মাঝে মাঝে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা হৃদয়টাকে কুয়াশাচ্ছন্ন করে।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ। শুভ রাত্রি। আশা করছি সকলের সুস্থ সুন্দর এবং ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল আছি। সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সব সময় সুস্থ ও সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের ব্লগিং।
আমি আজকে আমার জীবনের বাস্তব কিছু তিক্ত অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। আসলে আমরা আমাদের জীবন নির্বাহ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়োজিত রয়েছি অর্থাৎ কর্মরত আছি।
। কর্মত অবস্থায় আমাদেরকে করতে হয় নানাবিধ সমস্যা এবং ঝামেলার ভেতরে। আমার জীবনেও বাস্তবে এমন ঘটনা রয়েছে যেগুলো সত্যিই আমার জন্য দুঃসহনীয় । চলুন বাস্তব অভিজ্ঞতা গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি এবং শেয়ার করে আমার জীবনের তিক্ত কিছু বিষয়গুলো যেগুলো খুবই বাজে একটা মনোভাব তৈরি করে আমার ভেতরে
ছবি রিলায়েন্স দ্বারা গঠিত
মূলত আমরা জীবন বলতে পরিপাটি সুন্দর একটি পরিবেশকে বোঝাই।
অর্থাৎ যেখানে শুধু সুখের দেখা থাকবে এবং কোন প্রকার ঝামেলা কিংবা অসুখ আমাদেরকে যেন আকৃষ্ট করতে না পারে। সেই ধারাবাহিকতা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব সময় কিভাবে ভালো থাকবো কিংবা কিভাবে আরো একটু সকলে থেকে আলাদা ভালোভাবে জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া যায় সেই বিষয় নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা সব সময়ই।
তবে মাঝে মাঝে আপনাকে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেগুলোর জন্য আপনি মোটেও প্রস্তুত থাকেন না । কিংবা হতে পারি মাঝে মাঝে আপনার সঙ্গে এমন আচরণ যার মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ববোধ নষ্ট হতে পারে কিংবা আপনি মনের দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে আঘাত পেতে পারেন।
আপনি যদিও অনেক পরিশ্রমী একজন মানুষ তারপরে হয়তো সামান্য কথাই আপনার অন্তরটা ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যেতে পারে।
বাস্তব জীবন নিয়ে বলতে গেলে সকাল বেলা অফিসে যেতে হয় এবং সারাদিন প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হয়।
। মাঝে মাঝে সুপারভাইজার এবং অন্যান্য বড় বড় স্টাফদের বিভিন্ন কথাই মন খারাপ না করেই কাজ করতে হয় প্রতিনিয়ত। কাজ করতে করতে শরীর থেকে ঝর ঝর করে ঘাম ঝরে। তারপরেও কাজের কোন সীমারেখা নাই।
তো সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার পর প্রতিদিনের মতো মিটিং এর আয়োজন করা হয়েছিল এবং আমাদেরকে কাজ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। যদিও আমরা প্রতিদিন আমাদের সাধ্যমত কাজ করি কিন্তু তারপরেও কোন সময় তাদের কাজে সম্মাননা পাওয়া যায় না।
প্রতিনত এই সমস্যা ওই সমস্যা নিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন কথা সম্মুখীন হতে হয়। অবশেষে আজকে যখন অফিসের সকালের মিটিং শেষ করে কাজে যায় তখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমাকে এবং জীবনের প্রতি একটা ঘৃণা চলে আসছিল।
কিন্তু কি আর করার? মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছি বলে কথা। তাছাড়াও অন্যের আন্ডারে চাকরি করা একটু কষ্টসাধ্য জেনেও কাজ করে যাচ্ছিলাম প্রতিনিয়ত। কিন্তু হঠাৎ করেই দুপুর ে বাসায় এসে লাঞ্চ করে খাবার পর কথাটা যেন মনের ভিতরে খুবই নাড়া দিচ্ছিল।
সারাদিন এত পরিশ্রম করার পরেও যখন দিনশেষে প্রশংসার খাতা শূন্য থেকে যায় তখন এত কাজ করে লাভ কি কিংবা এত পরিশ্রম করে কি লাভ ্্। এমন চিন্তা করতে করতে মনের ভেতরে একটা অস্বাভাবিক খারাপ লাগে এবং দুপুরের পরে আর অফিসে যাওয়া হয় না। বরং বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘুমিয়ে থাকার পর কিছুটা হলেও স্বস্তির দেখা মেলে।
যদিও আমরা মধ্যবিত্ত তবে আমাদেরও সম্মান রয়েছে। চাকুরী কিংবা জীবিকা নির্বাহ করার জন্য যে সকল পদক্ষেপগুলো নিয়ে থাকি সেগুলো শুধুমাত্র জীবিকা নির্বাহ করার জন্য। একটু ভালো থাকার জন্য এত আয়োজন। তবে আর যাই হোক জীবনের এই তিক্ত অভিজ্ঞতাটা সত্যি খারাপ লাগার মত। দিনশেষে এত পরিশ্রম করেও যখন তাদের মন পাওয়া সম্ভব না তখন সেখান থেকে হয়তো বা সরে আসাটাই ভালো। তবে এখন ডিসিশন পেন্ডিং এ রয়েছে কিভাবে এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিংবা কিভাবে এর সামান্য উন্নত ঘটানো যায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাজার পরিশ্রম করলেও কখনো কারো মন পাওয়া যায় না। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কাজের মূল্যায়ন করতে জানে না। হয়তো তারা তাদেরকে সম্মান দিতে জানে না ভাইয়া। আসলে আমরা যারা পরিশ্রম করে কাজ করি তার বিনিময়ে যদি একটু সম্মান পায় তাহলে মনের মাঝে যেমন প্রশান্তি আসে তেমনি কাজ করার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। মধ্যবিত্তদের কাছে সম্মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভাইয়া আপনার সাথে যেটা ঘটেছে সেটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।