অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার এবং আমাদের কর্ম ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিরাপদ (পার্ট--২)
ফটোগ্রাফি | অরিজিনাল মোবাইল ফটো | ফটোগ্রাফার |
---|---|---|
@steem-for-future | ||
মোবাইল | স্যামসাং | মডেল |
A10S | ||
লোকেশন | বাংলাদেশ | ক্যাটাগরি |
অগ্নি নিরাপত্তা এবং আমাদের জীবন |
#আসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,,
শুভ সকাল।আজকে আবারও তোমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বলার জন্য।আর সেটি হলো আমাদের কর্ম ক্ষেত্রে ঝুঁকি কিংবা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য।
আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য অনেকেই অনেক সময় বিভিন্ন কল-কারখানা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনেকদিন যাবত কিংবা বেশ কিছুদিন যাবৎ কর্মরত আছে।কিন্তু আমাদের হয়তো অনেকেরই এ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নাই যে কিভাবে আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রের অগ্নিনির্বাপক ঝুঁকি নিরূপণ করতে পারে।
আমিও যদিও অতটা অভিজ্ঞ নয় তারপরেও আমার যতটুকু জ্ঞান আছে এবং সৃষ্টিকর্তা আমাকে যতটুকু বলার তৌফিক দেয় ইনশাল্লাহ আমি তোমাদের মাঝে ঠিক ততটুকুই বলার চেষ্টা করব।আশা করছি এই পোস্টটি তুমি যদি পড়ো হয়তো অবশ্যই তোমার কর্ম ক্ষেত্রে তুমি অবশ্যই অগ্নি নির্বাপক হিসেবে অল্প হলেও সচেতনতামূলক পোস্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে।
চলো শুরু করা যাক
অগ্নি নিরাপত্তা কি
আমরা আমাদের জীবনের এবং প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি এবং শিল্প কারখানায় কর্মরত আছে।এমন অবস্থায় যদি আমাদের ফ্যাক্টরিতে কিংবা কর্মক্ষেত্রে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে তবে সে দুর্ঘটনা থেকে আমরা যে ভাবে মুক্ত কিংবা উদ্ধার হতে পারে সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অগ্নি-নিরাপত্তা প্রক্রিয়া
চলো এবার তোমাদের একটি ধাপ দেখাব যে ধাপ এর সাহায্যে তোমরা খুব সহজেই অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারো
১ যদি কখনো আগুন লাগে তাহলে কখনো আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। সুন্দরভাবে ফ্লোর ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। ফ্লোর ত্যাগ করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। সবাই সারিবদ্ধ হয়ে পড়তেন করার চেষ্টা করতে হবে।
২ ফ্লোর ত্যাগ করতে গিয়ে যদি ফ্লোরে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া নির্গত হয় তাহলে ফ্লোরে শুয়ে শুয়ে ফ্লোর ত্যাগ করতে হবে। যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই গ্যাস মাক্স ব্যবহার করতে হবে
৩ যদি ফ্লোরে আগুন লাগে তাহলে ফ্লোরে যারা অগ্নি নির্বাপন এর দায়িত্বে আছে তারা অবশ্যই তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করবে।
যেমন তারা ফায়ার হাইড্রেন্ট বক্সের সাহায্যে এবিসি অথবা অন্য যে কোন হাইডেন্ট পাউডার এর সাহায্যে অগ্নি নির্বাপন এর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করবে
ফায়ার এক্সটিংগুইশার পাইপের সাহায্যে অবশ্যই পানি দ্বারা অগ্নিনির্বাপণ এর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যেতে হবে প্রতিনিয়ত
উপরের চিত্রে যে যন্ত্রটি দেখানো হয়েছে এটি হচ্ছে ফায়ার এলার্ম সুইস। আগুন লাগলে আমাদের অবশ্যই উচিত এই ফায়ার এলার্মটি বাজানো।কেননা এটি এমন একটি ফায়ার এলার্ম সুইচ গেট এর সাহায্যে পুরো ফ্যাক্টরি কিংবা পুরো রপ্তানিমুখী এলাকায় এই সংকেত এর মাধ্যমে বুঝতে পারবে আপনার ফোনে কিংবা আপনার ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগেছে। সুতরাং সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবে আপনার উচিত হবে অবশ্যই এই ফায়ার এলার্মটি বাজানো
আগুন লাগলে কখনো তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামা যাবে না। সবাই সাদী বদ্ধ এবং সুন্দর হয়ে নামতে হবে
অবশ্যই নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার সংগ্রহ করে রাখতে হবে সব সময়। যেকোনো সময় আগুন লাগলে অবশ্যই তাদেরকে খুব দ্রুত কল করে জানিয়ে দিতে হবে
উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আমরা পালন করতে পারি ইনশাল্লাহ আমরা অবশ্যই আগুনে হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারবো।
- যে সকল লোক ফায়ার হাইড্রেন্ট বক্সের অগ্নিনির্বাপক গ্যাস ব্যবহার করবে তারা অবশ্যই উপরের নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করবে। আর এই গ্যাস ব্যবহারকারীকে অবশ্যই উপযুক্ত ট্রেনিং থাকতে হবে কেননা তার যদি উপযুক্ত ট্রেনিং নেওয়া না থাকে তাহলে অবশ্যই সে এই কাজ কখনই সুন্দরভাবে করতে পারবে না।
কর্মক্ষেত্রেই সবাই দেখে শুনে কাজ করবে। তোমাদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।আমরা আমাদের জীবনের তাগিদে যদিও বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে থাকি তার পরেও আমাদের অর্থের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
সুতরাং সব সময় আমাদের উচিত হবে চোখ কান খোলা রেখে কাজ করা এবং যখন ফায়ার এলার্ম বাজবে অবশ্যই খুব দ্রুত সিড়ি দিয়ে নেমে যেতে হবে এবং সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাবার পর নিরাপদ স্থানে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে
এবং যতটুকু সম্ভব হয় খুব দ্রুত ফায়ার সার্ভিস এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং নিজে এবং অপরকে রক্ষা করার জন্য প্রাণ নিবেদিত করতে হবে।
এটা আমার অরিজিনাল কন্টাক্ট
এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে লেখাগুলো পড়ার জন্য
ও
সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাতে চাই @rme @amarbanglablog @photoman @rex-sumon @hafizullah @moh.arif @seo-boss