ঈদের প্রথম শপিংয়ের ব্যস্ততা
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আমি আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে ঈদের প্রথম শপিংয়ের ব্যস্ততা নিয়ে ব্লগ শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। চলুন চমৎকার এই বিষয় নিয়ে আজকের ব্লগ পরিবেশন করা যাক।
মার্কেটে যাবার সময় প্রথম একটা সেলফি
ঈদের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ইনশাল্লাহ আগামী ১৭ তারিখে আমরা পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছি। আশেপাশের পরিবেশ অনেক গরম এবং মানুষ এখনই শপিং করা শুরু করে দিয়েছে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার হাতের অবস্থা একদম খারাপ। একদিকে সাপোর্ট না থাকার কারণে এবং অপরদিকে মার্কেটের অবস্থা একদম খারাপ হওয়ার ফলে মার্কেটে যাবার কোন ইচ্ছা ছিল না। তারপরেও সন্ধ্যায় আমি এবং আমার ছোট ভাই আবির মার্কেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। কারণ নিজের জন্য না হলেও পরিবারের জন্য কিছু শপিং করা প্রয়োজন এবং এটি সাধ্যের মধ্যে হলে আরো ভালো হয়।
তাই আমি এবং আমার ছোট ভাই আবির রাস্তার ভিতরে বের হয়েছিলাম সন্ধ্যায়। আমরা একটি অটো রিক্সা নিলাম এবং রিস্কা করে আমরা গাজীপুরের স্বনামধন্য শপিং কমপ্লেক্স চৌরাস্তায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে বিকেলে বৃষ্টি হওয়ার ফলে রাস্তার অবস্থা একদম খারাপ ছিল এবং আমাদের সেখানে যেতে বেশ বিরক্তি বোধ হয়েছিল। তাছাড়াও চৌরাস্তায় ফ্লাইওভার হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদেরকে বাস থেকে বেশ কিছুটা আগেই নেমে হেঁটে হেঁটে চৌরাস্তা শাপলা ম্যানসনে যেতে হয়েছিল।
দোকানগুলোতে কাস্টমারের আনাগোনা ও বিক্রির প্রচণ্ড চাপ
শাপলা ম্যানশন এর ভেতরে প্রবেশ করে আমরা রীতিমতো আশ্চর্য হয়েছিলাম। বিশেষ করে একদিকে প্রচুর পরিমাণে কাস্টমার অপরদিকে ভেতরে এতটা পরিবেশ গরম ছিল যা বলে বোঝানোর মত না।
তবে তারপরেও আমরা মার্কেটে শপিং করার জন্য প্রবেশ করলাম এবং আমাদের ভেতরের টিকে থাকা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। ভেতরে অনেকগুলো দোকান ভ্রমণ করি এবং এত মানুষের আনাগোনা ছিল যে মার্কেটের ভেতরে ভালোভাবে হেঁটে যাওয়ার মত কোন পরিস্থিতি ছিল।
পুরো মার্কেটের ভেতরে এত পরিমাণে ক্রেতা যে বিক্রেতার কাছে গিয়ে দাম জিজ্ঞেস করার মত ক্ষমতা ছিল না। বিশেষ করে মার্কেটগুলোতে সব থেকে বেশি মানুষ ছিল মহিলারা। কারণ যেহেতু তারা একটু সাজুগুজু করতে পছন্দ করে তাই তাদের পোশাকের কালেকশন ও তাদের আনাগোনা খুব বেশি ছিল।
তবে ভেতরে প্রবেশ করার পরে আমাদের অবস্থা একদম খারাপ হয়েছিল। আমি এমনিতেই একটু লাজুক মানুষ, মানুষের সামনে পোশাকের দাম দর করতে আমার একদম লজ্জাবোধ লাগে। তাই আমরা দুজন পুরো শপিং কমপ্লেক্সের এলাকা ঘুরেছিলাম এবং শুধুমাত্র কালেকশন গুলো দেখেছিলাম। কোন বিক্রেতাকে গিয়ে আমরা আমাদের পোশাকের পছন্দ কিংবা দাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার সুযোগটুকু পর্যন্ত পাইনি।
