আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ, সবাইকে শুভ সকাল। আশা করছি সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। সবার ই সুস্থ সুন্দর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে আমি শুরু করতে যাচ্ছি আমার আমার আজকের ব্লগিং

প্রথমেই আমি স্মরণ করতে চাই আমাদের #amarbanglablog এর শ্রদ্ধেয় ফাউন্ডার প্রিয় দাদা @rme কে প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে diy-এসো নিজে করি সপ্তাহ কে ঘোষণা করার জন্য। কেননা আমরা সকলে আমাদের ক্রিয়েটিভিটি এখানে প্রকাশ করতে পারবো এবং আমাদের তৈরি করা জিনিস গুলো এবং আমাদের প্রতিজভা গুলোকে খুব সহজেই এই প্রজেক্ট এর মাধ্যমে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারি।

বন্ধুগণ
আমি আজ তোমাদের সামনে আমার একটি ক্রিয়েটিভ জিনিষ নিয়া আলোচনা করব। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর একটি মৌমাছিএর চিত্র অঙ্কন করতে সক্ষম হয়। আমি মনে করি আমার এই সামান্য ক্রিয়েটিভ এর মাধ্যমে আমি আগামীতে আলোর পথ দেখতে পাব এবং আগামী আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করতে পারি।।

আমার নিজের হাতে তৈরি করা মৌমাছি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

আমি এই মৌমাছিদের চিত্র অঙ্কন করতে বেশ কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উপকরণ নিচে দেওয়া হল

• পার্মানেন্ট মার্কার পেন
• স্কেল
• বারো রকমের রং পেন্সিল
• খাতা
• মার্কার পেন
• কলম
  ( -)

- সাথে আমার ক্রিয়েটিভ চিন্তা ধারা।

তাহলে চলো বন্ধুরা দেরী না করে এবারে দেখানো যাক আমি কিভাবে একটি মৌমাছির চিত্র অঙ্কন করলাম এবং সেটি খুব সুন্দর করে রং পেন্সিল এর মাধ্যমে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।।

ধাপ 1

প্রথম ধাপে আমি একটি সাদা খাতার উপরে একটি গোল বৃত্ত আঁকলাম জেঠিমা মাসের মাথায় হিসেবে স্বীকৃতি দিলাম। তারপর আমি মৌমাছির নিচের অংশ তৈরি করলাম।

ধাপ -২

এবার আমি মৌমাছির পাখা অংক করলাম। কেন পাখা ছাড়া মৌমাছি কখনোই চলতে পারে না। সুতরাং আমি মৌমাছির পাখা অংকন করলাম।

ধাপ -৩

মৌমাছির পাখা অঙ্কন করা শেষ হলে আমি মৌমাছির ষুড় অংকন করলাম। যেটি মৌমাছি তাদের এর আত্ম রক্ষার কাজে ব্যবহার করে থাকে।

ধাপ ৪

মৌমাছি যখন অংক করলাম এখন মৌমাছিকে তো দেখার জন্য চোখ দিতে হবে। সুতরাং এবার আমি মৌমাছির দুইটা সুন্দর চোখ অঙ্কন করলাম।

ধাপ -৫

শুধু সুখ অংকন করলে কি চলে?? চোখ থাকলে মানুষ দেখতে পাই না.। ঠিক তেমনি সকল প্রাণীর ক্ষেত্রে। সুতরাং আমি চোখের দৃশ্য আঁকার সাথে সাথে চোখের মনি অংক করলাম যেন মৌমাছিটি খুব সুন্দর করে সবকিছু দেখতে সক্ষম হন।।।

ধাপ ৬

এবারে আমি মৌমাছির নাক এবং নাকি আশেপাশের ধারালো অঙ্গগুলো তৈরি করলাম। সেগুলো মৌমাছির প্রধান বৈশিষ্ট্য বহন করে।

ধাপ ৭

||মৌমাছির চিত্র|

ধাপ ৮

আমি প্রায় সকল পর্যায়ে মৌমাছি আঁকা শেষ করলাম। আমার চিত্রাঙ্কন শেষ হয়ে গেছে। শুধু চিত্রাংকন শেষ করলে চলবে না। এবার আমাকে পর্যায়ক্রমে খুব সুন্দর করে এই মৌমাছির চিত্রকে রং মাখাতে হবে। সুতরাং আমি রং মাখাতে শুরু করলাম।।

ধাপ ৯

আমি সর্বপ্রথম মৌমাছির মুখমন্ডল রং করলাম। যেহেতু মৌমাছি দেখতে হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে সুতরাং আমি মৌমাছির পুরো শরীরে হলুদ রং রাখলাম।

ধাপ ১০?

ধাপ ১০

আমি সর্বশেষ ধাপে পর্যায়ক্রমে আমার সমস্ত চিত্র অংকন গুলোকে রাখছিলাম। আমার মনের মতো করে আমি প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রং আখছিলাম। কেননা প্রত্যেকটি মানুষের মনের রঙ আলাদা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। সুতরাং আমি মনের মত করে আমার মৌমাছি টিকে রূপ দিতে সক্ষম হলাম।
|

আর এই হল আমার সর্বশেষঃ আমার প্রজেক্ট এর মৌমাছি চিত্র অঙ্কনের এর সমস্ত দৃশ্য।

w3w

https://w3w.co/mulls.rudder.spindles
সর্বশেষ চিত্রটির মাধ্যমে আমি যে প্রকৃতপক্ষে এই মৌমাছি অংকন করেছি তার প্রমান সহ একটি সেলফি দিয়ে দিলাম। যেটি আমাদের এই প্রজেক্ট এর একটি নীতিমালা ভিতরে পড়ে। সুতরাং আমার ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করার জন্য আমার সুন্দর এই মৌমাছি চিত্রের সাথে আমার একটি সুন্দর সেলফি সংযুক্ত করলাম।