#খাবার ও স্বাস্থ্য : খাদ্য খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ

Src

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে খাদ্য সম্পর্কিত একটি ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হয়েছি।

বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উপযোগী অধ্যায়। খাদ্য ছাড়া আমরা এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবো না কখনোই। পৃথিবীতে যতগুলো প্রাণী রয়েছে তাদেরকে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং সুষম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। তবে তার পরেও একটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখা উচিত আর তা হলো অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ক্ষতিকর দিক।

খাদ্য যেমন আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় অবদান রাখে ঠিক এর অতিরিক্ত প্রয়োগ আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ঝুঁকি। তাই আমাদের খাদ্য খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সঠিক সময় সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত।

Src

আমরা অনেকেই আছি খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অসতর্কতা অবলম্বন করি। বিশেষ করে সকালে খাদ্য অনেকেই গ্রহণ করি আবার অনেকেই গ্রহণ করি না। যারা সকালে খাদ্য গ্রহণ করি তারা টাইম অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না এর ফলে আমাদের পেটে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিক ছাড়াও আরো অন্যান্য পেটব্যথা সহ বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অনিয়মিতভাবে খাদ্য গ্রহণের ফলে। সুতরাং সকালের খাদ্য খাওয়ার গুরুত্ব আমাদেরকে অবশ্যই অবগত হওয়া উচিত।

সকালের নাস্তা আমাদের পুরোদিনের একটিভিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই আমরা সকালে পুরো পেট খেতে পারি তবে অবশ্যই আমাদেরকে এর সাথে সুষম ও ভিটামিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এরপর যে বিষয়টি লক্ষণীয় তাহলে প্রতিদিন একই সময় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এলোমেলো সময়ে খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের স্টমাকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের জমা হতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের উচিত সঠিক সময়ে সুষম খাদ্য গ্রহণ। আর অবশ্যই সকালে নাস্তা করার সময় ভিটামিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ যার ফলে আমাদের শরীরে সারা দিনের একটিভিটি যেন বজায় থাকে।

Src

দুপুরের খাদ্য কতটুকু গ্রহণ করব?

দুপুরের খাদ্য খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই কিছু কথা অবলম্বন করতে হবে। দুপুরের খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরের এনার্জি ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই দুপুরের খাবার পূর্ণ পেট খাওয়া যাবে না। পেটে কিছুটা অংশ ফাঁকা রাখতে হবে কারণ আপনি ইতিপূর্বে সকালের নাস্তায় পেট পূর্ণ করে খাদ্য গ্রহণ করেছেন।

তাই দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় পেটের একশতুর্থাংশ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। অর্থাৎ পেটের চার ভাগের এক ভাগ অংশ আপনাকে ফাঁকা রাখতে হবে।

বিশেষ লক্ষণীয় বিষয় যে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা কখনোই দুপুরের খাদ্য খাবার পর ঘুমোতে যাবেন না। যদিও শরীরে অলসতা আসে তবে তারপরেও দুপুরের খাবার খাওয়ার পর কখনোই ঘুমানো উচিত নয় এটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

Src

আমাদের অনেকেরই ধারণা আমরা সারাদিন যা খেয়েছি ইতিপুর্বে তা শক্তি প্রয়োগের ফলে শেষ হয়ে গিয়েছে। এর জন্য আমরা অনেকেই আসি রাত্রে পেট পূর্ণ করে খাদ্য গ্রহণ করি এবং আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। তবে এটি আমাদের পরিপূর্ণ ভুল ধারণা।

রাতে খাদ্য গ্রহণের সাথে সাথেই কখনোই বিছানায় যাওয়া উচিত না। খাদ্য গ্রহণের সর্বনিম্ন ১ ঘন্টা পর বিছানায় যাওয়া উচিত এবং রাতের খাবার কখনোই পূর্ণ পেট খাওয়া উচিত নয়। রাতের খাবার এমনভাবে খাওয়া উচিত যতটুকু না খেলে আপনি মৃত্যুবরণ করবেন। অর্থাৎ রাতের খাবার খাওয়ার সময় শুধুমাত্র সামান্য খাদ্য গ্রহণ করুন এবং এটি সন্ধ্যার পরেই অর্থাৎ রাত ৮ টার আগে শেষ করুন।

স্বাস্থ্য আমাদের সম্পদ। যেহেতু আমাদের জীবন খাদ্যের মাধ্যমে পরিচালনা হয়ে থাকে তাই খাদ্য গ্রহণের সঠিক নিয়ম ও সময় আমাদের অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। আসুন আমরা সঠিক সময় খাদ্য গ্রহণ করি এবং আমাদের নিজের স্বাস্থ্য কে সুন্দর রাখতে সাহায্য করি। ধন্যবাদ সবাইকে।