#chaildhoodmemory: শৈশবের গল্প: মাছ ধরার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের স্মৃতি ও মাছ ধরার অনুভূতি নিয়ে একটি গল্প শেয়ার করতে চাই। আমি আশাবাদী আমার আজকের এই গল্প আপনাকে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। শৈশবের গল্প উপভোগ করতে পড়তে থাকুন।
সকলের শৈশবের মত আমারও একটি চমৎকার শৈশব ছিল। আমি আমার যৌবন কাল অপেক্ষা শৈশবে স্মৃতিগুলো এখনো বেশ মিস করছি। কারণ প্রত্যেক মানুষের জীবনে শৈশবে যে সকল দিনগুলো ফেলে আসে সেগুলো বেশ স্মৃতিময় ও মধুময় হয়ে থাকে।
ঠিক আমারও একটি চমৎকার শৈশবের গল্প রয়েছে এবং তার মধ্যে অন্যতম হলো শৈশবে বরশি দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতি। ছোটবেলায় আমি বরশি দিয়ে অনেক মাছ ধরেছি এবং সেগুলোর অনুভূতি সত্যি অনেক আনন্দ ও মধুময় ছিল। প্রতিনিয়ত আমি বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম এবং আমার মাছ ধরতে অনেক বেশি ভালো লাগতো।
ঘুম থেকে ওঠার পরেই হাতে বরশি আর বোল্লা টোপ ব্যবহার করে আমি মাছ ধরতে যেতাম। মাঝে মাঝে যখন আমি মাছের খাবার সংগ্রহ করতে গ্রামের আখ এর জমিতে যেতাম তখন বোল্লা আমাকে মাঝে মাঝে কামড় দিত এবং আমার চোখ ফুলে যেত। তখন ভয়ের কারণে আমি পরিবারের মানুষের সাথে দেখা করতাম না এবং সারাদিন মাছ ধরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতাম ।
কোন কোন দিন মাছ ধরতে গিয়ে আমি অনেক বেশি মাছ পেতাম এবং সেই দিন ছিল অনেক আনন্দদায়ক একটি দিন। কারণ পুরো দিন পরিশ্রম করার পর দিনশেষে যখন আমি অনেকগুলো মাছ ধরতে পারতাম তখন আমার অনেক বেশি আনন্দ লাগতো এবং পরিবার আমাকে দেখে খুশি হত।
আবার এমনও দিন গেছে যে সকল দিনগুলোতে আমি কোন মাছ ধরতে পারতাম না। সারাদিনে হয়তো সামান্য কিছু মাছ থাকতো আমার ব্যাগে এবং মাছগুলো নিয়ে বাসায় ফিরতে আমার অনেক খারাপ লাগতো। কারণ সারাদিন অতিক্রম করার পর সামান্য এই মাছগুলো পরিবারের সামনে দেখলে আমার মনের ভেতরে সত্যি অনেক একটা খারাপ লাগা কাজ করবে এটা ভেবে আমি লজ্জিত থাকতাম।
আমার অনেকগুলো বসে থাকতো। বিভিন্ন বরশিতে বিভিন্ন রকমের মাছ ধরার যন্ত্র ব্যবহার করতাম। বিশেষ করে পুটি মাছ ধরার জন্য সবথেকে ছোট বড়শি, কই মাছ ধরার জন্য মিডিয়াম সাইজের পড়শী ও শোল মাছ ধরার জন্য সবথেকে বড় বড় ব্যবহার করতাম। তবে বিভিন্ন মাছ ধরার ক্ষেত্রে আমি মাছের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করতাম এবং তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, পাউরুটি, আমড়াই, বোল্লার টোপ ইত্যাদি খাদ্য আমি মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করেছি।
তবে আমি সব থেকে কৈ মাছ ধরতে বেশি ভালবাসতাম। কারণ কৈ মাছ খেতে অনেক টেস্টি এবং এটি একটি দামি মাছ। তাই আমি সব সময় কৈ মাছ ধরার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতাম।
বর্ষার শুরুতেই যখন মাঠে নতুন পানি আসে তখন আমি কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। কারেন্ট জাল দিয়ে যখন আমি মাছ ধরতে যেতাম তখন পানিগুলো একদম সাদা এবং সাদা পানিতে চমৎকার সুন্দর সুন্দর দেশীয় মাছ ধরতাম। আমি কারেন্ট চাল দিয়ে অনেক বেশি মাছ ধরতে ভালবাসতাম এবং এটি খুব সহজ একটি পদ্ধতি ছিল মাছ ধরার জন্য।
বিকেলে বন্ধুরা মিলে আমরা একটি দলবদ্ধভাবে মাছ ধরতাম। কে কত বেশি মাছ ধরতে পারে সেই বিষয় নিয়ে আমাদের বেশ প্রতিযোগিতা ছিল। মাঝে মাঝেই আমি হেরে যেতাম। কারণ আমার থেকে আমার অন্যান্য বন্ধুরা মাছ ধরায় বেশ পারদর্শী ছিল। তবে তারপরেও আমি এই মাছ ধরা খেলায় অংশগ্রহণ করতাম এবং বিকেলে মুক্ত স্থানে মুক্ত পানিতে মাছ ধরার আনন্দ বেশ ভালো লাগতো।
তাছাড়াও আমি রাত্রে বাঁশ দিয়ে তৈরি একপ্রকার বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে কাঠি ও টর্চ লাইট ব্যবহার করে মাছ ধরতে যেতাম। এই প্রক্রিয়ায় মাছ যখন রাত্রে বিশ্রাম করার জন্য পানির একদম কাছে আসতো তখন আমরা টর্চ লাইট দিয়ে সেগুলো দেখতাম এবং মার ধরতাম। এটি ছিল মাছ ধরার একটি দিনের সর্বশেষ কার্যক্রম।
আর এভাবেই আমি আমার শৈশবের স্মৃতিগুলো বেশ আনন্দদায়ক এবং মধুময়ভাবে উপভোগ করতাম। আমি আশাবাদী আপনাদের ও শৈশবের চমৎকার স্মৃতি রয়েছে এবং সেগুলো আপনারা এখনো বেশ মিস করেন। চাইলে আপনি আপনার শৈশবের স্মৃতিগুলো আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আমরা আপনার শৈশবের স্মৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/steemforfuture/status/1809061565968363635?t=yCEmKS9JyOnub0SHy_o4Ew&s=19