মোবাইল মার্কেটে গিয়ে একটি সেলফি
যেহেতু আমরা রাতে মার্কেটে গিয়েছিলাম তাই আমাদের শপিং করার কথা আমরা বাদ দিয়েছিলাম। এজন্য আমি এবং আমার ছোট ভাই শাপলা ম্যানসনের দ্বিতীয় তলায় গিয়েছিলাম এবং আমরা মোবাইল মার্কেট ভ্রমণ করেছিলাম।
একদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার এবং অপরদিকে প্রত্যেকটি ফ্যাক্টরিতে বেতন দেওয়া হয়েছে। মানুষ ঈদের খুশি উপভোগ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে শপিং করছে। বিশেষ করে মোবাইলের শোরুমগুলোতে অত্যন্ত কাস্টমারের আনাগোনা ছিল এবং প্রতিটি শো রুমে প্রচুর পরিমাণে ফোন বিক্রি ও এক্সচেঞ্জ হচ্ছিল।
আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় তাদের বেচাকেনা দেখলাম এবং আমি এবং আমার ছোট ভাই বাহিরে বের হয়ে আসলাম এবং আমরা ফুটপাত থেকে শপিং করার চিন্তা করলাম।
তবে ফুটপাতে এসে এর উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছিল। শপিং কমপ্লেক্সের ভেতরে যত মানুষ রয়েছে তার থেকে দ্বিগুণ মানুষ রয়েছে রাস্তার পাশের ভ্যান গাড়ি গুলোতে।
এখন আমি এবং আমার ছোট ভাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের আজকের মার্কেট অর্থাৎ শপিং করা এখানেই বন্ধ থাকলো। আমরা আগামী কোনদিন অন্য কোন মার্কেটে গিয়ে শপিং করব। কারণ একদিকে বৃষ্টি হয়েছে রাস্তার অবস্থা একদম ভালো না। তাছাড়াও মার্কেটে প্রচুর পরিমাণে কাস্টমার এবং আমার মনে হচ্ছিল এই মার্কেটে আমরা কোন পোশাক কিনে শান্তি পেতে পারি না । তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম অন্য কোন মার্কেটে গিয়ে আমাদের ঈদের শপিং করব।
একটি অটো রিস্কা নেওয়ার পর আমি এবং আমার ছোট ভাই আবারও বাসায় ফিরে আসার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম। এরপর আমরা আবারও বাসায় ফিরে আসি এবং এখানে আমাদের ঈদের শপিংয়ের প্রথম দিনের ব্যস্তময় দিন অতিক্রম হয়েছিল। যদিও আমরা শপিং করতে ব্যর্থ তবে তারপরেও ঈদের এই শপিং আনন্দ মনে রাখার মত একটি স্মৃতি তৈরি করে।
যেহেতু এখন সামনে ঈদ রয়েছে এবং বিভিন্ন উৎসব আয়োজন করা হবে, তাই আপনিও আপনার শপিং কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। তবে অবশ্যই ঈদের একটা শপিং এর পোস্ট সফলভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ। ততক্ষণ সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1799487586018492660?t=SxpL2B_shsMNrC_IW29YWQ&s=19
ঈদের শপিং নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আসলে এই মুহূর্তটা সকলের জন্য বেশ ব্যস্ততম মুহূর্ত। যে যার কাজে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যাইহোক আপনার সুন্দর এই পোস্ট করার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু কিন্তু জানার সুযোগ হয়েছে। হ্যাঁ ভাই ঈদের চাঁদ দেখা গিয়েছে ১৭ তারিখে ঈদ হবে। আর এটা জেনে খুশি হবেন ইতোমধ্যে আমিও আমার জন্য একটা টি-শার্ট কিনে ফেলেছি। যাই হোক বিস্তারিত ভালো লাগলো ভাই।