প্রথম বাজার করার অনুভূতি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকি সে কারণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং এর ভেতরে আমার বাজার করার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। আশা করছি আমার লাইফ স্টাইল ব্লগ আপনারা বেশ উপভোগ করবেন এবং এটি আপনাদের বেশি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ।
বেশ কয়েক মাস যাবত বাসায় বসে আছি এবং চাকুরী বাদ দিয়ে অসুস্থতার কারণে যাই হোক তারপরেও ভালো একটা দিন অতিক্রম করেছিলাম। পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারগুলো বাবা নিজেই করেন এবং অফিস ছুটির পরে বাবা বাজার নিয়ে আসেন এবং মা রান্না করেন এবং আমার কাজ ছিল শুধু খাওয়া দাওয়া করা।
তবে হঠাৎ করেই সেদিন দুপুরবেলা খেতে বসে মা আমাকে খেতে দিয়েছিল এবং বাবা তখন বলেছিল বাসায় সারাদিন বসে থাকি একদিন বাজারে গেলে কি হয়??
তবে আমিও চিন্তা করলাম, সত্যিই তো। আমি শুধু ঘুম থেকে ওঠার পরে খাওয়া দাওয়া করি এবং আবার ঘুমিয়ে থাকি। এদিকে বাবা অনেক রাত করে বাসায় ফিরে নেব ছুটির পরে বাবা বাজারে যেতে হয় এবং তারপর আবার বাজার করে এনে আমাদের পরিবারের খাবার সংগ্রহ করে থাকেন। সুতরাং আমি মায়ের কাছে গেলাম এবং মাকে জিজ্ঞেস করলাম আজকে আমাদের বাজারে কি কি প্রয়োজন??
মা আমাকে ছোট্ট একটি লিস্ট দিয়েছিল এবং এরপর আমি মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি পণ্য কেনার জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং আমি এক পর্যায়ে দশ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে বাজারে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমি গাজীপুরের সবজি মার্কেটে গিয়েছিলাম এবং সেটি পাইকারি মার্কেট ছিল সেই কারণে তখন দিনের বেলা মার্কেটে সেরকম কোন লোক ছিল না। তবে তারপরেও আমি পাইকারি দোকানে গিয়ে শুধুমাত্র এক কেজি রসুন কিনতে হয়েছিল আমাকে ৩০০ টাকা দিয়ে।
আমি রসুনের দাম জিজ্ঞেস করার পর প্রায় দুই থেকে তিনটা দোকান দেখেছিলাম এবং প্রত্যেকটি দোকানে একই রকমের দাম। তবে যে দোকানে আমার কাছ থেকে 10 টাকা কম রাখার কথা বলেছিল দোকানদার আমি সেই দোকানে গেলাম এবং দোকানে গিয়ে রসুন কিনতে।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ পর আমার মাথায় হাত পড়ে গেল এবং আমি শুধুমাত্র একটি বাজার শেষ করতে না করতে আমার পকেট থেকে প্রায় ৩০০ টাকা শেষ।
এরপর আমি আলু কেনার জন্য আলুর দোকানে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে হাইব্রিড আলু ছাড়া অন্যান্য দেশে সকল আলোর দাম অত্যন্ত বেশি ছিল। দিনের পর দিন প্রত্যেকটি সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমি ২.৫ কেজি আলু কিনেছিলাম ১০০ টাকা দিয়ে। আলু কেনার পর আমি সবজি কেনার জন্য সবজির দোকানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে গিয়ে এক কেজি ভালো মানের বেগুনের সর্বনিম্ন দাম ছিল 70 টাকা।
তবে যাই হোক আমি একটু নরমাল সবজি ক্রয় করলাম এবং আমি ৫০ টাকা দিয়ে এক কেজি বেগুন কেনার পর আমার কাছে প্রায় টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে যেহেতু আমি বাজারে গিয়েছি প্রথম সেজন্য বাবা ফোন করে বলেছিল পিঠা খাওয়ার জন্য একটি নারিকেল কিনে আনতে। তবে নারিকেলের দোকানে গিয়ে আমার মাথায় হাত দিয়েছিল এবং একটি নারিকেলের দাম ১২০ টাকা।
তবে সেই নারিকেল কে আমি দোকানদারের কাছ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলাম এবং এরপর আরো বেশ কিছু সবজি এবং সয়াবিন তেল ক্রয় করতে গিয়ে মাত্র তিন দিনের বাজার হয়েছিল এবং সেই তিন দিনের বাজারের মূল্য লেগেছিল প্রায় ১২০০ টাকার মতো।
আলু পেঁয়াজ রসুন এবং সামান্য একটি নারিকেল কিনে আমার কাছে যে টাকাগুলো ছিল সেগুলো শেষ করে ফেলেছি।
তবে আমি একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম যে বাবা যে প্রতিদিন তার পকেট থেকে প্রতিনিয়ত খরচ করে এবং আমাদের জন্য বাজার করে সেটা কিভাবে সম্ভব। আমি মাত্র একদিনের বাজার করতে গিয়েই প্রায় বারোশো টাকার মতো শেষ এবং আমার বাবা আমি এবং আমার পরিবার চালায় এবং আমি বেকার জীবন যাপন করছি তারপরেও যে আমার প্রতি এত ভালোবাসা প্রকাশ করেছে এটি থেকে আমি বুঝতে পেরেছিলাম।
তবে এখন আমি মাঝে মাঝে বাজারে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং নিজের কাছ থেকে কিছু অর্থ খরচ করে পরিবারের জন্য খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে আমার জীবনের প্রথম বাজার করার অভিজ্ঞতা থেকে আমি একটি বিষয় বুঝতে পারলাম যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ক্রয় করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কারণ প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি এবং এখন যেহেতু সবজি এবং শীতকালের সিজন এখনই যদি সবজির দাম এত বৃদ্ধি হয় তাহলে গ্রীষ্মকালে এর দাম কেমন হবে আল্লাহই জানে??!!
তবে এই ছিল আমার প্রথম সবজি ক্রয় করার অনুভূতি এবং দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি সম্পর্কিত ছোট ব্লগ। আশা করছি আমার ব্লগ আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে এবং প্রথম দিনের বাজার করার অনুভূতি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করতে ভুলবেন না? আপনিও কি পরিবারের ছোট ছেলে হয়ে মাঝে মাঝে বাজার করেন এবং এই অনুভূতি চাইলে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।
মূল্যবান সময় দিয়ে আমার বাজার করার অনুভূতি এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে ব্লগ উপভোগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বলছি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Akash02671928/status/1753667065486135781?t=d-3EvwTeayrCWtCB3an7XQ&s=19
আপনি প্রথম বাজার করার অনুভূতি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পোস্টটি ভালো লিখেছেন। ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।আসলেই নিত্য পণ্যের বাজারে আগুণ। শীতে যে সব সবজি কমদামে পাওয়া যেত,এবার সেটা হয়নি। সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে বাজার পরিস্থিতি দিন দিন।আপনার পরিবারের জন্য তিন দিনের বাজার করতেই ১২০০ টাকা শেষ! আপনার প্রথম বাজার করার উপলব্দি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।