবে এটাই তাদের ছিল প্রত্যাশা। অর্থাৎ তারা প্রতিটি বাড়ি থেকে চাউল সংগ্রহ করছিল এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে পানি চাওয়া শেষ করে তারা সকলে একত্রিত হয়ে ছোট্ট একটা অনুষ্ঠান করবে এটাই ছিল তাদের মনের আশা।
বিষয়টি থেকে শিক্ষা ও সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের সকলের প্রার্থনা।
বিষয়টি আমার কাছে খুবই একদিকে যেমন ভালো লেগেছে অপরদিকে খারাপ লাগার বিষয়। মূলত গ্রামে বৃষ্টির অভাবে সকল ফসলি জমি উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং সকল ধরনের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সকলে মিলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া এবং আকুল আবেদন এই যে সৃষ্টি কর্তা যেন আমাদেরকে তার নিয়ামত বৃষ্টি বর্ষণ করে এবং আমাদের ফসলি জমিগুলো পূর্বের মতো সবুজ এবং সমৃদ্ধ করে দেয় এবং কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে পারে এটাই সকলের প্রত্যাশা।
Photography | original |
---|---|
Blogger and photographs | @steem-for-future |
Device | Samsung galaxy f22 |
Edit | Adobe Photoshop express |
Location | bangladesh |
W3W | whats3world |
খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে আসলেই বর্তমান সময়টা খুবই কঠিন সময় যাচ্ছে মানুষের জন্য। চারদিকে শুধু গরম আর গরম এরই মধ্যে গ্রামবাসী যখন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে তখন দেখে আসলেই খুবই ভালো লাগছে। সবার মনের হাহাকারগুলো কেটে যাক খুব সহজে।
বিষয়টি শুধু গরম বলে কথা না। আমাদের এলাকার চাষীদের অবস্থা একদম খারাপ। বৃষ্টির জন্য সকল ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে পানির জন্য আবেদন।
পাশে থাকার জন্যপাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
আপনার পোস্টটি থেকে অনেক কিছু শিখতে পারলাম।বর্তমান সময়টি অনেক খারাপ একটি সময় যাচ্ছে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য। সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামবাসী তাই পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। বিশেষ করে সাধারণ কৃষকদের প্রতি বিষয়টি খুবই কড়া ভাবে প্রভাব ফেলছে। কৃষকদের এমন কষ্টের সময় অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত এবং সৃষ্টি কর্তার কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
দোয়া রাখবেন
এই ধরনের দৃশ্যগুলো আগে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে খুব বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যেত কিন্তু বর্তমান সময়ে এগুলো আর তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না। ছোটবেলায় হয়তো বা আমিও একবার বৃষ্টির জন্য এইভাবে প্রার্থনা করেছিলাম।
কিছু কিছু জিনিস আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেও চির অমর হয়ে থাকে। তবে আমাদের গ্রামের ছেলেগুলো ঐতিহ্যটা ধরে রাখতে পেরেছে বলে অনেক অনেক ভালো লাগছে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
এগুলোর আগে গ্রামে খুব দেখা যেতো তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এসবও খুব একটা দেখা যায় না। আপনার পোস্ট দেখে সেই পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো।