দীর্ঘ সাত বছর পর মার্বেল খেলার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেশ ভালো আছি। সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই প্রত্যাশা এবং শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং। আমি আজকে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের কাছে দীর্ঘ সাত বছর পর মার্বেল খেলার অনুভূতি শেয়ার করতে চাই
। আশা করছি আপনার উপভোগ করবেন এবং আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
শৈশবের স্মৃতি নিয়ে আমি ইতিপূর্বেই বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছি। তার ভেতরে গত সপ্তাহে আমি একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম এবং সেই পোস্ট এর মাধ্যমে আমি মার্বেল খেলা নিয়ে আমার শৈশবের স্মৃতি শেয়ার করেছিলাম। তবে অবশেষে বাস্তব জীবনে আমি আবারও এই সাত বছর পর মার্বেল খেলার সাথে সংযুক্ত হতে পেরেছিলাম এবং আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
দীর্ঘ সাত বছর পর আমি আমার গ্রামের বাড়িতে আসি এবং গ্রামের বাড়িতে আসার পর আমি পরিবার আত্মীয়-স্বজন এবং সকলের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করেছিলাম। এরপর ঈদের বেশ কয়েকদিন পর আমি একটি আম বাগানে গিয়েছিলাম এবং বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করছিলাম।
এমন সময় দেখেছিলাম বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী ভাই মার্বেল খেলছিল এবং তাদের মার্বেল খেলা দেখে আমার শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। তাই আমি তাদের কাছে গেলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ সময় তাদের সাথে মার্বেল চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে থাকলাম।
আমি যতক্ষণ মার্বেল খেলা দেখছিলাম আমার বেশ ভালো লাগছিল এবং আমি মার্বেল খেলা দেখে শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম।
এরপর আমি এক প্রতিবেশী ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু মার্বেল ধার নিয়েছিলাম এবং মার্বেল ধার নেবার পর আমি খেলতে শুরু করেছিলাম। তবে দীর্ঘ সাত বছর পরে হলেও মার্বেল খেলতে আমি বেশ ভালো পারি। যদিও অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছিলাম কিন্তু ট্রেনিং টা আমার বেশ ভালই আয়ত্ত করা ছিল। তাই আমি খুব অল্প সময়ের ভেতরেই ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করা মার্বেল পরিশোধ করে দিলাম এবং আমার কাছে অনেকগুলো মার্বেল জমা হয়ে গিয়েছিল।
তবে অনেকদিন পর মার্বেল খেলতে গিয়ে প্রচন্ড রৌদ্রে আমি বেশ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমার পুরো পা ব্যথা হয়ে যাচ্ছিল। এর জন্য আমি খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং মার্বেল গুলো আমার পাড়া-প্রতিবেশী ছোট ভাইদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছিলাম।
এরপর আমি ছোট ভাইদের খেলা উপভোগ করছিলাম। বিশেষ করে অনেকদিন পর মার্বেল খেলতে পেরে এবং তাদের খেলা দেখতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত ছিলাম।
পরিশেষে বাগানের ভেতরে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা মার্বেল খেলা চলছিল এবং একপর্যায়ে খেলার সমাপ্তি হয়েছিল। কারণ দীর্ঘক্ষণ খেলার পরে গায়ে রোদ লাগছিল এবং সকলেই প্রায় বেশ ক্লান্ত হয়ে উঠেছিল।
যাইহোক অবশেষে আমি আবারও মার্বেল খেলায় নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছি এবং এর জন্য আমি অনেক বেশি আনন্দিত। গত সপ্তাহে মার্বেল খেলা নিয়ে যে পোস্ট লিখেছিলাম সেই পোস্টের সার্থকতা গত দুই দিন আগেই আমার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে হয়েছিল। কারণ শৈশবে ফিরে যেতে পেরেছিলাম এবং আমি পুনরায় মার্বেল খেলেছিলাম।
আমি আশাবাদী জীবনের আরও বেশ কিছু পর্যায় আমাদের মাঝে ফিরে আসবে এবং আমরা শৈশবের দিনগুলো খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারব। কেমন লেগেছে আমার সাত বছর পর মার্বেল খেলার অনুভূতি নিয়ে পোস্ট? আশা করছি উপভোগ করেছেন। পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1805900624489484765?t=JXc2DcM91k60upPahN5iKw&s=19
দীর্ঘ সাত বছর পর আবারো আপনি শৈশবে ফিরে গিয়ে মার্বেল খেলা খেলেছেন ভাইয়া। মার্বেল খেলা আমিও খেলতে পারি ভীষণ ভালো লাগে। তবে মার্বেল খেলার নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে গরমের সময় সবাই বাগানে বসে বসে মার্বেল খেলে। অনেকদিন পর আপনি মার্বেল খেলেছিলেন তাই আপনার হাত পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল এটা স্বাভাবিক। আপনি ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে মারবেন নিয়ে খেলে তাকে আবার পরিশোধ করে দিয়েছেন এবং অনেকগুলো জিতে ছিলেন। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট ধন্যবাদ।
আপনার প্রতিবেশী ভাইয়ের মার্বেল খেলা দেখে আপনারও শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে ছোট কাউকে মার্বেল খেলতে দেখলে নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে ভাইয়া। শৈশবের দিনগুলো খুবই আনন্দের ছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
ছোটবেলার সেই দৃশ্যগুলো যখন চোখের সামনে ভেসে উঠে তখন অতীতের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। এখনো যদি কাউকে খেলতে দেখি তখন সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। যদিও কখনো মার্বেল খেলা হয়নি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো।