#natok REVIEW: ভুল

^{ক্যানভা}

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকি সে কারণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি চমৎকার নাটক রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। নাটকের নাম ভুল । আশা করছি আজকের এই চমৎকার রিভিউ আপনাদের ভালো লাগবে। সকলে উপভোগ করতে থাকুন ভুল নাটকের রিভিউ।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

নাটকের শুরুতেই আমরা নাটকের প্রধান অভিনেত্রী পারসা ইভানা ও মুশফিক ফারহানকে একটি রেস্টুরেন্টে কথোপকথন করতে দেখি। নায়িকা তার প্রয়োজনীয় ব্যাগ একটি স্থানে রেখে দিয়েছিল কিন্তু মুশফিক এর উপর রাগান্বিত হয়েছিল এমনিতেই। নাটকের শুরু হয়েছিল একটি ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যম দিয়ে। কিন্তু অবশেষে তাদের সমস্যা মিটে গিয়েছিল এবং তাদের সিদ্ধান্ত হয়েছিল তারা পারসা ইভানা বাবার কাছে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবে এবং একে অপরের পরিবারের মাধ্যমে বিয়ের সিদ্ধান্ত পাঠাবে।।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

কথোপকথন শেষ করে পারসা ও ফারহান তাদের বাসায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং তারা রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করে। রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করার পর ফারহান রাস্তার ভিতরে এক বাজে মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিল। যদিও ফারহান তার সাথে যেতে রাজি ছিল না তবে তার পরেও মেয়েটি তাকে নামিয়ে যেতে চাইছিল না। অবশেষে ফারহান ওই মেয়েটিকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়েছিল এবং সে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু এখানে একটি ভুল বুঝানো হয়েছিল। পারসা ইভানা এর বাবা পুরো বিষয়টি দেখেছিল এবং দূর থেকে দেখে বিষয়টি ভুল বুঝেছিল।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

পরের দিন ফারহান পারশাদের বাসায় গিয়েছিল। কিন্তু ওই রাতের ঘটনা পারশা এবং তার বাবা উপলব্ধি করতে পেরেছিল এবং ফারহানকে দেখে শুধুমাত্র সি সি করতে শুরু করেছিল। এদিকে পার্শা ফারহানের জন্য নাস্তা আনতে গিয়েছিল এমন সময় ফারহান কে পারসার বাবা অপমান করেছিল এবং ফারহান খুব দ্রুত তাদের বাসা ত্যাগ করেছিল।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

পারসা ফারহানের পরের দিন রেস্টুরেন্টে পুনরায় সাক্ষাৎ হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পারসা বুঝতে পেরেছিল ফারহানের এ বিষয়ে কোন দোষ ছিল না এবং ফারহান নির্দোষ। কারণ ইতিপূর্বেই ফারহান তার গার্লফ্রেন্ড এর কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেছিল।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

পরের দিনের কাহিনী আরও বেশি হাস্যকর ছিল। পারসার বাবা ফারহানকে পছন্দ করেছিল এবং সে কেমন ছেলে সেটা পরীক্ষা করার জন্য ফারহানকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা করেছিল। ফার্মেসিতে এবং পাশাপাশি আশেপাশের লোকাল স্থানগুলোতে ফারহানের পিছু লেগেছিল পার্সার বাবা। অবশেষে পুলিশ দেখেছিল এবং এমন কর্মকাণ্ডের জন্য পারসার বাবাকে সতর্ক করে দিয়েছিল।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

পরের দিন পারসার বাবা মেয়ে সেজে একটি মহিলা টয়লেটে প্রবেশ করেছিল এবং একজন মহিলা বুঝতে পেরেছিল এবং চিৎকার করার পর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অনেক মারধর করেছিল।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

পরের দিনের ঘটনা, ফারহান ও তার গার্লফ্রেন্ড এর মাঝে আবারও কথোপকথন হলো। ফারহানকে কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এবং এমন কাজ করতে বলা হয়েছিল যাতে তার বাবা ফারহানের সাথে তার বিয়ে দিতে রাজি হয়। যেহেতু পরের দিন তার বার্থডে ছিল তাই এলাকার ছোট ভাইদের কাছে কিছু সাহায্য চেয়েছিল ফারহান। কিন্তু ফারহানের বন্ধুরা পার্সার বাবাকে কেক দিয়ে পুরো শরীর মাখিয়ে দিয়েছিল এবং এই ঘটনাটি বেশ আনন্দদায়ক ও হাসিময় ছিল।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

যেহেতু সমস্ত ঘটনা ক্লিয়ার করতে পেরেছিল পার্সার বাবা সে কারণে ওই মেয়েটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। ফারহান কি সত্যিই ওই বাজে মেয়ের কাছে গিয়েছিল নাকি সে তার চোখে ভুল দেখেছে? সে কারণে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করেছিল এবং মেয়েটি সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে দিয়েছিল। পরবর্তীতে পার্সার বাবা বুঝতে পেরেছিল ফারহান তার মেয়ের জন্য একদম পারফেক্ট !

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

ওই খারাপ মেয়েটির সাথে কথোপকথন দেখে ফেলেছিল ফারহান। ফারহান দ্রুত তার গার্লফ্রেন্ডের কাছে গিয়েছিল এবং ওই বাজে মেয়ের ও তার বাবার একটি ভিডিও পারসার কাছে জমা দিয়েছিল। পারসা এই ভিডিওটি দেখে তার বাবাকে দেখে শুধুমাত্র চিৎকার করতে শুরু করেছিল। এবং তার বাবাকে ছি! ছিছি!! ছিছিছি!!! বলে তার বাবাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট}

কিন্তু পরের দিনের ঘটনা। পারসার বাবা পারশা ও ফারহান এক জায়গায় মিলিত হয়েছিল এবং সমস্ত ঘটনা একে অপরকে শেয়ার করেছিল। পরবর্তীতে সকলেই বুঝতে পেরেছিল আমাদের সকলের ভুল হয়েছে এবং আমরা একে অপরকে ভুল বুঝেছি। অবশেষে ফারহান ও পার্শাকে তাদের পরিবার মিলিয়ে দিয়েছিল এবং অবশেষে ফারহান ও পারসার ভালোবাসা সার্থকতা পেয়েছিল।

এখানে নাটকের নাম দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম নাটকটি ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে গিয়েছে। তবে শুধুমাত্র এই নাটকে নয়, আমাদের বাস্তব জীবনেও আমরা একটি বিষয় চোখ দিয়ে দেখি এবং যাচাই না করে সেই বিষয়ের উপর আমরা অ্যাকশন গ্রহণ করে থাকি। আসলে আমাদের চোখ সব সময় যা দেখে তা সত্য কিংবা তা সঠিক নাও হতে পারে। তাই সঠিকভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ করতে আমাদের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই যাচাই শব্দটি প্রয়োগ ঘটানো উচিত।।

নাটকটি দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ নাটকটিতে প্রচুর পরিমাণে বিনোদন লুকিয়ে আছে এবং চাইলে আপনার অবসর সময়ে বিনোদন পেতে চাইলে নাটকটি উপভোগ করতে পারেন।

১০/৯